World Health Day 2022: প্রাকৃতিক ভাবে শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভরসা রাখবেন যে ৫ উপাদানে

Immunity Booster: প্রাকৃতিক ভাবে শরীরে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলা কিন্তু খুবই জরুরি। আর তার জন্য সব সময় ওষুধ নয়, ভরসা রাখুন রোজকার খাবারেই। দেখে নিন কোন কোন খাবার এক্ষেত্রে আপনাকে সাহায্য করবে...

World Health Day 2022: প্রাকৃতিক ভাবে শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভরসা রাখবেন যে ৫ উপাদানে
রোগ প্রতিরেধক ক্ষমতা বাড়াতে যা খাবেন
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 07, 2022 | 7:28 AM

স্বাস্থ্যই সম্পদ। আর তাই স্বাস্থ্যকে যেমন অবহেলা করলে চলবে না তেমনই কিন্তু স্বাস্থ্যের উপর অবেতুক অত্যাচারও করা যাবে না। এতে আখেরে ক্ষতি নিজেরই। শরীর যদি সুস্থ না থাকে তখন কোনও কাজেই মন বসে না। আর্থিক দিক দিয়ে পকেট উপচে পড়লেও কিন্তু বিশেষ লাভ নেই। আর তাই বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য সচেতনতা প্রচারই হোক আমাদের লক্ষ্য। কোভিডকালে সকলেই বুঝেছেন স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখা কতটা জরুরি। সংক্রামক রোগ-ব্যাধি এড়াতে কিন্তু নজর দিতে হবে স্বাস্থ্যের উপরেই। ওষুধ খেয়ে নয়, ভিতর থেকেই বাড়িয়ে তুলুন রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা। আর তাই তালিকায় অবশ্যই রাখুন গুরুত্বপূর্ণ এই ৫ খাবার।

পিনাট বাটার- পিনাট বাটার আমাদের ক্ষতিকারক চর্বির পরিমাণ কমিয়ে দিয়ে স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়। বিশেষত হার্টের ক্ষেত্রে তা কিন্তু খুবই ভাল। এছাড়াও এই বাটারের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং শরীর থেকে চিনির পরিমাণ কমাতে কিন্তু বিশেষ সাহায্য করে এই বাটার। এছাড়াও এর মধ্যে থাকে অলিক অ্যাসিড, যা মূলত মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট। এই ওলিক অ্যাসিডই আমাদের ইনসুলিন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও বাদামের মধ্যে থাকে লিনোলেনিক অ্যাসিড- যার থেকে পাওয়া যায় ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড।

প্রোটিন- প্রোটিন আমাদের শরীরের জন্য কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রোটিন যেমন শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় তেমনই পেশির গঠনেও কিন্তু সাহায্য করে। সেই সঙ্গে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তিও সরবরাহ করে।

অ্যাপেল সিডার ভিনিগার- অ্যাপেল সিডার ভিনিগার অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের গুণাবলী সহ বেশ কিছু শারীরিক সুবিধা আমাদের দেয়। যার ফলে ওজন কমে, কোলেস্টেরলের মাত্রা থাকে নিয়ন্ত্রণে সেই সঙ্গে কিন্তু রক্তে শর্করার মাত্রাও রাখে নিয়ন্ত্রণে। এছাড়াও বিপাক থেকে ডিটক্সিফিকেশনে সাহায্য করে এই ভিনিগার। রক্তে লোহিত কণিকা উৎপাদন, হজমে সাহায্য করতেও ভূমিকা রয়েছে এই ড্রিংকের। অ্যাপেল সিডার ভিনিগারের মধ্যে কিন্তু কৃত্রিম কোনও রং থাকে না।

গ্লুকোজ- গরমে হাইড্রেটেড থাকা খুবই জরুরি। ওয়ার্কআউটের পর গ্লুকোজ খেলে শরীরে শক্তি ফিরেন আসে। তাই ক্লান্তি দূর করতে, শরীরকে হাইড্রেট রাখতে এবং পেশিতে পর্যাপ্ত অক্সিজেনের জোগান দিতে কিন্তু গ্লুকোজ অবশ্যই খাবেন। সেই সঙ্গে এই গ্লুকোজ পেশির কর্মক্ষমতা উন্নত করে। গ্লুকোজ হাতের সামনে যদি না থাকে তাহলে নুন-চিনি-লেবু দিয়ে শরবত বানিয়ে খান।

মাল্টি ভিটামিন- শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে, রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং দু৪বলতা কাটাতে কিন্তু মাল্টিভিটামিনের প্রয়োজন আছে। এছাড়াও লোহিত রক্ত কণিকা তৈরি করতে, প্রয়োজনীয় খনিজের ঘাটতি মেটাতে এবং পেসি শক্তিশালী করতেও ভূমিকা রয়েছে এই মাল্টি ভিটামিনের।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।