AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

A Sad Story: সৎকারের সময় জেগে উঠে ফের মৃত্য়ু ৩ বছরের খুদের, কীসে মৃত্যু শিশুর?

A Story Of Little Princes: ডেথ সার্টিফিকেটে এডিমা, মেটাবলিক ফেলিওর আর ডিহাইড্রেশন লেখা থাকলেও কেন আগেভাগেই মেয়ের মৃত্যু ঘোষণা করলেন চিকিৎসকেরা সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সদ্য সন্তানহারা মা-বাবা

A Sad Story: সৎকারের সময় জেগে উঠে ফের মৃত্য়ু ৩ বছরের খুদের, কীসে মৃত্যু শিশুর?
সামান্য ভুলে মায়ের কোলছাড়া ৩ বছরের ছোট্ট পরী
| Edited By: | Updated on: Aug 26, 2022 | 10:25 PM
Share

৩ বছরের ছোট্ট খুদে ক্যামিলা রোক্সানা মার্টিনেজ মেক্সিকোর বাসিন্দা। পেটে ব্যথা, বমি, জ্বর হওয়ায় মা মেরি জেন মেন্ডোজা তাকে নিয়ে যান শহরেরই এক শিশুরোগ বিশেষজ্ঞর কাছে। শিশুটিকে দেখে চিকিৎসক জানান ডিহাইড্রেশনের সমস্যা হয়েছে। চিকিৎসার জন্য তিনি বাচ্চাটিকে সান লুইস পোটোসির হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে জ্বরে গা পুড়ে যাচ্ছিল ছোট্ট ক্যামিলার। তাই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তাকে একটি ঠাণ্ডা তোয়ালে জড়িয়ে রাখা হয়। সেই সঙ্গে প্যারাসিটামল, পেটে ব্যথার ওষুধ এই সব দেওয়া হয়। অক্সিমিটারে শরীরের অক্সিজেন স্যাচুরেশনও মনিটর করা হয়। তবে সেদিন ক্যামিলাকে হাসপাতালে ভর্তি করেননি চিকিৎসকেরা। প্রয়োজনীয় ওষুধ দিয়ে আর তার মাকে বেশি করে জল-ফল খাওয়ানোর পরামর্শ দিয়ে ছেড়ে দেন।

দু-তিনদিন এই ভাবে চলার পর শিশুটির স্বাস্থ্যের অবনতি হতে থাকে। ওষুধ খাওয়ানোর পরও বমি করে না। চিকিৎসক ওষুধ পরিবর্তন করে দিলেও তাতে কোনও কাজ হয়নি। এরপর উদ্বিগ্ন মা-বাবা বাচ্চাকে অন্য এক চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। তিনি বাচ্চাটিকে দেখে সঙ্গে সঙ্গেই হাসপাতালের ইমারজেন্সিতে নিয়ে যেতে বলেন। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাকে ভর্তি করে নেওয়া হয় এবং স্যালাইন শুরু করে দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে শরীরে অক্সিজেন কমতে থাকায় অক্সিজেনও দেওয়া হয়। তবে শিশুটির মা জানিয়েছেন বাচ্চাটির স্যালাইন শুরু করতে বেশ কিছুটা সময় লেগেছিল। কারণ তার শিরা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না।

এরপর বাচ্চাটিকে অন্য একটি ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়। যে খানে তার মা-বাবাকে যেতে দেওয়া হয় না। মেয়ে খুব কান্নাকাটি করলেও মা যেতে পারেননি। একরকম জোর করেই যেতে দেওয়া হয় না। এরপর মেয়েটির মাকে বলা হয়, তাঁর মেয়ের বাঁচার আশা নেই। মা যেন এবার মেয়েকে শান্তিতে বিশ্রাম নিতে দেন। এরপরও যে মেরিকে ক্যামিলার কাছে যেতে দেওয়া হয় তা নয়। পরে বলা হয় ডিহাইড্রেশনেই মৃত্যু হয়েছে ছোট্ট ক্যামিলার।

পরদিন কাঁচে ঢাকা কফিনে বাড়িতে আসে ক্যামিলার দেহ। ছোট্ট পরী ক্যামিলা সবার কাছেই ছিল ভারী আদরের। পরের সপ্তাহেই তার প্রথম কিন্ডারগার্টেনে যাওয়ার কথা ছিল। সবরকম প্রস্তুতিও ছিল সারা। বাড়ির লোক, পরিবার, আত্মীয়, বন্ধু সকলেই ভেঙে পড়েচেন কান্নায়। কফিন খোলার সাহস দেখাচ্ছেন না কেউ। তবুও মায়ের যেন সন্দেহ হচ্ছিল তাঁর মেয়ে বেঁচে আছে। এরপর ক্যামিলার ঠাকুমা কফিন খুলে দেখেন তার চোখ নড়ছে। পালসও পাওয়া যাচ্ছে। এরপর তড়িঘড়ি তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা পুরোদমে আবারও তাকে বাঁচিয়ে তোলার চেষ্টা করেন। কিন্তু এবার আর কোনও চেষ্টাই কাজে আসল না। সেরিব্রাল এডিমাতেই মৃত্যু হয় ক্যামিলার।

ডেথ সার্টিফিকেটে এডিমা, মেটাবলিক ফেলিওর আর ডিহাইড্রেশন লেখা থাকলেও কেন আগেভাগেই মেয়ের মৃত্যু ঘোষণা করলেন চিকিৎসকেরা সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সদ্য সন্তানহারা মা-বাবা। তাঁদের মেয়ে ছিল বড় আদরের। সবার কাছে তার নানা আবদার থাকত। বাড়ির সকল সদস্য তাঁকে ভীষণ ভালবাসত। কারোর শাস্তি নয়, মা-বাবা নায্য বিচার চান। চান এই সব গাফিলতি দূর করতে। নার্স-চিকিৎসকদের ব্যবহার ও মানসিকতায় পরিবর্তন আনতে। যাতেন এমন দিন আর অন্য কোনও পরিবারকে না দেখতে হয়। পুলিশের তরফে সাধারণ একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ময়নাতদন্তের আর্জিও জানানো হয়েছে।