অতিরিক্ত ঝাঁঝ আর ঝালের জন্য গোলমরিচ অনেকের কাছেই অপছন্দের। কিন্তু কোনও খাবারের স্বাদ বাড়াতে আর মুখের স্বাদ ফেরাতে গোলমরিচের জুড়ি মেলা ভার। সেই সঙ্গে গোলমরিচের মধ্যে রয়েছে একাধিক গুণ। প্রাচীন কাল থেকেই এই ভেষজটিকে স্বাস্থ্যরক্ষায় ব্যবহার করা হচ্ছে। গোলমরিচের মধ্যে আছে পাইপেরিন, যা প্রাকৃতিক অ্যালকালয়েডের খুব ভাল উৎস। যে কারণেরল জন্যই গোলমরিচ খেলে আমাদের ঝাল লাগে।
পাইপেরিন হল এক ধরণের অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও। যা আমাদের শরীরের জন্য ভীষণ ভাবে উপকারী। এছাড়াও মনে করা হয় এই পাইপেরিন হল এক ধরণের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। স্নায়ু শিথিল রাখে। মোটকথায় এথেরোস্ক্লেরোসিস এর কাজ করে।
গোলমরিচের মধ্যে রয়েছে প্রচুর গুণ। যা আমাদের হাড় ভাল রাখে, ক্ষত নিরাময়ে সাহায্য করে এবং বিপাকেও সহায়তা করে। এছাড়াও গোলমরিচের মধ্যে থাকে ভিটামিন ই, ভিটামিন কে, ভিটামিন বি ৬, থায়ামিন, নিয়াসিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এছাড়াও গোলমরিচের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণাগুণও।
হরমোনের সমস্যা, ডায়াবেটিস, পিরিয়ডের সমস্যায় ভুগছেন? রোজ গোলমরিচ চিবিয়ে খেলেই উপকার পাবেন। খালি পেটে তিনটে গোলমরিচ চিবিয়ে খেয়ে এক গ্লাস ইষদুষ্ণ জল খান। এতেই কাজ হবে।
এছাড়াও খেতে পারেন মধু দিয়ে। মধু, গোলমরিচের গুঁড়ো আর কাঁচা হলুদ একসঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারলেও বাড়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। সেই সঙ্গে শ্বাসকষ্টের সমস্যা কমে। ১ চামচ খেলেই কাজ হবে। খেতে পারেন ঘি আর গোলমরিচও। আর্থ্রাইটিসের ব্যথা আর ভাল ঘুমের জন্য দারুণ কাজে আসে এই টোটকা।
রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে একগ্লাস গরম দুধেও মিশিয়ে নিতে পারেন এই গোলমরিচ। এতেও কিন্তু দারুণ কাজ হয়। মানসিক স্বাস্থ্য ভাল থাকে। ঘুম ভাল হয়।