মহাকুম্ভে সমাগম হয়েছে কোটি কোটি মানুষের। পূণ্যস্নান করতে এসেছেন বহু সাধু-সন্ন্যাসীরাও।
কুম্ভ মেলায় যেমন সাধু-সন্তদের দেখা মিলেছে, তেমনই নাগা সন্ন্যাসী, অঘোরীদেরও দেখা মিলেছে।
বরাবরই আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকেন অঘোরীরা। তাদের নিয়ে নানা গল্প শোনা যায়। আতঙ্কও রয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।
অঘোর বিদ্যা যারা অনুসরণ করেন, তারাই অঘোরী। এই বিদ্যা ভয়ঙ্কর নয়, শুধু এর প্রক্রিয়া ভয়ের। শিবের উপাসক অঘোরীরা।
অঘোরীরা শ্মশানে বসে শব সাধনা করেন। শবদেহের উপরে বসে ধ্যান করেন। তারা বিশ্বাস করেন, এটা শিব ও শক্তির উপাসনার মাধ্যম।
অঘোরীদের মতে, মৃতদেহের উপরে পা রেখে সাধনা করলে মন শিবের ভক্তিতে লীন হওয়া যায়।
মৃতদেহকে প্রসাদ হিসাবে মদ ও মাংস উৎসর্গ করেন অঘোরীরা।
আবার শোনা যায়, অঘোরীরা মানুষের মাংস খান। আরও স্পষ্ট করে বলতে গেলে শবদেহের মাংস খান। অঘোরীরা শবদেহের মাথার ঘিলু খান।
এর পিছনেও রয়েছে যুক্তি। অঘোরীরা মনে করেন, ঘৃণা দূর করতেই এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করেন। অঘোরী হওয়ার প্রথম শর্তই হল মন থেকে ঘৃণা দূর করা।
শ্মশানে যখন মৃতদেহ পরিত্যাগ করা হয়, তখন তাদের গ্রহণ করেন অঘোরীরা।