Maha Kumbh Mela 2025: কাঁটা দিয়ে ঢাকা শরীর! মহাকুম্ভে এসে ‘এ যুগের ভীষ্মের’ তকমা পেলেন এই সাধু

Maha Kumbh Mela 2025: মহাকুম্ভের মেলায় ইতিমধ্যেই রমরমা ছড়িয়েছে 'কাঁটা ওয়ালা বাবা' নাম। সারাদিন নিজের 'সিংহাসনে' বসেই তপস্যা চালান তিনি। তবে এতে আর নতুন কি? সাধু-সন্ন্যাসী মানেই তো সারাদিন তপস্যা চালানোর মতো একটা ব্যাপার।

Maha Kumbh Mela 2025: কাঁটা দিয়ে ঢাকা শরীর! মহাকুম্ভে এসে 'এ যুগের ভীষ্মের' তকমা পেলেন এই সাধু
তপস্যায় 'কাঁটা ওয়ালা বাবা'Image Credit source: ANI
Follow Us:
| Updated on: Jan 16, 2025 | 1:56 PM

প্রয়াগরাজ: অর্জুনের তীরে বিদ্ধ হয়ে তীর বিছানো শয্যায় শুয়েছিলেন ভীষ্ম। নিজের মৃত্যুর জন্য সেই বিছানায় শুয়েই তপস্যা করেছিলেন টানা ৫৮ দিন ধরে। এবার মহাকুম্ভের মেলাতেও যেন সাক্ষাৎ মিলল এ যুগের ‘ভীষ্মের’। ‘কাঁটা ওয়ালা বাবা’, নামে মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি।

সেজে উঠেছে প্রয়াগরাজ। গঙ্গা, সরস্বতী ও যমুনার ত্রিবেণী মহাসঙ্গমের তীরে ফিরেছে কুম্ভ। ভিড় জমিয়েছেন পুণ্যার্থীরা। দেশের দূর দূরান্ত থেকে এসেছেন সাধু, নাগা সন্ন্যাসী ও অঘোরীরাও। উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভ ঘিরে এখন উৎসবের আমেজ। আর সেই উৎসবেই পা মিলিয়েছেন ‘এ যুগের ভীষ্ম’ বা কাঁটা ওয়ালা বাবা, বলছেন একাংশের পুণ্যার্থীরা।

কে এই কাঁটা ওয়ালা বাবা?

আসল নাম রমেশ কুমার মাঝি। তবে সাধারণের কাছে তিনি ‘কাঁটা ওয়ালা বাবা’। হাতে রয়েছে ডুগডুগি। আর তাঁকে ঘিরে ভিড় পুণ্যার্থীদের। ইতিমধ্যে ‘কাঁটা ওয়ালা বাবা’র তপস্যা দেখে মন্ত্রমুগ্ধ হয়েছেন অনেকেই।

কী কারণের এত জনপ্রিয়তা?

মহাকুম্ভের মেলায় ইতিমধ্যেই রমরমা ছড়িয়েছে ‘কাঁটা ওয়ালা বাবা’ নাম। সারাদিন নিজের ‘সিংহাসনে’ বসেই তপস্যা চালান তিনি। তবে এতে আর নতুন কি? সাধু-সন্ন্যাসী মানেই তো সারাদিন তপস্যা চালানোর মতো একটা ব্যাপার। কিন্তু আর সকলের মতো নয়। বরং একটু অন্যরকম ভাবেই চলে ‘কাঁটা ওয়ালা বাবা’র তপস্যা। বসেন কাঁটার তৈরি ‘সিংহাসনে’। শরীরও ঢাকা থাকে কাঁটা দিয়ে। আর তারপর সেই ভাবেই দিন পর দিন কাটিয়ে দিন তিনি।

তবে এই রকম কাঁটা বিছানো ‘সিংহাসনে’ বসে কোনও বেদনা হয় না বলেই দাবি তাঁর। তিনি বলেন, ‘গত ৪০-৫০ বছর ধরেই এই ভাবে তপস্যা করে চলেছি। আর এতে আমার শরীর কোনও কষ্ট হয় না, উল্টে বেশ আরাম পাই। সারাদিন এই কাঁটা বিছানো আসনে তপস্যা করে যে টুকু দক্ষিণা পাই, তার মধ্যে অর্ধেকটা দান করে, অর্ধেকটায় নিজের খরচ চালিয়ে থাকি।’