Dengue: প্রেসক্রিপশন ছাড়া মিলবে না অ্যান্টিবায়োটিক, ডেঙ্গি জ্বর নিয়ে ছেলেখেলা রুখতে কড়া পদক্ষেপ রাজ্যের

Dengue Outbreak: প্রেসক্রিপশন ছাড়া আর অ্যান্টিবায়োটিক ও জ্বরের ওষুধ বিক্রি করতে পারবেন না ওষুধের দোকানিরা। এমনকী প্রেসক্রিপশন ছাড়া পেইন কিলারও বিক্রি করা চলবে না।

Dengue: প্রেসক্রিপশন ছাড়া মিলবে না অ্যান্টিবায়োটিক, ডেঙ্গি জ্বর নিয়ে ছেলেখেলা রুখতে কড়া পদক্ষেপ রাজ্যের
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 01, 2022 | 10:03 AM

পুজো শুরু হলেও নিস্তার নেই ডেঙ্গির হাত থেকে। এর জেরেই বন্ধ করা হল প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিকের বিক্রি। প্রেসক্রিপশন ছাড়া আর অ্যান্টিবায়োটিক ও জ্বরের ওষুধ বিক্রি করতে পারবেন না ওষুধের দোকানিরা। এমনকী প্রেসক্রিপশন ছাড়া পেইন কিলারও বিক্রি করা চলবে না। রাজ্যে ডেঙ্গি সংক্রমণ বেড়ে চলেছে। জ্বর নিয়ে ছেলেখেলা বন্ধ করতেই এই কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে রাজ্য সরকার।

হাওড়া জেলা থেকে ইতিমধ্যেই প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিকের বিক্রি বন্ধ শুরু হয়েছে। এরপরেই মুখসচিব সব জেলাশাসক নির্দেশ দিয়েছে প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিকের বিক্রি বন্ধের। পাশাপাশি বন্ধ করা হয়েছে আইবুপ্রোফেন বিক্রিও। ডেঙ্গির জেরে জ্বর হলে এই ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক কোনও কাজ দেবে। উপরন্ত এই ধরনের অ্যান্টিবায়োটিকে পেটের ভিতর রক্তক্ষণের আশঙ্কা তৈরি হয়।

ডেঙ্গি জ্বরকে সাধারণ ভাইরাল ফিভার বলে উপেক্ষা করলে বাড়তে পারে সমস্যা। জ্বরের রোগীর যাতে অপচিকিওসা না হয় তাই এই ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে স্বাস্থ্যভবন। সামান্য জ্বর-সর্দি হলে ডাক্তার না দেখিয়ে প্যারাসিটামল খেয়ে নেন অনেকেই। এমনকী গা-হাত-পায়ে মারাত্মক ব্যথায় ওষুধের দোকানে বলে পেইন কিলার খান। ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কিংবা সঠিক রোগ না জেনে ওষুধ খাওয়াতে বিপদ ঘনিয়ে আসতে পারে। তা-ই প্যারাসিটামল, আইবুপ্রোফেন এবং অন্যান্য ব্যথা-যন্ত্রণানাশক ওষুধ প্রেসক্রিপশন ছাড়া বিক্রি করা চলবে না।

কিন্তু জ্বর হলে ডাক্তার দেখানোয় এত অনীহা কেন? অবস্থার বাড়াবাড়ি না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা মারাত্মক বিপদ ডেকে আনতে পারে। সংক্রামক রোগের চিকিৎসক অমিতাভ নন্দীর কথায়, “জ্বর হয়েছে, সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তার দেখান। দেরি করা মানেই বিপদ ডেকে আনা। দেরি করার অর্থ জীবাণুটাকে দীর্ঘদিন শরীরের মধ্যে পুষে রাখা। শুধু তা-ই নয়, যত দেরিতে চিকিৎসা শুরু হবে জটিলতা তত বাড়বে। ঠিক সময় চিকিৎসা শুরু করা না হলে ডেঙ্গিতে পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি এবং তার জেরে মানুষের মৃত্যু অবধি হতে পারে।”

এ বছর রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ২০ হাজারে ছাপিয়ে গিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার ডেঙ্গি রোগের ৩৯তম রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২০ হাজার ৩৩। গত এক সপ্তাহে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৪৭৪৪। বৃহস্পতিবার রাজ্যে নতুন করে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন ৬৩৫ জন। গত সপ্তাহের চেয়ে ডেঙ্গি পজিটিভিটি রেট ২ শতাংশ কমেছে।