Covid-19 Vaccine: কোভিড সংক্রমণের হাত থেকে রেহাই পেতে কি ফি বছর ভ্যাকসিন নিতে হবে? জানুন…

কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং শরীরে প্রয়োজনীয় অনাক্রমত্যতা গড়ে তুলতেই কিন্তু বুস্টার ডোজ প্রয়োজন। কিন্তু প্রতি বছর তা নিতে হবে কিনা সেই বিষয়ে এখনও স্পষ্ট কোনও নির্দেশিকা নেই

Covid-19 Vaccine: কোভিড সংক্রমণের হাত থেকে রেহাই  পেতে কি ফি বছর ভ্যাকসিন নিতে হবে? জানুন...
রোগের বিরুদ্ধে অনাক্রম্যতা গড়ে তুলতেই প্রয়োজন ভ্যাকসিনের
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 14, 2022 | 2:08 AM

বিশ্বজুড়ে যে ভাবে তাতে বসিয়েছে ওমিক্রম ( Omicron) তা রুখতে সবচেয়েব ভাল দাওয়াই ভ্যাকসিন ( Covid vaccine)। আর তা প্রমাণিত কোভিডের সংক্রমণের গ্রাফ থেকেই। বিশ্বজুড়েই সুনামির আকারে ছড়িয়ে পড়ে ওমিক্রন। প্রতিদিন প্রচুর সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। তবে রোগ-লক্ষণই তেমনই কারোর জটিল ছিল না। সেই সঙ্গে বেশিরভৈগ কিন্তু বাড়িতে থেকেই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। আর তাতেই উঠে এসেছে SARs-COV-2 ভ্যাকসিনের প্রয়োজনীয়তার কথা। কোভিড সংক্রমণ ঠেকাতে ভরসা যে ভ্যাকসিনেই একথা কিন্তু চিকিৎসকেরা একাধিকবার বলেছেন। দেশ জুড়েই চলছে কোভিড টিকার বুস্টার ডোজ। রোগ সংক্রমণের হাত থেকে রেহাই পেতেই বুস্টার ডোজের ভাবনা বিশেষজ্ঞদের। বুস্টার ডোজ নেওয়া থাকলে বাড়বে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। কিন্তু কোভিডের এই বুস্টারডোজও কি প্রতি বছর নিতে হবে?

ডেল্টার  মতই ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন প্রচুর মানুষ। কিন্তু গুরুতর শারীরিক সমস্যার শিকার হয়েছেন এমনটা কিন্তু বিশেষ দেখা যায়নি। এর আগে ডেল্টার প্রভাবে যাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন তাঁদের বেশিরভাগেরই মূল সমস্যা ছিল শ্বাসযন্ত্রে। ফুসফুসের সমস্যায় যেমন একাধিক জন ভিগেছেন তেমনই শরীরে অক্সিজেনের মাত্রাও কমে এসেছিল। ছিল একাধিক স্বাস্থ্য জটিলতাও। কিন্তু  ওমিক্রনের সংক্রমণ সেই তুলনায় অনেকটাই হালকা। একই সঙ্গে ওমিক্রনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কিন্তু অনেকটাই বেশি। কোভিডের এই ভ্যারিয়েন্ট এবার ৫০-বারেরও বেশি মিউটেশন হয়েছে। ভাইরাসের যত বেশি মিউটেশন হয় ততই সে সংক্রামক হয়ে পড়ে। আর এই কারণেই দরকার টিকাকরণের।

টিকা নেবার পর শরীরে যে রোগ প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি তৈরি হয় তার স্থায়িত্ব কিন্তু খুব বেশিদিন হয় না। যে কারণেই বুস্টার ডোজের প্রতি গুরুত্ব দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।  সেই সঙ্গে মিউটেশনের ফলে কোভিড ভাইরাসের সব স্ট্রেনই কিন্তু একে অন্যের তুলনায় আলাদা। আর তাই স্ট্রেনের সংক্রমণ রুখতে কার্যকরী এমন ভ্যাকসিনই কিন্তু নিতে হবে। ভ্যাকসিন নেবার পলেই ওমিক্রনের প্রবাব অতটাও তীব্র ভাবে পড়েনি। সেই সঙ্গে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লে কমানো গিয়েছে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা করানোর প্রয়োজনীয়তা।

আর যে কারণে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বুস্টার ডোজের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেক করেছেন।  বিশেষত বয়স্কদের ক্ষেত্রে এই বুস্টার ডোজ আগে নিতে হবে। কেননা তাঁদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম। সেই সঙ্গহে নিত্য নতুন ভ্যারিয়েন্টের সঙ্গে লড়াই করতে শরীরের উপযুক্ত অ্যান্টিবডিরও প্রয়োজন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই বুস্টার ডোজই কিন্তু আমাদের রক্ষা করে সংক্রমণের হাত থেকে। তবে প্রতি ছ’মাস অন্তর নাকি বছরে একটা বুস্টার ডোজ নিলেই চলবে সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছুই জানানো হয়নি। তবে বিষয়টি নিয়ে গবেষণা চলছে। সেই সঙ্গে আরও কিছু সংস্থা বুস্টার ডোজ তৈরিতে আগ্রহী হয়েছে। দেশ জুড়ে চলছে বুস্টার টিকাকরণ। কিন্তু প্রতিবছরই তা প্রয়োজন কিনা সেই নিয়ে এখনই স্পষ্ট কোনো নির্দেশিকা নেই।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।