Low BP Ayurvedic Remedies: লাগবে না ওষুধ, রান্নাঘরে থাকা এই উপাদানেই লো ব্লাড প্রেসার থাকবে নিয়ন্ত্রণে
Low BP Ayurvedic Treatment: হঠাৎ করে রক্তচাপ কমে গেলে সেখান থেকে একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যা আসতে পারে। তাই বাড়িতে সব সময় পিংক সল্ট রাখুন। প্রয়োজনে কাজে আসবে এবং হাতে সময়ও থাকবে
রক্তচাপ বেশিও যেমন ভাল নয় তেমনই কম হলে সেটাও খারাপ। সুস্থ থাকতে তাই প্রথমেই নজর দিতে হবে রক্তচাপের দিকে। রক্তচাপ ওঠানামা করাও ঠিক নয়। এক রক্তচাপ যাতে বজায় থাকে সেই চেষ্টা করতে হবে। স্বাভাবিক রক্তচাপ 120/80 mm Hg হওয়া উচিত। যখন কোন ব্যক্তির রক্তচাপ 90/60 mm Hg এর নিচে চলে যায় তখন তাকে নিম্ন রক্তচাপ। এই নিম্ন রক্তচাপ বা হাইপোটেনশনও কিন্তু শরীরের জন্য একদম ভাল নয়। রক্তচাপ হঠাৎ করে কমে গেলে ক্লান্তি, অস্পষ্ট দৃষ্টিশক্তি, দুর্বলতা, অস্থিরতা, মনসংযোগের অভাব, বমি বমি ভাব এসব লেগেই থাকে। সেই সঙ্গে কোনও সিদ্ধান্ত নিতেও অসুবিধে হয়।
রক্তচাপ ওঠানামা করলে, কম থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন। তিনি যদি কোনও ওষুধ খাওয়ার কথা বলেন তাহলে তাও খাবেন। এছাড়াও মেনে চলতে পারেন এই সব আয়ুর্বেদিক টোটকা। এতেও কিন্তু কাজ হবে। আর রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে খুব ভাল হল হিমালয়ান পিংক সল্ট। এক গ্লাস জলে হাফ চামচ হিমালয়ান সল্ট মিশিয়ে রোজ খান। এতে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে। সেই সঙ্গে শরীরের প্রয়োজনীয় খনিজের মধ্যেও সমতা বজায় থাকবে।
এই হিমালয়ান রক সল্ট পটাশিয়ামের খুব ভাল উৎস। যে কারণেই তা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। বাড়িতে যদি হঠাৎ কারোর রক্তচাপ কমে যায় তাহলে কিন্তু এই টোটকায় কাজ হয়ে যাবে। হিমালয়ান এই পিংক সল্ট স্বাদে নোনতা এবং সামান্য মিষ্টি ভাবও রয়েছে। এছাড়াও এই নুন বেশ ঠান্ডা এবং হজম করতে কোনও অসুবিধে হয় না। শরীরে সোডিয়াম-পটাশিয়ামের মাত্রা রাখে নিয়ন্ত্রণে। এর ফলে অনেক চর্মরোগের হাত থেকেও মুক্তি মেলে এই নুন ব্যবহারের ফলে।
যারা দীর্ঘদিন ধরে কফের সমস্যায় ভুগছেন তারাও যদি এই নুন খান তাহলে উপকার পাবেন। শরীরের জমে থাকা সব কফ বের করে দিতে খুবই কার্যকর হল পিংক সল্ট। সাধারণ জলে এই পিংক সল্ট মিশিয়ে নিলে তা শরীরের যাবতীয় টক্সিন বের করে দেয়। এতে শরীর তার খনিজের মধ্যেকার সমতা বজায় রাখতে সক্ষম হয়।
ঋতুপরিবর্তনে গলা ব্যথা, কফ-কাশিতে ভুগছেন? এক্ষেত্রেও কিন্তু খুব ভাল কাজ করে পিংক সল্ট। গলম জলে এক চিমটে হলুদ আর এই পিংক সল্ট দিয়ে গার্গল করতে হবে। এই মিশ্রণের মধ্যে রয়েছে ডিকনজেস্ট্যান্ট বৈশিষ্ট্য। যার ফলে জমে থাকা কফ, সর্দি, কাশি সহজেই পরিষ্কার হয়ে যাবে। বন্ধ নাক, গলা ছাড়াতেও এই টোটকা ভীষণ রকম কার্যকরী।