Long Term COVID Syndrome: রক্তের জমাট বাঁধাই লং কোভিড সিনড্রোমের মূল কারণ বলে মনে করছেন গবেষকরা
শ্বাসকষ্ট, সহজেই ক্লান্তি আসা এবং বেশি পরিমাণে ব্যায়াম একদমই করতে না পারা লং কোভিড সিনড্রোমের সাইড এফেক্ট হিসেবে দেখা যেতে পারে। এই সিনড্রোম বিশ্বব্যাপী লক্ষ লক্ষ মানুষকে প্রভাবিত করবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
লং কোভিড সিনড্রোমের রোগীদের রক্ত জমাট বাঁধার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। এর ফলে তাঁদের শারীরিক ফিটনেস কমতে থাকে। খুব সহজেই শরীরে ক্লান্তি নেমে আসার সম্ভাবনাও বৃদ্ধি পায়।
শ্বাসকষ্ট, সহজেই ক্লান্তি আসা এবং বেশি পরিমাণে ব্যায়াম একদমই করতে না পারা লং কোভিড সিনড্রোমের সাইড এফেক্ট হিসেবে দেখা যেতে পারে। এই সিনড্রোম বিশ্বব্যাপী লক্ষ লক্ষ মানুষকে প্রভাবিত করবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
আয়ারল্যান্ডের আরসিএসআই ইউনিভার্সিটি অব মেডিসিন অ্যান্ড হেলথ সায়েন্সেসের (RCSI University of Medicine and Health Sciences) গবেষকরা লং কোভিড সিনড্রোমের উপসর্গযুক্ত ৫০ জন রোগীকে পরীক্ষা করেন। এঁদের সবার মধ্যেই রক্ত জমাট বাঁধার অস্বাভাবিক প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়।
জার্নাল অফ থ্রম্বোসিস অ্যান্ড হেমোস্টেসিসে (Journal of Thrombosis and Haemostasis) প্রকাশিত তাঁদের গবেষণায় দেখা গেছে যে লং কোভিড সিনড্রোম আক্রান্ত রোগীদের রক্তে ক্লোটিং মার্কার একজন স্বাভাবিক মানুষের মার্কারের চেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি ছিল।
এই ক্লোটিং মার্কারগুলি সেই সকল রোগীদের মধ্যে বেশি ছিল যাঁদের কোভিডের একদম শুরুর দিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
এছাড়াও, গবেষকরা আরও দেখেছেন যাঁরা বাড়িতে থেকে চিকিৎসা করেছিলেন তাঁদের রক্তের মধ্যেও ক্লোটিং মার্কের উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি রয়েছে।
তাঁরা পর্যবেক্ষণ করেছেন যে জমাট বাঁধার এই মার্কিং যত বাড়বে ততই লং কোভিড সিনড্রোমের অন্যান্য লক্ষণগুলির মাত্রা শরীরে বাড়তে থাকবে যেমন বিভিন্ন ধরনের শারীরিক অসুস্থতা এবং ক্লান্তি।
যদিও প্রদাহের মাত্রা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে গিয়েছিল, কিন্তু রক্ত জমাট বাঁধার পরিমাণ কখনওই কমে যায়নি।
গবেষণার প্রধান লেখক এবং আরসিএসআই স্কুলের (RCSI School of Pharmacy and Biomolecular Sciences) পিএইচডি ছাত্র হেলেন ফোগার্টি (Helen Fogarty) বলেন, “প্রদাহের মাত্রা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসার সময় ক্লোটিং মার্কারগুলি উঁচু অবস্থানে ছিল। এই ফলাফলগুলি থেকে বোঝা যায় যে ক্লোটিং সিস্টেম লং কোভিড সিনড্রোমের মূল কারণের সাথে জড়িত থাকতে পারে।”
আরসিএসআই -এর আইরিশ সেন্টার ফর ভাস্কুলার বায়োলজির পরিচালক প্রফেসর জেমস ও’ডনেল (James O’Donnell, Director of the Irish Centre for Vascular Biology )উল্লেখ করেছেন যে একটি রোগের মূল কারণ বোঝা চিকিৎসার বিকাশের প্রথম ধাপ। এরপর চিকিৎসার নিরাময়ের উপায় জানা সম্ভব হবে।
ও’ডনেল আশঙ্কার সুরে বলেছেন,”লক্ষ লক্ষ মানুষ ইতিমধ্যে লং কোভিড সিনড্রোমের লক্ষণগুলির সঙ্গে মোকাবিলা করছেন। অসংক্রামক রোগীদের মধ্যে সংক্রমণ ঘটতে থাকায় আরও বেশি সংখ্যক মানুষ লং কোভিড বিকাশ করবেন।”
তিনি যোগ করেছেন, “এটা খুব জরুরী যে আমরা এই বিষয়ে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা আশাবাদী যে খুব তাড়াতাড়ি আমরা এই রোগ নিরাময়ের উপায় খুঁজে পাবো।”
আরও পড়ুন: বর্ষাকালে হাড়ের ব্যথা বা জয়েন্টের যন্ত্রণায় ভুগছেন? জেনে নিন কীভাবে এই ব্যথা কমাতে পারেন