Heart Failure: নীরবে থাবা বসাচ্ছে হার্টের অসুখ; এই লক্ষণগুলো ভুলেও এড়িয়ে যাবেন না…
Heart Attack: রোগের কারণ যা-ই হোক না কেন, হার্ট অ্যাটাকের প্রাথমিক লক্ষণগুলো সম্পর্কে অবগত থাকা বিশেষ জরুরি। সামান্য অসচেতনতার কারণেই ঘটে যেতে পারে অনেক কিছু।
দিন দিন বেড়ে চলেছে হৃদরোগে আক্রান্তের সংখ্যা। কিন্তু তার চেয়েও উদ্বেগের বিষয় হল কম বয়সে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট কিংবা হার্ট ফেইলিওরে মৃত্যু। কেকে থেকে শুরু করে সিদ্ধার্থ শুক্লা, সোনালী ফোগাটের মতো তারকাদের মৃত্যু প্রমাণ করে দিয়েছে যে ফিট থাকা সত্ত্বেও আপনি হার্ট অ্যাটাকের শিকার হতে পারেন। তাও ৬০-এর কোটা পেরোনোর আগেই। এত কম বয়সে কেন মানুষ হার্ট অ্যাটাকের শিকার হচ্ছেন এ নিয়েও নানা সচেতনতা রয়েছে। কিন্তু অনেক সময় মানুষ বুঝতেও পারেন না যে তিনি হার্ট অ্যাটাকের শিকার হয়েছে। নীরবেই ঘটে যায় অনেক কিছু। আবার অনেক ক্ষেত্রে উচ্চ রক্তচাপ, জেনেটিক রোগও হার্ট ফেইলিওরের কারণ হতে পারে। কিন্তু কারণ যা-ই হোক না কেন, হার্ট অ্যাটাকের প্রাথমিক লক্ষণগুলো সম্পর্কে অবগত থাকা বিশেষ জরুরি।
হৃৎপিণ্ডে রক্ত চলাচল যখন সঠিকভাবে হতে পারে না তখনই দেখা দেয় হার্ট অ্যাটাকের ঘটনা। এর কারণ হার্ট ব্লকেজও হতে পারে। অর্থাৎ ধমনীতে যদি ব্লকের কারণে রক্ত চলাচল না করতে পারে তখন অক্সিজেনের অভাবে হার্টের টিস্যু মরে যেতে শুরু করে। হার্ট অ্যাটাকের ক্ষেত্রে সাধারণত বুকে ব্যথা, বুকে চাপ লাগার মতো উপসর্গগুলো দেখা দেয়। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে নীরবেও হার্ট অ্যাটাক হয়ে যায়, যার ন্যূনতম উপসর্গও কেউ বুঝতে পারে না। এই ক্ষেত্রে হার্ট ফেইলিওর বা হার্ট অ্যাটাকের প্রাথমিক লক্ষণগুলো সম্পর্কে জেনে নিন…
ক্লান্তি: হৃদপিণ্ড যখন শরীরের শক্তির চাহিদা মেটাতে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত পাম্প করতে অক্ষম হয়, তখন শরীরে ক্লান্তি দেখা দেয়। তখন দৈনন্দিন কাজগুলি করতেও সক্ষম হয় না। সাধারণ কাজ করতে গেলেও ক্লান্তি লাগে। পাশপাশি শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দেয়। শরীরে অস্বস্তি হতে থাকে, এতে কাজেও মনোযোগ লাগে না।
শ্বাসকষ্টের সমস্যা: ফুসফুসে তরল জমা হতে করে। এর ফলে কাশি, শ্বাসকষ্ট এবং সর্দি-কাশির মতো উপসর্গ দেখা দেয়। অনেকেই মনে করেন যে এটি সামান্য ঠান্ডা লাগার উপসর্গ। কিন্তু সঠিক সময়ে সচেতন না হলেই ঘটে যেতে পারে বিপদ।
গোড়ালি ফুলে যাওয়া: হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে যাওয়ার কারণে হৃৎপিণ্ডের পাম্প করার ক্ষমতা থাকে না। ফলে রক্ত সারা শরীরে ঠিকভাবে পৌঁছতে পারে না। এতে শরীরের নীচের অংশ বিশেষত গোড়ালি, পা, উরু এবং তলপেটে তরল পদার্থ জমতে শুরু করে। এর ফলে শরীরের ওই অংশ ফুলতে শুরু করে। অনেকের ক্ষেত্রে ওজন বেড়ে যাওয়া সমস্যাও দেখা দেয়।
খিদের অভাব দেখা দেয়: হার্টের সমস্যা হলে তার প্রভাব পরিপাকতন্ত্রের উপরও পড়ে। এতে হজমের সমস্যা দেখা দেয়। খিদে কমে যায়, বমি বমি ভাবের সমস্যা দেখা দেয়।