AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে রোজ রাতে ২টি করে লবঙ্গ খান, উপকার মিলবেই!

লবঙ্গের গুণাবলী অনেক। তাই একে স্বাস্থ্যের অন্যতম সম্পদ বলাই যায়। বহু শারীরিক সমস্যার উপশমের জন্য নিয়মিত লবঙ্গ খেলে কী কী উপকার পাবেন, তা দেখে নিন...

কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে রোজ রাতে ২টি করে লবঙ্গ খান, উপকার মিলবেই!
ছবিটি প্রতীকী
| Updated on: Apr 06, 2021 | 11:55 AM
Share

হেঁসেলে লবঙ্গের (cloves) ঘটাতি কখনও হয় না। যে কোনও রান্নায় স্বাদ আনতে লবঙ্গ অপরিহার্য। শুধু অ্যারোমার কারণেই লবঙ্গের ব্যবহার হয়, তা কিন্তু নয়। আয়ুর্বেদিকশাস্ত্রে দুর্দান্ত ঔষধি হিসেবেও লবঙ্গের গুণের উল্লেখ রয়েছে।

লবঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে ফসফরাস, সোডিয়াম, পটাসিয়াম, ভিটামিন কে (Vitamin K), ফাইবার, ওমেগা থ্রি, ফ্যাটি অ্যাসিড, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন। লবঙ্গে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট রয়েছে।

কিন্তু কোন সময়ে লবঙ্গ খাওয়া উচিত? স্বাস্থ্যের জন্য লবঙ্গ যে কোনও সময়েই খাওয়া যায়। তবে রাতে শোওয়ার আগে মাত্র ২টো করে লবঙ্গ খেলে সঠিক  উপকার পাবেন। তারপর এক গ্লাস গরম জল খেয়ে শুয়ে পড়ুন। নিয়মিত এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে সারা জীবনের মতো কিছু মারাত্মক রোগ আপনার ধারেকাছে ঘেঁষতে পারবে না।

– এর জেরে আপনার হজমের সমস্যা উপশম ঘটে। যেম কোষ্ঠকাঠিন্য, পেটে ব্যাথা, গ্যাসের সমস্যা, অ্যাসিডিটির সমস্যা চিরতরে দূর হতে পারে।

– দাঁতের সমস্যায় ভুগছেন বহুদিন ধরে। এমনকি দাঁতের মাড়ি থেকে মাঝেমাঝেই রক্তপাতও ঘটে। তাহলে এই পদ্ধতি অনুসরণ করুন আজ থেকেই।

– যে কোনও ভাইরাসের সঙ্গে মোকাবিলা করতে প্রতিদিন রাতে ২টি করে লবঙ্গ ভালো করে চিবিয়ে খান। তারপর গরম জল খান। এরজেরে শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

– গলা ব্যাথা, গলার নানা রকম সমস্যা, নাক ডাকার অভ্যাস থাকলে কিংবা জিভে ঘা হলে লবঙ্গ চিবিয়ে গরম জল খান। কিছুদিন পরেই পাবেন সুফল।

লবঙ্গের কাড়া বানাবেন কীভাবে?

নিয়মিত রাতে লবঙ্গ চিবিয়ে খেতে অসুবিধা হলে আপনি লবঙ্গের কাড়া (Clove Kadha) বানিয়ে খেতে পারেন। প্রথমে ২টি লবঙ্গ গুঁড়ো করে পাউডারের মতো তৈরি করুন। একগ্লাস জল গরম করে তাতে গুঁড়ো করা লবঙ্গ দিয়ে ২-৩ মিনিট ফোটান। অল্প ঠান্ডা হলে চায়ের মতো করে খান। প্রতিদিন রাতে শোওয়ার আগে এই কাড়া খেতে পারেন। ঠান্ডা লাগা, কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে এই কাড়া কাওয়ার অভ্যেস করতে পারেন। শিশুরাও এই ভেষজ কাড়া খেতে পারে। কাড়ার মধ্যে অল্প মধু দিয়ে শিশুদের খাওয়াতে পারেন।