Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Cancer: বিস্কুট খেলে হতে পারে ক্যান্সার; নতুন তথ্য প্রকাশ গবেষণায়

চায়ের সঙ্গে বিস্কুট, টিফিনে বিস্কুট, খিদে পেলে বিস্কুট- বেশি পরিমাণে বিস্কুট খেলে হতে পারে ক্যান্সার। এমনটাই দাবি জানাচ্ছে হং কং-এ হওয়া নতুন গবেষণা। ৬০টি ভিন্ন ধরনের বিস্কুটের ওপর গবেষণা করার পর, হং কং-এর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে বিস্কুট খেলে বেড়ে যায় ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা।

Cancer: বিস্কুট খেলে হতে পারে ক্যান্সার; নতুন তথ্য প্রকাশ গবেষণায়
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 20, 2021 | 5:43 PM

চায়ের সঙ্গে বিস্কুট, টিফিনে বিস্কুট, খিদে পেলে বিস্কুট- বেশি পরিমাণে বিস্কুট খেলে হতে পারে ক্যান্সার। এমনটাই দাবি জানাচ্ছে হং কং-এ হওয়া নতুন গবেষণা। ৬০ টি ভিন্ন ধরনের বিস্কুটের ওপর গবেষণা করার পর হং কং-এর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে বিস্কুট খেলে বেড়ে যায় ক্যান্সারের সম্ভাবনা। যে বিস্কুটগুলির ওপর এই গবেষণা করা হয়েছে, সেগুলি আগে থেকে প্যাক করা ছিল। গ্লাইসিডল এবং অ্যাক্রিলামাইড নামক ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপাদান খুঁজে পাওয়া গেছে বিস্কুটের মধ্য থেকে। এই দুটি রাসায়নিক উপাদানই কার্সিনোজেন এবং ক্যান্সারকে প্ররোচিত করে।

যদিও যাঁরা বিস্কুট তৈরি করেন, তাদের কাছে অনুমতি রয়েছে এই দুটি রাসায়নিক যৌগ ব্যবহার করার, তবে অবশ্যই তার একটি সীমা রয়েছে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ব্রেঞ্চমার্কের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বিস্কুট তৈরির জন্য অ্যাক্রিলামাইডের পরিমাণ ৩৫০ গ্রামের মধ্যে হওয়া উচিত। এখনও পর্যন্ত এক কেজি বিস্কুট তৈরি করার ক্ষেত্রে ৩৫০ গ্রাম অবধি অ্যাক্রিলামাইড ব্যবহারের অনুমতি রয়েছে।

তবে গবেষণায় উঠে এসেছে অন্য তথ্য। ৪টি বিস্কুট তৈরির সংস্থা অতিক্রম করে গেছে এই অ্যাক্রিলামাইডের মাত্রা। অর্থাৎ তাঁরা ৩৫০ গ্রামের বেশি অ্যাক্রিলামাইড ব্যবহার করছেন এক কেজি বিস্কুট তৈরি করতে, যা শরীরে বাড়িয়ে তুলছে ক্যান্সারের ঝুঁকি। মুজির স্যান্ডউইচ ক্র্যাকার নামক একটি বিস্কুট ব্র্যান্ডে ৬২০ গ্রাম অ্যাক্রিলামাইড পাওয়া গেছে, যা নির্ধারিত সীমার দ্বিগুণ। কার্সিনোজেনিক বিস্কুটের মধ্যে ওরিও, মারি এবং প্রেটজ ওয়েফারের মধ্যেও এটি পাওয়া গেছে।

শুধু ক্যান্সারের যৌগ নয়, ৬০টির মধ্যে ৫৬টি বিস্কুটের মধ্যে পাওয়া গেছে ৩এমসিপিডি নামক একটি রাসায়নিক যৌগ, যা কিডনি সহ পুরুষদের প্রজনন অঙ্গ গুলির ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। যে ব্যক্তির ওজন ৬০ কেজি, তাঁর একদিনে ১২০ গ্রামের বেশি এই যৌগ গ্রহণ করা উচিত নয়। সেখানে এক কেজি বিস্কুটের মধ্যে পাওয়া গেছে ২,০০০ গ্রাম ৩এমসিপিডি। এখানেই শেষ নয়। কমপক্ষে ৩৩টি বিস্কুটের নুমনার মধ্যে উচ্চ ফ্যাট এবং ২৭টি নমুনায় উচ্চ সোডিয়াম এবং ১৩টির মধ্যে চিনির পরিমাণ বেশি ছিল। তার সঙ্গে চল্লিশ শতাংশ বিস্কুটে বিভ্রান্তিকর পুষ্টির লেবেল ছিল।

যদিও এটা প্রথমবার নয়, এর আগে সুইডেনে ১০ বছরের বেশি সময় ধরে ৬০,০০০ মহিলার মধ্যে একটি গবেষণা চালানো হয়েছিল। যেখানে মহিলারা সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার বিস্কুট খেয়েছিলেন তাদের গর্ভের ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা ৩৩ শতাংশ বেশি ছিল। যেসব মহিলারা সপ্তাহে তিনবারের বেশি বিস্কুট খেয়েছিলেন তাদের টিউমার হওয়ার সম্ভাবনা ৪২ শতাংশ বেশি ছিল।

হং কং-এ এই গবেষণা হলেও বিশ্বব্যাপী এই গবেষণা মান্যতা পেয়েছে। উপরন্ত ২০১৭ সালে, ভারতে যখন বিস্কুটের ওপর গবেষণা করা হয়েছিল, সেখানেও ফ্যাট ও চিনির পরিমাণ বেশি তা ধরা পড়ে। এক কেজি বিস্কুটে ২৫-৩০ গ্রাম চিনি এবং ২০ গ্রাম ফ্যাট পাওয়া গিয়েছিল সেই সময়। একই সঙ্গে বিস্কুটের মধ্যে রয়েছে অত্যধিক পরিমাণে নুন, যা হার্টের ক্ষতি করে।

আরও পড়ুন: মেনোপজের পর কেন সহজেই ভেঙে যায় হাড়? জানুন কীভাবে রোধ করবেন এই হাড়ের ক্ষয়

আরও পড়ুন: ভেজানো আখরোট শরীরের ক্ষেত্রে কতটা কার্যকরী জানেন?

আরও পড়ুন: ক্যান্সার প্রতিরোধে কি ব্রাজিলীয় বাদামের কোনও ভূমিকা রয়েছে? জেনে নিন