মশাবাহিত-রোগ থেকে বাঁচতে যে যে গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলি অবশ্যই করা উচিত, তা জেনে রাখা ভাল

বর্তমানে ম্য়ালেরিয়ার পাশাপাশি মারাত্মক মশাবাহিত রোগ হিসেবে ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু এই রোগ সারাবার ও রোগ থেকে মুক্তি মেলার উপায় কী?

মশাবাহিত-রোগ থেকে বাঁচতে যে যে গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলি অবশ্যই করা উচিত, তা জেনে রাখা ভাল
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 22, 2021 | 8:05 AM

প্রতিবছর ২০ অগস্ট বিশ্ব মশা দিবস হিসেবে পালিত হয়। দিনটি পেরিয়ে গেলেও এর গুরুত্ব কখনও বাদ দেওয়া যায় না। কারণ সূর্য ডোবার পর কানের কাছে গুণ গুণ সুরে যাঁরা বাড়ির মধ্যে হু হু করে প্রবেশ করে, তারা সারা বছর ধরেই অতিষ্ঠ করে রাখে। একটি ছোট্ট পাখনা-যুক্ত মশার দৌরাত্ম্যে সন্ধে হতে না হতেই নানান প্রতিরোধমূলক জিনিসপত্র নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করি আমরা। এবছর বিশ্ব মশা দিবসের থিম ছিল দুনিয়া থেকে ম্যালেরিয়া নামক রোগটি সম্পূর্ণ মুছে ফেলতে। ভালো উদ্যোগ। তবে বর্তমানে ম্য়ালেরিয়ার পাশাপাশি মারাত্মক মশাবাহিত রোগ হিসেবে ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু এই রোগ সারাবার ও রোগ থেকে মুক্তি মেলার উপায় কী?

আজকের দিনেও ম্যালেরিয়ার মতো মশাবাহিত রোগকে নিয়ে উদ্বেগের শেষ থাকে না সাধারণ মানুষের। মহিলা অ্যানোফিলিস মশাবাহিত জনপ্রিয় রোগ ম্যালেরিয়া সংক্রমণের জন্য দায়ী। ইতিহাস বলছে, ১৮৯৭ সালে এক ব্রিটিশ ডাক্তার স্যার রোনাল্ড রস এক যুগান্তকারী আবিষ্কার করেন। মানুষের মধ্যে প্রাণঘাতী ম্যালেরিয়া সংক্রমণ যে এক মহিলা মশার কারণ হয়, তা জানতে পেরেছিলেন। ডেঙ্গু, জিকা ভাইরাস, চিকুনগুনিয়া ও ম্যালেরিয়ার মতো প্রাণঘাতী রোগ ছড়ানোর জন্য় একটি ছোট্ট মশার কামড়ই যথেষ্ট। মশাবাহিত রোগের সমস্যা মোকাবিলায় একটি প্রাথমিক ও গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হল মশার কামড় থেকে সমস্তরকম প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া।

মশা-বাহিত রোগ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারবেন, এমন কিছু উপায়ের কথা দেওয়া রইল এখানে…

জল থেকে মুক্তি পান

স্যাঁতস্যাঁতে জায়গা ও স্থির জলযুক্ত স্থানগুলিতে মশার প্রজননক্ষেত্র হিসেবে সুপরিচিত। মশার বংশবৃদ্ধি এড়াতে, আশেপাশের সব এলাকাগুলি শুষ্ক ও পরিস্কার রাখার চেষ্টা করা দরকার। ছোট-বড় সব সাইজের গর্তগুলিতে যাতে জল জমা না হতে পারে, তা নজর রাখা প্রয়োজন।

মশা তাড়ানোর যন্ত্র ব্যবহার করা

মশার মরসুমে মশা তাড়ানোর ক্রিম, স্প্রে করতে যেন ভুলবেন না। নিজের ও পরিবারের জনম্য সেরা বিকল্পটিই বেছে নিন। সেরা ফলাফলের জন্য একজন ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করতে পারেন।

নিজেকে ঢেকে রাখুন-

বাড়ির বাইরে গেলে, এমব পোশাক পরুন, যাতে আপনার হাত-পা পুরোপুরি ঢাকা থাকে। ত্বকের সংস্পর্শ এড়ানোর জন্য ঢাকা পোশাকই আদর্শ।

ঘরের মধ্যে মশা যাতে প্রবেশ করতে না পারে

মশা-সহ বিভিন্ন পোকামাকড় অন্ধকার ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বেশি আকৃষ্ট হয়। এর অর্থ হল, বাড়িতে বসবাসের জায়গাগুলি ভালভাবে আলো জ্বলে, বায়ু চলাচল করে, পরিস্কার থাকে তা বিশেষভাবে লক্ষ রাখা দরকার। মশার উত্‍পাত যেসময় বেশি থাকে, সেই সময় বাড়ির জানলা, দরজা বন্ধ রাখুন ও জানলা-দরজার অতিরিক্ত মশারির মতো নেট ব্যবহার করে মশার প্রবেশে বাধা সৃষ্টি করতে পারেন।

ঘুম যেন নিরাপদে হোক

ঘুমের সময় মশার কামড় থেকে নিজেকে রক্ষা করতে প্রতিদিন অবশ্যই মশারি ব্যবহার করা উচিত। খোলা ও স্যাঁতস্যাঁতে জায়গায় ঘুমানো এড়িয়ে চলুন। মশার কামড় রোধ করতে মশারি ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও বিছানা সর্বদা পরিস্কার বেডকভার দিয়ে ঢাকা থাকে।

আরও পড়ুন: Coronavirus: ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট শিশুদের জন্য বিপজ্জনক! কী কী লক্ষণ দেখা দিলে বুঝবেন আপনার বাচ্চা ডেল্টায় আক্রান্ত?