যৌন উত্তেজনার সময় পুরুষাঙ্গের সমস্যা নিয়ে আলোচনায় লজ্জা? এর সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে হার্ট অ্যাটাকের
Erectile Dysfunction-Heart Health: যৌন মিলনের সময় ইরেকশন পেতে বা ধরে রাখতে সমস্যা হওয়াই ইরেক্টাইল ডিসফাংশন নামে পরিচিত। এমন ঘটনা মাঝেমধ্যে ঘটতেই পারে। কিন্তু দিনের পর দিন ইরেক্টাইল ডিসফাংশনে ভুগলে মানসিক চাপ সৃষ্টি হয়। তার সঙ্গে বাড়ে হৃদরোগের ঝুঁকি। অন্তত এমনটাই দাবি জানাচ্ছে গবেষণা।
যত দিন যাচ্ছে পুরুষদের মধ্যে ইরেক্টাইল ডিসফাংশনের সমস্যা বাড়ছে। কখনও মানসিক চাপ, কখনও শারীরিক দুর্বলতা। কিন্তু বড় সমস্যা হল, ইরেক্টাইল ডিসফাংশন নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করতে লজ্জা পাওয়া। ১৬ থেকে ২৬ বছর বয়সে পুরুষদের যৌন বাসনা বিভিন্ন পর্যায়ের মধ্যে দিয়ে যায়। কিন্তু এর মধ্যে যদি ইরেক্টাইল ডিসফাংশনের শিকার হন, অনেকেই বুঝতে পারেন না যে কী করবেন। কার সঙ্গে কথা বলবেন। ইরেক্টাইল ডিসফাংশন নিয়ে সচেতন না হলে যৌন জীবন উপভোগ করতে পারবেন না। তার উপর বাড়বে হৃদরোগের ঝুঁকি। শুনে ভয় লাগছে?
যৌন মিলনের সময় ইরেকশন পেতে বা ধরে রাখতে সমস্যা হওয়াই ইরেক্টাইল ডিসফাংশন নামে পরিচিত। এমন ঘটনা মাঝেমধ্যে ঘটতেই পারে। কিন্তু দিনের পর দিন ইরেক্টাইল ডিসফাংশনে ভুগলে মানসিক চাপ সৃষ্টি হয়। তার সঙ্গে বাড়ে হৃদরোগের ঝুঁকি। অন্তত এমনটাই দাবি জানাচ্ছে গবেষণা। গবেষণায় দেখা গেছে যে পুরুষরা ইরেক্টাইল ডিসফাংশনে ভুগছেন তাদের হার্ট অ্যাটাক, কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট বা স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা দ্বিগুণ বেশি। কিন্তু কেন? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
উচ্চ রক্তচাপ এবং বাড়তি খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা ইরেক্টাইল ডিসফাংশনের অন্যতম কারণ। আর এই দুটি বিষয় হৃদরোগের ঝুঁকিও ডেকে আনে। ২০০০ জন পুরুষের মধ্যে করা গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যে সব পুরুশেরা ইরেক্টাইল ডিসফাংশনে ভোগেন, তাঁদের মধ্যে হার্টের সমস্যাও রয়েছে। হপকিন্স স্কুল অফ মেডিসিনের করা এই গবেষণা ইঙ্গিত দেয় যে, ইরেক্টাইল ডিসফাংশন ও কার্ডিওভাস্কুলার রোগের মধ্যে সংযোগ রয়েছে।
মস্তিষ্ক, আবেগ, স্নায়ু, পেশী, রক্তনালি এবং হরমোনের কার্যকারিতা সব কিছুই নির্ভর করে পুরুষের মধ্যে যৌন উত্তেজনা বাড়াতে। তাই ইরেক্টাইল ডিসফাংশনের সমস্যা বাড়লে এই বিষয়গুলোও এর সঙ্গে জড়িত। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শারীরিক ও মানসিক সমস্যার সংমিশ্রণ ইরেক্টাইল ডিসফাংশন। এছাড়া আপনি যদি উচ্চ কোলেস্টেরল, রক্তচাপ, আর্টারি ব্লকেজ, ওবেসিটি, ডায়াবেটিস কিংবা অনিদ্রার সমস্যায় ভোগেন, তখনও ইরেক্টাইল ডিসফাংশন দেখা দিতে পারে। ধূমপান ও মদ্যপানও ইরেক্টাইল ডিসফাংশনের সমস্যা বাড়াতে পারে। আর এই বিষয়গুলো হার্টের উপরও প্রভাব ফেলে। যেখান থেকে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকের মতো মারণ অবস্থা তৈরি হয়। তাই ইরেক্টাইল ডিসফাংশন নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করলে আপনাকে হৃদরোগে ভুগতে হতে পারে।