AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Heat Stroke: মেঘলা হলেও ক্রমশ চড়ছে গরম, মার্চেই তাপ প্রবাহের আশঙ্কা! হিট স্ট্রোক এড়াবেন কীভাবে?

Summer Season: স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, গ্রীষ্মকালে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়া স্বাভাবিক ঘটনা। ক্রমশ বাড়তে থাকা তাপপ্রবাহের জেরে বাড়তে থাকবে সানস্ট্রোক, হিট ক্র্যাম্প, ক্লান্তি ও হিট স্ট্রোকের মতো সমস্যাগুলি।

Heat Stroke: মেঘলা হলেও ক্রমশ চড়ছে গরম, মার্চেই তাপ প্রবাহের আশঙ্কা! হিট স্ট্রোক এড়াবেন কীভাবে?
ছবিটি প্রতীকী
| Edited By: | Updated on: Mar 12, 2023 | 7:30 AM
Share

বসন্ত এখনও যায়নি। মার্চের শুরুতেই মনে হচ্ছে গ্রীষ্মকালের চরমে পৌঁছে গিয়েছে। কাঠফাটা রোদ আর প্যাচপ্যাচে গরমের জেরে কেরালার বিভিন্ন এলাকায় বেশ কয়েকজন হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। শুধু কেরল নয়, পশ্চিমবঙ্গ-সহ দেশের বিভিন্ন রাজ্যেই তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আবহাওয়া দপ্তর থেকে ইতোমধ্যেই সতর্ক বার্তা শুনিয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে, মার্চের শেষদিকে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে সাধারণ মানুষে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারেন। তাই হিট ওয়েভ থেকে রক্ষা করা সবার আগে গুরুত্বপূর্ণ। ইতোমধ্যেই কেরালার তিরুবনন্তপুরম, কোট্টায়াম, আলাপ্পুঝা, পাঠানামথিট্টা এবং কোঝিকোড় জেলাগুলিতে তাপপ্রবাহ শুরু হয়ে গিয়েছে। কেরালা ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গেও বাড়ছে গরমের হার। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে মার্চেই প্রায় ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা পৌঁছে যেতে পারে। পাশাপাশি হাওয়া গরম হচ্ছে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন এলাকাগুলিতেও।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, গ্রীষ্মকালে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়া স্বাভাবিক ঘটনা। ক্রমশ বাড়তে থাকা তাপপ্রবাহের জেরে বাড়তে থাকবে সানস্ট্রোক, হিট ক্র্যাম্প, ক্লান্তি ও হিট স্ট্রোকের মতো সমস্যাগুলি। সঠিক সময়ে সঠিক চিকিত্‍সা না করলে এর জেরে মানুষের চরম পরিণতিও হতে পারে। সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন অনুসারে, হিট স্ট্রোক বা সানবার্ন শরীর ও বাইরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয় ও দ্রুত শরীর খারাপ করতে শুরু করে। হিট স্ট্রোকে আক্রান্তদের মধ্যে ১০ মিনিটের মধ্যেই শরীরের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তারও বেশি হতে পারে। শরীরের অতিরিক্ত গরমের কারণেই সাধারণত হিটস্ট্রোক হতে পারে। হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হলে কয়েকটি লক্ষণ দেখে বোঝা যায়, সেগুলি কী কী তা জেনে রাখুন এখানে..

– বিভ্রান্ত হওয়া, মানসিক পরিস্থিতি স্থায়ী না হওয়া

– অচৈতন্য হয়ে যাওয়া

– গরম লেগে ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া ও প্রচুর ঘাম বের হওয়া

– খিঁচুনি ধরা

– শরীর অতিরিক্ত গরম হয়ে যাওয়া

তাপপ্রবাহ থেকে নিজেকে রক্ষা করবেন কীভাবে?

চিকিত্‍সকদের মতে, বাইরে যত তাপমাত্রা বাড়তে থাকবে ততই অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই বেশ কয়েকটি উপায় যদি মেনে চলা হয়, তাহলে হিটস্ট্রোক থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব। সেগুলি কী কী, তা দেখে নিন একনজরে..

– নিজেকে হাইড্রেটেড রাখতে প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন। পানীয় জলের পাশাপাশি নারকেলের জল, বাটারমিল্ট খেতে পারেন। তাতে শরীর থাকে ঠান্ডা। সারাদিন নিয়ম করে পানীয় জল খেলে তৃষ্ণাও পাবে কম।

– খুব গরম আবহাওয়ায় মদ্যপান, অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকুন। তাতে শরীরে ডিহাইড্রেশন তৈরি হয়। ভারী খাবার একেবারেই খাবেন না। তেল-মশলা দেওয়া খাবার খেলে হজমের সমস্যা তৈরি হয়। এই সময় জলের পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে স্যালাদ ও স্যুপ খেতে পারেন।

– প্রয়োজন না হলে বাড়ির বাইরে বের হবেন না। বের হলেও ছাতা, পানীয় জল, সানস্ক্রিন মেখে তবেই বের হোন। পারলে সুতির কাপড় দিয়ে মুখ ঢেকে বের হতে পারেন। তাপপ্রবাহে বাচ্চা ও প্রবীণরা বাড়ির বাইরে বের হবেন না।

– ভোরবেলা ছাড়া দিনের সময় ব্যায়াম করবেন না। বা কঠোর পরিশ্রম থেকে এড়িয়ে চলুন। সকাল ১০ টার আগে বা বিকেল ৫টার পর ভারী কাজ করুন।

– ক্যাফাইন জাত খাবার ও চিনিযুক্ত পানীয় খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

– গাঢ় ও আঁটোসাটো পোশাক একেবারেই নয়, ভারী পোশাক পরবেন না। যতটা সম্ভব সুতির কাপড় ব্যবহার করুন।

– টুপি ও সানগ্লাস ছাড়া রোদে বের হবেন না। পোষ্যদেরও এইসময় সঠিক পরিচর্চার প্রয়োজন।