Hydration Tips: গরম থেকে বাঁচতে তেষ্টা না পেলেও ঘনঘন জল খাচ্ছেন? জেনে নিন কতটা তরল প্রয়োজন

Heatwave: হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি এড়াতে বিশেষজ্ঞেরা বলছেন প্রচুর পরিমাণে জল খেতে। কিন্তু কতটা পরিমাণ জল পান করলে আপনি রোগমুক্ত থাকতে পারবেন—এর কি কোনও নির্দিষ্ট হিসেব রয়েছে?

Hydration Tips: গরম থেকে বাঁচতে তেষ্টা না পেলেও ঘনঘন জল খাচ্ছেন? জেনে নিন কতটা তরল প্রয়োজন
গ্র্যাফিক্স: অভীক দেবনাথ
Follow Us:
| Updated on: Apr 29, 2022 | 2:32 PM

Summer Health Tips: আপাতত অস্বস্তিকর গরমে থেকে মুক্তি নেই রাজ্যবাসীর। গত এক সপ্তাহ ধরে তাপমাত্রার পারদ বেড়েছে হু-হু করে। এর সঙ্গে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় চলছে তাপপ্রবাহ। সানস্ট্রোকে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে প্রতিনিয়ত। এই পরিস্থিতিতে নিজেকে সুস্থ রাখাই মূল উদ্দেশ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। হিট স্ট্রোকের (Heat Stroke) ঝুঁকি এড়াতে বিশেষজ্ঞেরা বলছেন প্রচুর পরিমাণে জল খেতে। কিন্তু কতটা পরিমাণ জল পান করলে আপনি রোগমুক্ত থাকতে পারবেন—এর কি কোনও নির্দিষ্ট হিসেব রয়েছে? সুস্থ থাকার মোক্ষম দাওয়াই হাইড্রেশন। আর এই হাইড্রেশনের অর্থ কি শুধুই জলের ওপর নির্ভরশীলতা? এই সব প্রশ্নের উত্তর TV9 বাংলাকে দিলেন রবীন্দ্রনাথ টেগোর ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ কার্ডিয়াক সায়েন্সেস হাসপাতালের জেনারেল ফিজিশিয়ান ডাঃ অরিন্দম বিশ্বাস।

অরিন্দমবাবু বলেন, “আমরা সারাদিনে ৩ থেকে ৪ লিটার তরল পদার্থ পান করি। এর মধ্যে জলও রয়েছে। কিন্তু এখন যেহেতু তাপমাত্রা প্রচণ্ড বেড়ে গিয়েছে, ঘামের পরিমাণও বেড়ে গিয়েছে। কারও বেশি ঘাম হয়, কারও কম। কিন্তু অতিরিক্ত গরমের মোকাবিলা করার জন্য এখন আরও ১ থেকে ১.৫ লিটার জল বেশি পান করতে হবে।”

অনেকেই বলছেন তৃষ্ণা না পেলেও অতিরিক্ত গরমে সুস্থ থাকার জন্য জল পান করতে হবেই। কিন্তু ডাঃ বিশ্বাস বলছেন অন্য কথা। তিনি জানান, আমাদের জল কখন খাওয়া দরকার সেটা আমরা বুঝতে পারি তৃষ্ণার মাধ্যমে। এই বিষয়টি ব্যাখ্যা করে তিনি বলেছেন, “ধমনীতে যখনই তরল পদার্থ কমে যায়, তখন সেটা হাইপোথেলামাস পর্যায়ে পৌঁছে যায়। এই হাইপোথেলামাস হচ্ছে সেই পর্যায় যেখানে মস্তিষ্ক সিগন্যাল পায় যে শরীরে তরলের পরিমাণ কমে গিয়েছে। তখনই তৃষ্ণা পায়।”

HOW MUCH WATER TO BE CONSUMED IN SUMMER

কিন্তু এই গরমে তেষ্টা মেটাতে শুধু জল পান করাই যথেষ্ট নয়। অরিন্দমবাবু জানিয়েছেন, ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে সমস্ত খনিজ পদার্থ বেরিয়ে যায়। এই সময় শরীরের দরকার মিনারেল, সোডিয়াম, পটাশিয়াম। এর জন্য মিনারেল-সমৃদ্ধ তরল পান করতে হবে। এর জন্য ডাক্তারবাবু বলছেন নুন চিনির জল, ওআরএস-এর জল, ফলের রস, তরমুজ, আনারসের মতো ফল, লেবুর রস খেতে পারেন।

রাস্তায় বেরোলেই তেষ্টা মেটাতে অনেকেই কোল্ড ড্রিঙ্ক পান করেন। এটা স্বাস্থ্যের পক্ষে খুব ক্ষতিকারক। এই প্রসঙ্গে অরিন্দমবাবু বলছেন, “কোল্ড ড্রিঙ্ক আদতে ক্ষতি করে শরীরের। এটা ধমনী থেকে জল বের করে দেয়। এর ফলে তৈরি হয় ডিহাইড্রেশনের সমস্যা। এরপর আবার তেষ্টা পায়, আবার আপনি একটা কোল্ড ড্রিঙ্ক কিনে খেয়ে নেন। এই বারবার ঠান্ডা পানীয় খাওয়ার প্রবণতায় পেট ভরে যায়, আর শরীরে অস্বস্তি দেখা দেয়। কিন্তু এতে শরীর হাইড্রেটেড হয় না।” সুতরাং এই গরমে তেষ্টা মেটাতে ভুলেও কোল্ড ড্রিঙ্ক নয়।

কড়া রোদ থেকে এসেই ফ্রিজ থেকে ঠান্ডা জল বের করে পান করছেন? এতে শরীরের ক্ষতি হচ্ছে-এটা সম্পূর্ণ সত্য নয়। অরিন্দমবাবু জানান, ঠান্ডা জল পান করলে গলায় তাৎক্ষণিক আরাম পাওয়া যায় ঠিকই, কিন্তু ততটুকুই। গলার নীচ থেকে আমরা আর কিছু অনুভব করতে পারি না। এর বেশি আর কিছু হয় না।

আরও পড়ুন: পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশনে ডুবেছিলেন নেহা ধুপিয়াও, ভয় নেই কাটিয়ে উঠুন আপনিও! রইল বিশেষজ্ঞের পরামর্শ