ফুটন্ত দুধের মধ্যে লেবুর রস, ভিনিগার বা অম্ল জাতীয় পদার্থ যোগ করে ছানা কাটিয়ে তবেই তৈরি করা হয় পনির। আগে বাড়িতেই এই পনির তৈরি করা হলেও এখন অধিকাংশ ক্ষেত্রে তা কিনে আনা হয়। অনেকের দুধে সমস্যা থাকে তবে পনির খেলে তাঁদের আবার কোনও রকম সমস্যা হয় না।
নিরামিষভোজীদের মধ্যে পনির অন্যতম জনপ্রিয় খাবার। প্রোটিন এবং ক্যালসিয়ামে সমৃদ্ধ পনির শরীরের প্রোটিনের প্রয়োজন মেটাতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে হাড়ও রাখে মজবুত।
পনির দিয়ে একাধিক খাবার বানানো যায়। পনির বাটার মশলা, পনির দো পেঁয়াজা, পনির টিক্কা কাবাব, পনির আচারিয়া এসব খুবই জনপ্রিয় খাবার। আবার বাড়িতে তৈরি হালকা পনিরও রুটি বা পরোটার সঙ্গে খেতে বেশ লাগে।
তবে রোজ রোজ পনির খাওয়াও ভাল নয়। এখান থেকে হতে পারে গ্যাস, অম্বলের সমস্যা। যাঁদের দুধে কোনও সমস্যা আছে কিন্তু পনির খেলে অসুবিধে নেই তাঁদেরও বুঝে খাওয়া উচিত। যেহেতু পনিরে প্রচুর পরিমাণে ল্যাকটোজ থাকে, তাই অনেক ক্ষেত্রে পেট ভার বা গ্যাস হতে পারে। বদহজম ও পেট ব্যথার সম্ভাবনাও থাকে।
শরীরের জন্য প্রোটিন ভাল। তবে অতিরিক্ত প্রোটিন হয়ে গেলে তা হজম করতে অনেকটা সময় চলে যায়। এছাড়াও পনির মধ্যে যথেষ্ট ফ্যাট থাকে। তাই যাঁরা ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন তাঁদের একদমই পনির খাওয়া ঠিক নয়।
কোলেস্টেরল বা হার্টের সমস্যা থাকলেও বুঝে পনির খান। সেক্ষেত্রে রোজ যদি ৫ টুকরো করেও পনির খান সেখান থেকেও হতে পারে সমস্যা। হার্টের রোগীদের সব খাবারই মেপে খেতে হবে। সময়ে খেতে হবে। অতিরিক্ত কোনও কিছুই চলবে না। বেশি খেলেই সমস্যা।