AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

বাড়ির বড়দের সুস্থ রাখতে গিয়ে বাদ পড়ছে শিশুরা! কোভিড টেস্টে ‘না’ বহু অভিভাবকদের

করোনা যে শুধু প্রাপ্ত বয়স্কদের উপর হানা দিচ্ছে তা একেবারেই নয়। প্রথম ঢেউ আছড়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে সারা বিশ্বে কয়েকদিনের শিশু থেকে পাঁচ বছরের শিশুদের মধ্যে করোনা সংক্রমণের লক্ষণ দেখা গিয়েছিল। কিন্তু এবার!

বাড়ির বড়দের সুস্থ রাখতে গিয়ে বাদ পড়ছে শিশুরা! কোভিড টেস্টে 'না' বহু অভিভাবকদের
ছবিটি প্রতীকী
| Updated on: May 04, 2021 | 5:27 PM
Share

বড়দের পাশাপাশি ছোটরাও ব্যাপকহারে করোনা আক্রান্ত হয়ে পড়ছে। তবে চিকিত্‍সকদের মতে, ছোটরা আক্রান্ত হলেও বড়দের মতো তেমন জটিলতা সৃষ্টি করছে না। কিন্তু তাঁদেরও স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিতে হবে। ২ বছরের উপরের সকল শিশুদেরই মাস্ক পড়ার অভ্যাস করাতে হবে। নিয়মিত অক্সিজেন লেভেল মাপা আবশ্যিক। শরীরে অস্থিরতা তৈরি হলে অবশ্যই ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ নিন।

এ প্রসঙ্গে উঠে আসছে নতুন তথ্য। বাড়ির সব সদস্যদের কোভিড টেস্ট করা হলেও বাদ পড়ছে দুধের শিশুগুলি। কারণ ২ বছরের নীচে কোবিড সাধারণত হয় না, এমন ধারণা অনেকেরই রয়েছে। আর সেই জন্য অসুস্থ হলেও হচ্ছে না কোভিড টেস্ট। বড়দের পাশাপাশি তাঁদেরও আইসোলেট করা দরকার। কারণ শিশুদের থেকেও এই মারণবাইরাস ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। ১৬ বছরের নীচে যাঁদের বয়স, অসুস্থ বোধ হলে ডাক্তারের পরামর্শ অবশ্যই নিতে হবে। যদি গুরুতর হয় তাহলে কোভিড টেস্ট করিয়ে হাসপাতালে যোগাযোগ করুন। সংক্রমণের দ্বিতীয় সুনামির জেরে মানুষ এখন দিশেহারা। তাই ভয় না পেয়ে যে কোনও বয়সের শিশুদের কোভিড টেস্ট করিয়ে নেওয়া দরকার। ১০ বছরের নিচে ও পাঁচ বছরের নীচে বয়স এমন শিশুদের মধ্যে অল্প উপসর্গের করোনা সংক্রমণের লক্ষণ দেখা দিচ্ছে। ফলে বাইরে থেকে না বোঝা গেলেও তাঁদের জ্বর, গায়ে র‍্যাসেস, গায়ে ব্যাথা, দুর্বলতা, মুখে অরুচির মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। ভয় না পেয়ে সঠিক যত্ন ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা জরুরি। অন্যদিকে কিশোর-কিশোরীদের ক্ষেত্রেও তেমন ভয়ের কিছু নেই। মুখে মাস্ক, বার বার জল ও সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার মতো নিয়মবিধিগুলি তাঁদের মধ্যে অভ্যেসে পরিণত করার চেষ্টা করতে হবে।

অনেক অভিভাবক বিশ্বাস করেন, কোথাও থেকে বেড়িয়ে এলে বাড়ির ছোট্ট সদস্যের কোভিড টেস্ট করানোর দরকার নেই। এই চরম ভুল একেবারেই করবেন না। কারণ এই মারণ ভাইরাস কাউকেই ছেড়ে দিচ্ছে না। তাঁদের শরীরের নানান অবস্থার প্রতি চোখ রাখুন। কোনও অস্বাবিক লক্ষণ দেখা দিলেই ব্যবস্থা নিন। বাড়ির বড়দের সুস্থ করতে গিয়ে চোখ এড়িয়ে যাচ্ছে ছোটরা। ফলে তাঁদের উপর লকডাউনের প্রভাবের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ির এই পরিস্থিতিতে মানসিক দিক থেকেও সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। রেগে যাওয়া, খিটখিটে হয়ে যাওয়া, জেদ বেড়ে যাওয়া, অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়া এইসব সমস্যা তৈরি হতে পারে। তাই প্রাপ্ত বয়স্কদের পাশাপাশি ছোটদের স্বাস্থ্যের প্রতিও যত্নশীল হওয়া এই কঠিন পরিস্থিতিতে একান্ত কাম্য।