Menopause Tips: বেশি সময় পর্যন্ত মেনোপজ এড়িয়ে চলতে এই বিষয়গুলি মেনে চলুন
যদিও বেশিরভাগ মহিলাদের ৫২ বছর বয়সের আশেপাশে মেনোপজের অভিজ্ঞতা হয়, কিন্তু কিছু জেনেটিক্স, আভ্যন্তরীণ সমস্যা বা ডিম্বাশয়ের ক্ষতি হলে তাঁদের জীবনের প্রথম দিকে হঠাৎ মেনোপজ ঘটে যেতে পারে।
একজন মহিলার মাসিক চক্রের থেমে যাওয়া যা তাঁর উর্বরতার সমাপ্তি চিহ্নিত করে, সেই অবস্থাকে মেনোপজ বলা হয়। এটি তাঁর হরমোনাল সাইকেলের সমাপ্তি অর্থাৎ পিরিয়ডের সমাপ্তিকে চিহ্নিত করে। যদিও বেশিরভাগ মহিলাদের ৫২ বছর বয়সের আশেপাশে মেনোপজের অভিজ্ঞতা হয়, কিন্তু কিছু জেনেটিক্স, আভ্যন্তরীণ সমস্যা বা ডিম্বাশয়ের ক্ষতি হলে তাঁদের জীবনের প্রথম দিকে হঠাৎ মেনোপজ ঘটে যেতে পারে।
টিম রুজুতা দিভেকারের তরফ থেকে সমিয়া গুপ্তা প্রকাশ করেছেন, “মেনোপজের সময় এমন কোন অস্থিতিশীল ডায়েট অনুসরণ করবেন না যা আপনাকে ভাত, চিনি ইত্যাদি খাওয়া থেকে বঞ্চিত করে কিংবা ওজন কমানোর প্রতিশ্রুতি দেয়। যদিও দীর্ঘদিন এটা অনুসরণ করা যাবে না।” তিনি আরও বলেন, “এর কারণ হল আমাদের দৈনন্দিন রুটিনের খাবারগুলি যদি হঠাৎ বন্ধ করে দেওয়া হয় তাহলে নানান ধরণের সমস্যা হতে পারে। যেমন রাতের ঘাম, মুখ বা যোনির চারপাশের ত্বক শুকিয়ে যাওয়া, ত্বকে পিগমেন্টেশন, জয়েন্টগুলোতে ব্যথা, খিটখিটে ভাব, মেজাজ বিগড়ে যাওয়া এবং ক্ষুধার পরিমাণ বাড়তে দেখা যায়। তাই এই ধরনের ডায়েট থেকে দূরে থাকুন।”
View this post on Instagram
১) ঘুম থেকে ওঠার ১৫ মিনিটের মধ্যে ডুমুর এবং আখরোট দিয়ে আপনার দিন শুরু করুন: এটি কোনও অ্যাসিডিটি ছাড়াই সারা দিন শক্তির মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে। এটি খেলে কোনওরকম বদহজম বা গ্যাস হবে না। এছাড়াও ফুসকুড়ি হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। ঘন ঘন জল তেষ্টা পাওয়া বা গরম ফ্ল্যাশের সম্ভাবনাও কমে যায়।
২) ব্রেকফাস্ট এড়িয়ে যাবেন না: সকালের খাবারের জন্য পোহা, ইডলি, ধোসা বা আপনার পছন্দ মতো কিছু নিন এবং আপনার যতই তাড়া থাক না কেন একটা কলা বা যে কোনও একটা ফল অবশ্যই খান। এর কারণ হল ব্রেকফাস্ট না করলে মাইক্রো নিউট্রিয়েন্টের অভাব হয়। এর ফলে সারাদিন ধরে আমাদের শক্তির অভাব বোধ হয়, অলসতা লাগে, মেজাজ বদলে যায় বা কোনো কারণ ছাড়াই খুব রাগ হয়।
৩) আপনার দুপুরের খাবারে মিলেট জাতীয় খাবার যোগ করুন: আপনার ডায়েটে অতিরিক্ত পরিমাণে বাজরা, জোয়ার, রাগি, কুট্টু বা অন্যান্য মিলেট জাতীয় খাবারগুলি মিশিয়ে ফেলবেন না। সপ্তাহে কমপক্ষে ২ থেকে ৩ দিন আমাদের দুপুরের খাবারে সঠিকভাবে মিলেট জাতীয় খাবার অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। বর্ষাকালে রাগি, গ্রীষ্মকালে জোয়ার, শীতকালে বাজরা এবং সারা বছর গম বা ভাত খাওয়া যেতে পারে।
৪) বিভিন্ন ধরণের নাড়ু বানিয়ে খান: বাড়িতে গুড় থেকে রাজজিরা নাড়ু তৈরি করুন অথবা দোকান থেকে কিনে আনুন। কিন্তু নিশ্চিত করুন যে এতে তরল গ্লুকোজ নেই। এগুলো ক্যালসিয়ামের সমৃদ্ধ উৎস যা মসৃণ এবং সহজ মেনোপজে সাহায্য করে। আলিভের নাড়ু আয়রন এবং ফলিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ।
৫) রাতের খাবারের জন্য ভাত খান: এটি আপনার ফোলা ভাব কমাতে এবং জল ধরে রাখতে সাহায্য করতে পারে।
আরও পড়ুন: বর্ষাকালে শিশুদের সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচাতে এই পুষ্টিগুলির দিকে বিশেষ নজর দিন