Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Gut-Bone Health: ঠিকমতো পেট পরিষ্কার হয় না? ক্ষতি হতে পারে হাড়ের স্বাস্থ্য, দাবি গবেষণায়

Osteoporosis: অন্ত্রের মাইক্রোবায়োটা এবং হাড়ের ঘনত্বের মধ্যে যোগসূত্র রয়েছে। অন্ত্রের মধ্যে ভাল-খারাপ, দুই ধরনের ব্যাকটেরিয়াও পাওয়া যায়। এমন দুটি খারাপ ব্যাকটেরিয়া রয়েছে, যা হাড়ের স্বাস্থ্যের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। অস্টিওপোরোসিসেরও ঝুঁকি বাড়াতে পারে অন্ত্রের স্বাস্থ্য।

Gut-Bone Health: ঠিকমতো পেট পরিষ্কার হয় না? ক্ষতি হতে পারে হাড়ের স্বাস্থ্য, দাবি গবেষণায়
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 27, 2023 | 9:15 AM

আজকাল কম বয়সিদের মধ্যে অস্টিওপোরোসিসের সমস্যা দেখা দেয়। কোমরে, হাঁটুতে ব্যথা, জয়েন্টে যন্ত্রণার মতো নানা সমস্যা দেখা দেয়। এসব সমস্যার নেপথ্যে সাধারণত অলস জীবনযাপনই দায়ী। শরীরচর্চা না করা, দীর্ঘক্ষণ এক জায়গায় বসে থাকাই অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। কিন্তু সাম্প্রতিকতম গবেষণা বলছে, অন্ত্রের খারাপ স্বাস্থ্যও আপনার মধ্যে অস্টিওপোরোসিসের সমস্যা ডেকে আনতে পারে। যদিও ডায়াবেটিস, খারাপ কোলেস্টেরল এমনকী ওজন বেড়ে যাওয়ার পিছনেও অন্ত্রের স্বাস্থ্য দায়ী থাকে। এবার ‘ফ্রন্টিয়ার্‌স ইন এন্ডোক্রিনোলজি’ জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে, অস্টিওপোরোসিসেরও ঝুঁকি বাড়াতে পারে অন্ত্রের স্বাস্থ্য।

গবেষণায় দেখা গিয়েছে, অন্ত্রের মাইক্রোবায়োটা এবং হাড়ের ঘনত্বের মধ্যে যোগসূত্র রয়েছে। অন্ত্রের মধ্যে ভাল-খারাপ, দুই ধরনের ব্যাকটেরিয়াও পাওয়া যায়। এমন দুটি খারাপ ব্যাকটেরিয়া রয়েছে, যা হাড়ের স্বাস্থ্যের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। অন্ত্রে আকারম্যানসিয়া নামের একটি ব্যাকটেরিয়া পাওয়া যায়, যা ওবেসিটির সঙ্গে যুক্ত এবং ক্লোস্ট্রিডিয়ালস ব্যাকটেরিয়াম DTU089 হাড়ের স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। স্থূলতার হাড়ের উপর চাপ সৃষ্টি করে। যেসব ব্যক্তি কম পরিমাণে প্রোটিন গ্রহণ করে এবং শারীরিক কার্যকলাপও কম, তাঁদের শরীরে এই ব্যাকটেরিয়া পাওয়া যায়। এগুলো মানবদেহে অস্টিওপোরোসিসেরও ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।

এই গবেষণা থেকে বোঝা গিয়েছে, অন্ত্রের মাইক্রোবায়োম বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হাড়ের স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে। এছাড়া অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া ক্যালশিয়াম ও ভিটামিন ডি-এর মতো পুষ্টি বিপাক করতে সাহায্য করে। এই দুই পুষ্টি হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া অন্ত্রের ভাল ব্যাকটেরিয়ার শর্ট-চেইন ফ্যাটি অ্যাসিডও তৈরি করে, যা প্রদাহকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে এবং এগুলো হাড়ের ঘনত্বের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। কিন্তু অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্যহীনতা আপনার দেহে দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ তৈরি করতে পারে। এতে হাড়েরও ক্ষতি হতে পারে। অন্ত্রের স্বাস্থ্যের সঙ্গে হাড়ের ঘনত্ব সম্পর্কিত ঠিকই, কিন্তু এ বিষয়ে আরও গবেষণায় প্রয়োজন রয়েছে বলে জানিয়েছেন গবেষকেরা।

সুতরাং, অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি কমাতে গেলে অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উপর নজর দিতে হবে। খাদ্যতালিকায় প্রোবায়োটিক ও প্রিবায়োটিক উভয় ধরনের খাবারই রাখতে হবে। সুষম আহারের মাধ্যমে আপনি অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে পারেন। এতে হাড়ের ঘনত্ব ও সামগ্রিক হাড়ের স্বাস্থ্যও ভাল থাকবে। ডায়েটের পাশাপাশি আপনাকে শরীরচর্চার উপরও জোর দিতে হবে। তবেই আপনি অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি কমাতে পারবেন।