World No Tobacco Day: ধূমপান করেন? তামাকের কারণে এই সব রোগে বেঘোরে প্রাণ হারাতে পারেন!

Tobacco and Environment: ধূমপান ক্যানসার ও ফুসফুসের দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতি করে। এছাড়াও হৃদরোগ, স্ট্রোক, ডায়াবেটিস, মহিলাদের বন্ধ্যাত্ব, সময়ের আগে প্রসব, জন্মগত ত্রুটি, ক্যানসার, ইরেক্টাইল ডিসফাংশনের কারণও কিন্তু ধূমপান

World No Tobacco Day: ধূমপান করেন? তামাকের কারণে এই সব রোগে বেঘোরে প্রাণ হারাতে পারেন!
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 31, 2022 | 4:00 PM

অতিরিক্ত পরিমাণ তামাক এবং ধূমপান প্রভাব পেলে শরীরের প্রতিটি অঙ্গেই। নিয়মিত ধূমপানের ফলে শরীরে একাধিক জটিলতা দেখা দেয়। হৃদরোগের অন্যতম কারণও কিন্তু এই ধূমপান। ২০১৭ সালে আমাদের দেশের বেশ কিছু প্রাপ্তবয়স্কদের উপর সমীক্ষা চালানো হয়। আর সেখানেই দেখা গিয়েছে দেশের প্রায় ২ কোটি ৬৭ লক্ষ মানুষ তামাকে আসক্ত। মোট প্রাপ্তবয়স্কের ২৯ শতাংশ তামাক ব্যবহার করেন। অধিকাংশেরই বয়স ১৫-এর উপরে। প্রতি বছর ৫ জনের মধ্যে ১ জন ধোঁয়াহীন তামাক ব্যবহার করেন। যেখানে প্রতি ১০ জনের মধ্যে ১ জন ধূমপান করেন। আর বছরে ৫০ শতাংশের বেশি মানুষ তামাক সেবনের কারণে মারা যান। তামাক, হুক্কা, খৈনি, গুটকা, পান, জর্দা- যে কোনও কিছুই কিন্তু আমাদের শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক।

ধূমপান আমাদের পুরো হৃদযন্ত্রের উপর প্রভাব ফেলে। হৃৎপিন্ড, রক্তনালীতে রক্তপ্রবাহ বাধা পায়। ধূমপান ক্যানসার ও ফুসফুসের দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতি করে। এছাড়াও হৃদরোগ, স্ট্রোক, ডায়াবেটিস, মহিলাদের বন্ধ্যাত্ব, সময়ের আগে প্রসব, জন্মগত ত্রুটি, ক্যানসার, ইরেক্টাইল ডিসফাংশনের কারণও কিন্তু ধূমপান। সিগারেটের মধ্যে যে নিকোটিন থাকে তা রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়। নিকোটিন খুবই ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থ, যার কারণে শরীরে একাধিক জটিল রোগ-সমস্যা দেখা দেয়। ধূমপানের কারণে রক্ত, মূত্রাশয়, জরায়ুমুখের ক্যানসার, ফুসফুস, লিভার, কিডনি, অগ্ন্যাশয়ের সমস্যা-সহ একাধিক ক্যানসার হতে পারে। স্বরযন্ত্রের ক্যানসারের জন্যেও কিন্তু দায়ী ধূমপান। খৈনি, তামাক, গুটকা-সহ বিভিন্ন নেশার জিনিসও কিন্তু মুখ, গলার ক্যানসারের অন্যতম কারণ। ৯০ শতাংশ ওরাল ক্যানসারের কারণ কিন্তু ধূমপান। সার্ভিক্যাল ও কোলোরেক্টাল ক্যানসারের কারণও কিন্তু এই নিকোটিন। নিয়মিত ভাবে ধূমপানের কারণে যে কয়েকটি রোগ স্থায়ী ভাবে বাসা বাঁধে শরীরে-

হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে 

ধূমপান আর হৃদরোগের মধ্যে যোগসূত্র রয়েছে, আর ধূমপানের কারণে প্রতি চারজনের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়। ধূমপানের কারণে রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বেড়ে যায়। ফলে ভালো কোলেস্টেরল অর্থাৎ এইচডিএল কমে যায়। যে কারণে হার্টের মধ্যে রক্ত জমাট বাঁধার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এর ফলে হৃৎপিন্ড আর মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহ বাধা পায়। সঙ্গে রক্তনালীতে চর্বি, কোলেস্টেরল, ক্যালশিয়াম ক্রিস্টালের আকারে জমতে শুরু করে। ফলে রক্তনালী পুরু হয়ে যায়। যা হার্ট অ্যার্টাক ও স্ট্রোকের কারণ।

রক্তচাপ বেড়ে যায়

নিয়মিত ভাবে ধূমপান করলে রক্তচাপ বেড়ে যায়। আর হাইব্লাড প্রেসার হলে সেখান থেকে অ্যারিথমিয়াস ও এথেরোসেক্লরোসিসের সম্ভাবনা বাড়ে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে করোনারি আর্টারি ডিজিজ, হার্ট অ্যার্টাক, স্ট্রোক, হার্ট ফেলিওর, পেরিফেরাল আর্টারি জিজিজ মারাত্মক রূপ নেয়। তাই এই রোগগুলির প্রভাব এড়াতে চাইলে ধূমপান বন্ধ করুন আজ থেকেই। ধূমপান নিজে ছাড়তে না পারলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। ধূমপান ছাড়তে পারলে শরীর ভাল থাকবে। যদি বাড়ির কোনও সদস্য ধূমপান করেন সেখান থেকেও ২৫-৩০ শতাংশ হৃদরোগের আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। সঙ্গে বাড়ে স্ট্রোকের সম্ভাবনাও।

শ্বাসকষ্টের সমস্যা বাড়ে

সিওপিডি বা ফুসফুসের যে কোনও রোগের সম্ভাবনাও অনেকখানি বেড়ে যায় নিয়মিত ভাবে ধূমপান করলে। এছাড়াও যাঁদের পারিবারিক সূত্রে ব্রঙ্কাইটিসের সমস্যা থাকে আর সেই সঙ্গে ঘূমপান করেন তাহলে অবস্থা আরও জটিল হতে পারে। ফুসফুসের মধ্যে এতে শ্লেষ্মার পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। ১০ জনের মধ্যে ৮ জনের ধূমপানের কারণে সিওপিডির সমস্যা আসে। যাঁরা খুব অল্প বয়স থেকেই ধূমপান করেন তাঁদের মধ্যেও কিন্তু শ্বাসকষ্টের সমস্যা অনেক বেশি হয়।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।