অ্যাসিডিটি আর বদহজমের সমস্যা, কী করলে মিলবে মুক্তি? উপায় বাতলে দিলেন শিল্পা শেট্টি

মূলত, অনিয়মিত খাওয়াদাওয়া এবং অত্যধিক স্ট্রেসের কারণে অ্যাসিডিটি বা অম্বলের সমস্যা হয়ে থাকে। আর তা থেকেই দেখা দেয় বদহজমের সমস্যা।

অ্যাসিডিটি আর বদহজমের সমস্যা, কী করলে মিলবে মুক্তি? উপায় বাতলে দিলেন শিল্পা শেট্টি
বলিউড অভিনেত্রী শিল্পা শেট্টি বরাবরই স্বাস্থ্য সচেতন।
Follow Us:
| Updated on: Feb 14, 2021 | 3:42 PM

ফিটনেসের ব্যাপারে বরাবরই সতর্ক শিল্পা শেট্টি। স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খাওয়ার জন্য মাঝে মাঝেই সোশ্যাল মিডিয়ায় অনুরাগীদের জন্য বার্তা দেন বলিউডের অভিনেত্রী। এবার তিনি অ্যাসিডিটি এবং বদহজম থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়ও বলে দিলেন। ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন শিল্পা। অভিনেত্রী নিজে যেহেতু ঘরোয়া টোটকায় বিশ্বাসী, তাই এক্ষেত্রেও ঘরোয়া উপায়ই বলেছেন তিনি।

মূলত, অনিয়মিত খাওয়াদাওয়া এবং অত্যধিক স্ট্রেসের কারণে অ্যাসিডিটি বা অম্বলের সমস্যা হয়ে থাকে। আর তা থেকেই দেখা দেয় বদহজমের সমস্যা। আমাদের সকলেরই অল্প-বিস্তর এই সমস্যা হয়েই থাকে। তবে দীর্ঘদিন এই সমস্যা এড়িয়ে গেলে বা অবহেলা করলে বড় রোগ বাসা বাঁধতে পারে শরীরে। তাই বলে মুঠো মুঠো অ্যান্টাসিড খাওয়া কখনই উচিত নয়। চিকিৎসকেরাও বলে থাকেন ঘরোয়া পদ্ধতিতে এই সমস্যা কমানো যায়। তাই অ্যাসিডিটি বা বদহজমের সমস্যা দূর করতে ঘরোয়া টোটকা ব্যবহার করা যেতেই পারে। এর ফলে আপনি থাকবেন একদম ফিট আর ঝরঝরে।

রান্নাঘরে যেসব উপদান চটজলদি হাতের কাছে পাওয়া যায়, তাই দিয়েই একটি হেলদি ড্রিঙ্ক বা স্বাস্থ্যগুণ সম্পন্ন পানীয় বানিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন শিল্পা। প্রতিদিন এই পানীয় পান করলে আর অ্যাসিডিটি বা বদহজমের সমস্যায় ভুগবেন না আপনি, এমনটাই দাবি করেছেন শিল্পা।

কী কী দিয়ে তৈরি করবেন এই পানীয়?

জোয়ান, মৌরি এবং জিরে দিয়ে তৈরি হবে এই পানীয়। হজমশক্তিতে দারুণ কাজ দেয় জোয়ান। এই তথ্য অনেকেরই জানা রয়েছে। এর পাশাপাশি মৌরি খেলে পাকস্থলী থেকে একধরনের এনজাইম এবং হজমশক্তিতে সাহায্য করার রস ক্ষরণ হয়। এর ফলেই খাবার সঠিক ভাবে হজম হয়। তাই আর অ্যাসিডিটির সমস্যা দেখা দেয় না। এছাড়াও জিরের সাহায্যেও একধরনের এনজাইম নিঃসৃত হয়। এর প্রভাবে মানবশরীরে থাকা কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট এবং সুগার উপাদান ভেঙে যায়। যার ফলে সঠিক স্বাস্থ্য বজায় থাকে।

কীভাবে তৈরি করবেন?

জোয়ান, মৌরি এবং জিরে সমান পরিমাণে নিতে হবে। এরপর হাল্কা রোস্ট করে নিতে হবে। তারপর ভালো করে পিষে একদম গুঁড়ো পাউডার তৈরি করতে হবে। এই গুঁড়ো একটা কৌটো করে সযত্নে রেখে দিন। খেয়াল রাখবেন যাতে কৌটোর ভিতর হাওয়া ঢুকতে না পারে। প্রতিদিন সামান্য গরম জলে এই গুঁড়ো আর অল্প লেবুর রস মিশিয়ে খেয়ে নিন। ফল বুঝতে পারবেন হাতেনাতে।