উচ্ছেবাবুর নাম শুনলেই মুখ ব্যাজার করেন না এমন মানুষের সংখ্যা কম। ছোট থেকে বড়- এই একটা খাবার নিয়ে সকলের অভিযোগের শেষ নেই। স্বয়ং দাদাও দিন শুরু করেন একগ্লাস উচ্ছের রসে। এই উচ্ছের জুসের উপকারিতাও কিন্তু অনেক।
আয়ুর্বেদ বলে রোজ উচ্ছে খেলে রক্তশর্করা থাকে নিয়ন্ত্রণে। শরীরের ডিটক্সিফিকেশন ভাল হয়। লিভারের সমস্যা দূর হয়। অনেকেরই ত্বকে ব্রণ, ফুসকুড়ির সমস্যা লেগে থাকে। সেক্ষেত্রেও কিন্তু ভীষণ রকম কার্যকরী এই উচ্ছে।
এছাড়াও উচ্ছের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ, সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। ক্যালোরিও একেবারেই নেই। যে কারণে উচ্ছে খেলে ওজনও কমে। করলার রসে থাকে প্রচুর পরিমাণ ফাইবারও। যে কারণে অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেট ভর্তি থাকে।
তবে উচ্ছের এত বেশি গুণগান গাওয়াও কিন্তু ঠিক নয়। লোভের বশে বেশি উচ্ছে খেলে সেখান থেকেও হতে পারে বিপত্তি। তেতো আমাদের মুখের স্বাদ পরিবর্তন করে। জ্বরের পর মুখে রুচি ফেরাতে তাই উচ্ছে খাওয়ার কথা বলা হয়। তবে বেশি খেলে পেট ব্যথা থেকে ডায়েরিয়া অবধারিত।
উচ্ছের রস খেলেই যে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে এরকম কোনও যুক্তি খুঁজে পাননি চিকিৎসকেরা। তাই করলার জুস খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন। হার্টের সমস্যা থাকলে করলার রস খাবেন না।
আয়ুর্বেদ বলছে অতিরিক্ত করলার রস খেলে পুরুষদের শুক্রাণুর পরিমাণ কমে যায়। এমনকী গুণগত মানও হ্রাস পায়। পরিবার পরিকল্পনা থাকলে রোজ উচ্ছের রস খাবেন না।