Period Spotting: পিরিয়ডের ডেট শুরুর আগেই রক্তপাত কি স্বাভাবিক? কখন বুঝবেন ডাক্তার দেখানো দরকার?
Women Health: 'স্পটিং' কিন্তু সাধারণ নয়। পিরিয়ডের আগে এমন রক্তপাতকে অস্বাভাবিক ভ্যাজাইনাল ব্লিডিং বা ইন্টারমেন্সট্রুয়াল ব্লিডিং বলা হয়। যদিও এই 'স্পটিং'-এর পিছনে বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। কিন্তু আপনি বুঝবেন কীভাবে, যে স্পটিং হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত? জেনে নিন।
অনিয়মিত ঋতুস্রাবের সমস্যায় ভুগলেই পিরিয়ড হওয়ার কোনও নির্দিষ্ট সময় থাকে না। এছাড়া ২৮ থেকে ৩২ দিনের মধ্যে ঋতুচক্র হয়। কিন্তু ঋতুস্রাব শুরুর বেশ কয়েক দিন আগে দেখলেন ফোঁটা ফোঁটা রক্তপাত হচ্ছে। ভাবলেন, সময়ের আগেই ঋতুস্রাব হয়ে গিয়েছে। কিন্তু পরদিনই দেখলেন আর রক্তপাত হচ্ছে না। আবার যখন ঋতুস্রাবের তারিখ ছিল, সে দিনই পিরিয়ড হল। ভাবছেন, এমন অদ্ভুত ঘটনা কেন ঘটল? এই সমস্যাকে ‘স্পটিং’ বলা হয়।
‘স্পটিং’ কিন্তু সাধারণ নয়। পিরিয়ডের আগে এমন রক্তপাতকে অস্বাভাবিক ভ্যাজাইনাল ব্লিডিং বা ইন্টারমেন্সট্রুয়াল ব্লিডিং বলা হয়। যদিও এই ‘স্পটিং’-এর পিছনে বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। কিন্তু আপনি বুঝবেন কীভাবে, যে স্পটিং হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত? চলুন জেনে নেওয়া যাক, কোন-কোন কারণে স্পটিং হতে পারে এবং কখন আপনার সচেতন হওয়া দরকার।
প্রেগন্যান্ট: অন্তঃসত্ত্বা হলে অনেকেই ‘স্পটিং’-এর সমস্যার মুখোমুখি হন। যখন ভ্রূণ জরায়ুতে প্রবেশ করেন, তখন ‘স্পটিং’ হতে পারে। এক্ষেত্রে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। পিরিয়ড মিস হওয়ার ১০ দিনের মাথায় বাড়িতে প্রেগন্যান্সি টেস্ট করে নিন। এরপর রেজাল্ট যা-ই আসুক, চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
ওভিউলেশন: ডিম্বস্ফোটনের সময় ‘স্পটিং’ হতে পারে। এক্ষেত্রে বোঝার উপায় রয়েছে। এক, আপনি ডিম্বস্ফোটনের সময় ট্যাক্ট করতে পারে পিরিয়ডের সময় অনুযায়ী। যদি ঋতুস্রাব শুরু ১১ থেকে ২১ দিনের মধ্যে এমনটা হয় ধরে নিতে পারে যে এটা ডিম্বস্ফোটনের জন্য হচ্ছে। দ্বিতীয়, এই সময় ‘স্পটিং’ হলে রক্তের রং একটু ফিকে হয়। সেদিকে খেয়াল রাখুন।
ক্যানসার: জরায়ুর মুখের ক্যানসার, ওভারিয়ান ক্যানসার, ভ্যাজাইনার ক্যানসার ও এন্ডোমেট্রিয়াল ক্যানসারে আক্রান্ত হলে অস্বাভাবিক রক্তপাত হতে পারে। সেক্ষেত্রে ‘স্পটিং’কে হালকাভাবে নেবেন না। ‘স্পটিং’ কিংবা অস্বাভাবিক রক্তপাত কিংবা অন্য কোনও ভাবে যদি ভ্যাজাইনার ডিসচার্জ হয়, অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। মেনোপজের দোরগোড়ায় পৌঁছে এমন সমস্যার মুখোমুখি হলে, আরও সাবধান।
পেরিমেনোপজ: মেনোপজে পৌঁছানোর আগে যে সময়কাল, তাকে পেরিমেনোপজ বলে। এই সময়ও আপনি ‘স্পটিং’-এর মুখোমুখি হতে পারেন। যেহেতু মেনোপজের আগে অনিয়মিত পিরিয়ড হয় কিংবা রক্তপাতের পরিমাণ কমে যায়, তাই ‘স্পটিং’ নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।
বার্থ কন্ট্রোল: গর্ভনিরোধক ওষুধ, ইনজেকশনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে ‘স্পটিং’ হতে পারে। আপনি যদি গর্ভনিরোধক পিল খান, সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার।