Staying Online Releases Stress: গবেষণা জানালো একেবারে অনলাইন না থাকার চেয়ে অল্প অনলাইন থাকা মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে

যারা একেবারে অনলাইন আসে না কিংবা যারা অনেক বেশি অনলাইনে যাতায়াত করে তাদের তুলনায়, যারা অনলাইনে মাঝারি অবসরের সময় কাটায় তারা বেশি সুস্থ।

Staying Online Releases Stress: গবেষণা জানালো একেবারে অনলাইন না থাকার চেয়ে অল্প অনলাইন থাকা মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 30, 2021 | 2:50 PM

সাম্প্রতিক গবেষণার ফলাফলগুলি কম আর্থ-সামাজিক সেটিংসের মধ্যে থাকা ১৩ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের কিশোরদের নিয়ে একটা গুরুত্বপূর্ণ ফলাফল প্রকাশ করেছে। এই কিশোরদের মধ্যে যারা একটা চাপের কাজ করার পর অল্প সময় অনলাইনে কাটায়, তাদের সুস্থ থাকার পরিমাণ বেশি। কাদের তুলনায়? শুনলে অবাক হবেন। যারা একেবারে অনলাইন আসে না কিংবা যারা অনেক বেশি অনলাইনে যাতায়াত করে তাদের তুলনায়।

গবেষণাটি ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিক্যাল সায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত হয়েছিল।

গ্রিফিথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেনজিস হেলথ ইনস্টিটিউট এবং স্কুল অফ অ্যাপ্লাইড সাইকোলজি সঙ্গে পরিচালিত হওয়া এই গবেষণার প্রধান লেখক ক্যাথরিন মোডেকি বলেন, “কিশোর -কিশোরীরা স্মার্ট এবং তারা তাদের নিজস্ব সুবিধার জন্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে। লোকাল সাপোর্ট কম থাকার দরুন কিশোর কিশোরীরা অনলাইনে ব্যস্ত থাকে। কিন্তু এই অনলাইনে থাকা তাদের মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করেছে কিনা তা জানতে চেয়ে এই গবেষণা করা হয়েছে।” 

মোডেকি যোগ করেছেন, “কিশোর কিশোরীদের দ্বারা প্রযুক্তির ব্যবহার নেতিবাচক এবং ক্ষতিকারক বলে ধরে নেওয়ার প্রবণতা আমাদের মধ্যে রয়েছে। কিন্তু কৈশোরের বিকাশের পর্যায় সম্পর্কে আমরা যা জানি তা কিন্তু এই ধারণার সঙ্গে খুব একটা মিল খায় না।”

কিশোর-কিশোরী এবং প্রযুক্তির বিষয়ে প্রথম তথ্য সংগ্রহ করার জন্য, গবেষকরা ২০০ জনের বেশি কিশোর-কিশোরীকে আইফোন সরবরাহ করেছেন। এদের সবাইই তুলনামূলক পিছিয়ে থাকা আর্থ-সামাজিক পরিবেশে বাস করে। কিশোর -কিশোরীদের আইফোন ব্যবহার করার সময় তাদের স্মার্টফোনের ব্যবহার, মানসিক চাপ এবং আবেগ সম্পর্কে সপ্তাহে পাঁচবার রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছিল।

ডাটাগুলি কিশোর -কিশোরীদের মানসিক অবস্থার তুলনা করার জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল। যা থেকে বোঝা যাচ্ছিল যে মানসিক চাপ মোকাবিলা করার সময় তারা প্রযুক্তিকে কেমন ভাবে ব্যবহার করছে? পরিমিতভাবে, অত্যধিক বেশি নাকি একেবারেই নয়।

ফলাফলগুলি প্রকাশ করে যে, যে কিশোর -কিশোরীরা যারা চাপপূর্ণ পরিস্থিতির পর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পরিমিতভাবে প্রযুক্তির সাথে জড়িত ছিল তারা আরও সহজে নিজেদের স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছিল। যারা অনেকক্ষণ ধরে ফোনের ব্যবহার করেছে বা যারা একেবারেই ফোনের ব্যবহার করেনি তাদের তুলনায় মাঝারি ইউজাররা কম উদ্বেগের শিকার।

মোডেকি বলেন, “আমরা একটি সঠিক ‘গোল্ডিলকস’ প্রভাব খুঁজে পেয়েছি। যেখানে মাঝারি পরিমাণে অনলাইনে থাকা মানসিক চাপ কমাতে বিশেষ সাহায্য করে। এমনকি মনকে আনন্দ দিতেও সাহায্য করে থাকে। দৈনন্দিন চাপের মুখে, যখন কিশোর-কিশোরীরা মানসিক সমর্থন খোঁজার কাজে ব্যস্ত থাকে, তখন তারা অনলাইনে অল্প পরিমাণ সময় কাটালে স্বল্পমেয়াদী মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পায়।”

গবেষকদের মতে, অনলাইন স্পেস কেবল স্বল্পমেয়াদী বিভ্রান্তি হিসেবে নয়, কিশোর-কিশোরীদের জন্য তাদের কী সমস্যা করছে সে বিষয়েও তথ্য খুঁজে পেতে সাহায্য করেছে। সেই সমস্ত সমস্যার সমাধান করার জন্য খেলার মাঠ অনলাইনে সমাধান খোঁজার চেয়ে অনেক বেশি প্রাসঙ্গিক হতে পারে।

আরও পড়ুন: প্রেগনেন্সিকালে এই ওষধি যাবতীয় সমস্যার সমাধান করতে পারে