Ayurved During Pregnancy: প্রেগনেন্সিকালে এই ওষধি যাবতীয় সমস্যার সমাধান করতে পারে

এই ওষধি বেশি পরিমাণে গ্রহণ করা যেতে পারে। কারণ, যেহেতু এই ওষধি আয়ুর্বেদ সম্মত তাই একটা নির্দিষ্ট মাত্রা পর্যন্ত এর অতিরিক্ত ব্যবহারে মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে না।

Ayurved During Pregnancy: প্রেগনেন্সিকালে এই ওষধি যাবতীয় সমস্যার সমাধান করতে পারে
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 30, 2021 | 2:14 PM

প্রসবোত্তর মহিলাদের জন্য উপকারী বলে পরিচিত অসংখ্য ভেষজ উদ্ভিদের মধ্যে শতভরী অন্যতম শ্রেষ্ঠ আয়ুর্বেদিক ওষধি। আয়ুর্বেদ শাস্ত্র মতে, এটি একটি অনাক্রম্যতা বৃদ্ধিকারী ওষধি যা নতুন মায়েদের ডেলিভারি পরবর্তী মাসিক প্রবাহকে নিয়ন্ত্রণ করে। এর পাশাপাশি এই ওষধি মায়ের বুকে দুধ উৎপাদন উন্নত করতেও সাহায্য করে।

এই  ওষধি সম্পর্কে আরও বোঝার জন্য আয়ুর্বেদিক প্র্যাকটিসেনার ডঃ দীক্ষা ভাবসার স্পষ্ট ধারণা দিয়েছেন। এই ওষধিকে ‘১০০ শিকড়যুক্ত ওষধি’ বলা হয়। কেন এটি নতুন মায়েদের জন্য অপরিহার্য এবং নারী আর পুরুষ উভয়ের সাধারণ সুস্থতার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ তা তিনি সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করেছেন।

তাঁর মতে, “এটি একটি মহিলার সবচেয়ে ভাল বন্ধু হিসাবে বিবেচিত হয়। কারণ এটি তাঁর জীবনের সমস্ত পর্যায়েই (মেনার্চ থেকে মেনোপজ) গুরুত্বপূর্ণ। মহিলাদের প্রজনন অঙ্গ থেকে শুরু করে তাঁদের নানান হরমোনের উপর পুষ্টিকর এবং বিশুদ্ধ প্রভাব ফেলে এই ওষধি।” এই ওষধিকে ‘নারায়ণী’ নামেও সম্বোধন করা হয়। এর অর্থ ঐশ্বরিক, শুভ এবং মেয়েলি।

আয়ুর্বেদ শাস্ত্র অনুযায়ী, শতভরী স্বাদে মিষ্টি এবং তেতো হয়। প্রকৃতিতে এই ওষধি ঠান্ডা হয়। এটি আমাদের শরীরের পিত্তির ভারসাম্য রাখতে সাহায্য করে। মনের মধ্যেকার শান্তি বজায় রাখার ক্ষেত্রেও এর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।

তাঁর মতে, বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের কারণে, এটি অন্যতম সেরা অ্যাডাপটোজেন।

কেন এটি উপকারী?

*পিএমএস বা প্রি -মাসিক সিনড্রোমের লক্ষণ কমাতে সাহায্য করে।

*পিরিয়ডের সময় রক্ত ​​চলাচল নিয়মিত করে।

*উর্বরতা এবং বুকের দুধ উৎপাদনের পরিমাণ উন্নত করে। ভাবসার বলেন,” বাজারে প্রচলিত প্রায় সব ভেষজ স্তন্যপানকারী ওষুধই প্রধান উপাদান হিসেবে শতভরী ব্যবহার করে থাকেন।”

*বুকের দুধ উৎপাদনের উন্নতি ছাড়াও এটি এতে পুষ্টিগুণ যোগ করে, যা শিশুকে সাহায্য করে।

*পেরিমেনোপজাল পিরিয়ডে গরম প্রদাহ এবং মুড সুইংস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে কারণ এতে ফাইটোস্ট্রোজেন থাকে।

*রাগ এবং খিটখিটে ভাব দূর করে, মানসিক চাপ কমায়। নারী ও পুরুষ উভয়কেই ভাল ঘুমোতে সাহায্য করে।

*ডঃ ভাবসার বলে, “এর পুষ্টিকর প্রকৃতি এটিকে একটি আদর্শ জিম সাপ্লিমেন্ট (পেশীর জোর বাড়াতে সাহায্য করে) হিসেবে উপস্থাপিত করে। যেহেতু এটি ঠান্ডা প্রকৃতির, তাই এটি পরিশ্রমজনিত (ব্যায়াম) সমস্ত ক্লান্তি কমিয়ে দিতে সাহায্য করে।”

*প্রদাহ, অতিরিক্ত রক্তপাত কমাতে এবং হজমশক্তি বাড়ানোর জন্য এটা একটা দুর্দান্ত ওষধি।

এই ওষধি বেশি পরিমাণে গ্রহণ করা যেতে পারে। কারণ, যেহেতু এই ওষধি আয়ুর্বেদ সম্মত তাই একটা নির্দিষ্ট মাত্রা পর্যন্ত এর অতিরিক্ত ব্যবহারে মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে না। তবে, ব্যবহারের আগে একবার বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে নেওয়া উচিত।

আরও পড়ুন: আপনার ডায়েটে এই খাবারগুলি যোগ করুন আর পিসিওএসের মত রোগ থেকে মুক্তি পেয়ে যান