Morning Tips: পিরিয়ডের সমস্যা, কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগেন? সকালে খালি পেটে এই ৩ খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন করিনার পুষ্টিবিদ
Health Tips: রুজুতার মতে, দিন শুরু করা উচিত এক গ্লাস জল পান করে। ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস জল পান করুন। ডিটক্স ড্রিংক্সের প্রয়োজন নেই।
Toসঠিক সময়ে খাবার খাওয়া, নিয়মিত যোগব্যায়াম করা, চাপমুক্ত জীবনযাপন করা, সব সময় হাইড্রেটেড থাকা এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম—এই কয়েকটি জিনিসের মাধ্যমেই আপনি কিন্তু সুস্থ থাকতে পারবেন। শরীরকে সুস্থ রাখতে চাইলে খাওয়া-দাওয়ার উপর নজর দিতেই হবে। শরীরে পুষ্টির অভাব থাকলে কখনওই আপনি সুস্থ জীবনযাপন করতে পারবেন না। তাই যে প্রথম থেকেই নিশ্চিত হতে হবে সুষম আহার সম্পর্কে। অনেকেই সকালে ভেজানো আমন্ড (Soaked Almond) খান। আবার অনেকে ডিটক্স পানীয় (Detox Drinks) পান করেন। আবার কারও দিন শুরু হয় ওটস-কলা (Banana) খেয়ে। এগুলো প্রত্যেকটা খাবারই স্বাস্থ্যকর। কিন্তু আপনার শরীরের জন্য কোনটা উপযুক্ত বুঝবেন কীভাবে? টিপস দিচ্ছেন করিনা কাপুর খানের পুষ্টিবিদ রুজুতা দিবাকর।
সকালে খালি পেটে কী খাবেন?
রুজুতার মতে, দিন শুরু করা উচিত এক গ্লাস জল পান করে। ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস জল পান করুন। ডিটক্স ড্রিংক্সের প্রয়োজন নেই। এক গ্লাস জলই আপনার পেট পরিষ্কার করে দেবে। এরপর ভেজানো আমন্ড কিংবা কিশমিশ অথবা একটা কলা খেতে পারেন। এই তিনটে জিনিসের মধ্যে যে কোনও একটি খান। এটা আপনাকে ঘুম থেকে উঠে ২০ মিনিটের মধ্যে খেতে হবে।
সকালে ভেজানো আমন্ড বা কিশমিশ বা কলা কেন খাবেন?
পুষ্টিবিদ বলেছেন, এই খাবারগুলো স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। অন্তত দিন শুরু করার জন্য এগুলো উপকারী। তাছাড়া এর মূল উপকার পাওয়া যায় দিনের দ্বিতীয় ভাগে। চিনি জাতীয় খাবারের প্রতি ক্রেভিং কমিয়ে দেয় এই তিনটি খাবার।
কারা কলা খাবেন?
যাঁদের গ্যাস, অম্বল, পেট ফোলা, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে, যাঁরা মিষ্টির লোভ সামলাতে পারেন না তাঁরা সকালে একটা করে কলা খান। আর যদি কলা খেতে না ভালবাসেন, তাহলে মরশুমি যে কোনও ফল খেতে পারেন।
কারা ভেজানো আমন্ড খাবেন?
রুজুতা বলেছেন, সারারাত ভিজিয়ে রাখা আমন্ড স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে উপকারী। যাঁদের ডায়াবেটিস রয়েছে, যাঁদের শরীর দুর্বল, তাঁরা প্রতিদিন সকালে ৫-৬টি ভেজানো আমন্ড খেতে পারেন।
কারা ভেজানো কিশমিশ খাবেন?
আমন্ডের মতো কিশমিশও আপনাকে সারারাত জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে। তারপর সেটা পরদিন সকালে খেতে হবে। ঋতুস্রাব সংক্রান্ত যে কোনও সমস্যার ক্ষেত্রে আপনি এটা খেতে পারেন। পেটে ব্যথা, মেজাজ পরিবর্তন, ক্র্যাম্প ইত্যাদি সমস্যায় ভেজানো কিশমিশ খেতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনাকে ৬-৭টা কিশমিশ রোজ খেতে হবে।