Toothache at Night: রাতেই বাড়ে দাঁতের ব্যথা! চটজলদি আরাম পান এই সহজ ঘরোয়া টোটকায়
Home Remedies: দাঁতে কোনও ক্ষতি হলে বা ক্যাভিটি হলে সেই ব্যথা চরমে ওঠে। মাড়িতে সংক্রমণ হলে দাঁতের গোড়া সংবেদনশীল হয়ে ওঠে। তা থেকেই যন্ত্রণা বাড়ে।
সারাদিন ধরে দাঁতের খচখচানি হলেও রাতের দিকেই মারাত্মক দাঁতের ব্যথা শুরু হলে মাথা কাজ করে না। দাঁতের ব্যথা দিনের যে কোনও সময়েই অত্যন্ত অস্বস্তিকর হতে পারে, কিন্তু রাতের দিকে ব্যথা চরমে বাড়লে ঘুমের ব্যঘাত যেমন ঘটে, তেমনি সহ্যশক্তিও হ্রাস পেতে থাকে। লক্ষ্য করে দেখবেন, রাতের দিকেই দাঁতের ব্যথার মাত্রা বাড়ে। যখনই আমরা শুয়ে থাকি, তখন মাথায় সবচেয়ে বেশি রক্তপ্রবাহ মস্তিষ্কে ঘটে। আর তাতেই সংবেদনশীল জায়গাগুলিতেও চাপ পড়তে থাকে। দাঁতে কোনও ক্ষতি হলে বা ক্যাভিটি হলে সেই ব্যথা চরমে ওঠে। মাড়িতে সংক্রমণ হলে দাঁতের গোড়া সংবেদনশীল হয়ে ওঠে। তা থেকেই যন্ত্রণা বাড়ে। আবার ঘুমের মধ্যে দাঁতে দাঁত ঘষার অভ্যেস থাকলে তাতে ব্যথা বাড়ার সম্ভাবনা বাড়ে। আর গভীর রাতে কোনও ডেন্টিস্টের কাছে যাওয়ারও উপায় থাকে না, তাই পেইনকিলার খেয়েই সাময়িক উপশম পাওয়ার চেষ্টা করনে। কিন্তু তাতেও ব্যথা যে কমে তা একেবারে সঠিক নয়। তবে রাতে দাঁতের ব্যথা বাড়লে চটজলদি আরাম পেতে ঘরেরই কিছু জিনিস ব্যবহার করতে পারেন।
দাঁতের ব্যথা এমনই যে এই অস্বস্তিকর যন্ত্রণা শুধু দাঁতেই নয়, চোয়াল, কান ও গলা পর্যন্ত প্রভাব বিস্তার করে। হালকা থেকে তীব্র ব্যথা শুরু হয়। দাঁতের গোড়া ব্যথা হওয়া, ফুলে যাওয়ার মত লক্ষণ দেখা দিলে রাতের দিকে হাতে কী কী রাখবেন, তা জেনে নিন..
নুন ও হালকা গরম জল: দাঁতের ব্যথা থেকে চটজলদি আরাম পেতে নুন ও হালকা গরম জল ব্যবহার করা সবচেয়ে কার্যকরী ও সহজ পদ্ধতি হিসেবে ধরা হয়। লবণ জল একটি প্রাকৃতিক জীবাণুনাশক, তাই দাঁতের মধ্যে আটকে থাকা খাদ্যের কণা ও গোড়া আলগা হয়ে গেলে, যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে এই সহজ পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন। নুন জল দিয়ে কুলকুচি বা গার্গল করলে মুখের ক্ষত ও ব্যকটেরিয়া নির্মূল করতেও সাহায্য করে। তার জন্য এক গ্লাস গরম জলেটে হাফ চা চামচ নুন মিশিয়ে মাউথওয়াশ হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
লবঙ্গ তেল: লবঙ্গ তেল ব্যথা প্রশমিত করার জন্য দারুণ জনপ্রিয়। ব্যথায় কাবু করছে যে দাঁত, সেখানে তুলোর মধ্যে লবঙ্গ তেল নিয়ে লাগিয়ে দিন, সঙ্গে সঙ্গে কমবে যন্ত্রণা। একটি ছোট তুলার খোসা লাগালে ব্যথা কিছুটা উপশম হতে পারে।
অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল মাউথওয়াশ: দাঁতের ব্যথা হলে মুখে দুর্গন্ধ হওয়া স্বাভাবিক। এর জন্য পুদিনা পাতার বা মিন্চ মাউথওয়াশ ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া পুদিনা পাতায় রয়েছে অ্যান্টি-সেপটিক বৈশিষ্ট্য, তাতে দাঁতের চারপাশে প্লাক তৈরিতে বাধা তৈরি করে সংক্রমণের থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
এই তিনটি কার্যকরী ঘরোয়া টোটকাতে ও যদি কাজে না আসে, তার জন্য আরও সহজ ও উপকারী টোটকা রয়েছে. যেগুলি সংক্রমণ ও জ্বালাভাব থেকে রেহাই মেলে তাড়াতাড়ি। সেগুলি কী কী, তা দেখে নিন…
১. কোল্ড কম্প্রেস: শুধু দাঁতের নয়, শরীরের যে কোনও ব্যথা উপশম করতে কোল্ড কম্প্রেস ব্যবহার করতে পারেন। বিশেষ করে যদি কোনও ধরণের আঘাত দাঁতের ব্যথার কারণ হয়ে থাকে। যখনই কোল্ড কম্প্রেস প্রয়োগ করছেন তখন ওই জায়গার রক্তনালীগুলিকে সংকুচিত করে। আর তাতেই ব্যথা কম তীব্র করে তোলে। ঠান্ডা যেকোনও ফোলাভাব এবং প্রদাহ কমাতে পারে।
২. এই পদ্ধতিটি ব্যবহার করতে, একবারে ২০ মিনিটের জন্য আক্রান্ত স্থানে বরফের একটি রুমাল বা সুতির কাপড়ে মুড়ে ধরে থাকুন। কয়েক ঘণ্টা অন্তর এই কাজটি করুন, আরাম পাবেন দ্রুত।
৩. ব্যথার ওষুধ: দাঁতের ব্যথা চরমে হলে অ্যাসিটামিনোফেন এবং আইবুপ্রোফেন ওষুধ খেতে পারেন। তাতে যন্ত্রণা তাড়াতাড়ি কমে যায়।
৪. বালিশে মাথা রাখুন এইভাবে: দাঁতে মারাত্মক ব্যথা শুরু হলে রাতে ঘুমানোর সময় বালিশ এভাবে রাখতে পারেন। তাতে ঘুমের কোনও ব্যাঘাত ঘটে না। মাথাকে যদি শরীরের অন্যান্য অংশের চেয়ে উচুঁ করে রাখলে আরাম পেতে পারেন। এমনভাবে শুলে মুখে রক্ত জমাট বাধে না। রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখতে, দাঁতের ক্ষয় রুখতে ও ব্যথা উপশম করতে এভাবে শুলে উপকার পাবেন শীঘ্রই।
৫. দাঁতের ব্যথায় আরাম পেতে সেই পরিস্থিতিতে কী কী খাচ্ছেন, তাও মাথা রাখতে হবে। এই সময় তরলজাতীয় খাবার খেতে পারেন। দাঁতের ব্যথা যাতে আরও চরমে না ওঠে, তার জন্য শক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
(Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।)