ঘুমের সমস্যা নিয়ে যদি কোনও সমীক্ষা চালানো হয় সেখানে দেখা যাবে সকলেই এই একই কথা বলছেন। কম ঘুম, রাতে ঘুম না আসা খুবই সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর জন্য দায়ী আমাদের জীবনযাত্রা। রাতে জেগে দিনে ঘুমনো এখন অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।
কম ঘুম হলে শরীরে একাধিক সমস্যা জাঁকিয়ে বসে। মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়। খিদে থাকে না। খাবার হজম হয় না। ব্রণর সমস্যা, ওজন বেড়ে যাওয়া, ডিপ্রেশন সব কিছু হতে পারে। আর তাই রোজ ঘুমের আগে বালিশের তলার এক টুকরো রসুন রেখে ঘুমোতে যান। দেখবেন সব সমস্যার সমাধান হচ্ছে ২ দিনেই।
শুনে অবাক লাগলেও এমন ঘটনা কিন্তু ঘটেছে। অনেকে উপকারও পেয়েছেন। বালিশের তলায় রসুন রাখার আরও একটি উপকারিতাও আছে। রসুনের মধ্যে থাকে ভিটামিন বি ১ এবং বি ৬। আর তাই মেলাটোনিন হরমোনের ক্ষরণ বেশি হয়। যা আমাদের স্নায়ুর চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। স্নায়ু শান্ত থাকলে ঘুম ভাল হয়।
রসুনের গন্ধে মশা, মাছি অনেক কম আসে। মশার উৎপাত না থাকলে ঘুম শান্তিরই হয়। ঘুম ঠিক হলেই সকাল থেকে শরীর লাগে চাঙ্গা। এক কোয়া রসুনেই কাজ হয়ে যায় বেশির ভাগ ক্ষেত্রে।
তবে অনেকের দাবি রসুনের কোয়া অন্তত ৩ টে না হলে কাজ হয় না। এই নিয়ে অবশ্য একাধিক বিতর্ক রয়েছে। কারোর এরকমও হয় যে কয়েক কুচিরসুনেই কাজ হয়ে যায়। নিয়মিত ভাবে শীতে এই টোটকা ব্যবহার করতে পারলে কাজ হবেই।
ঠিক কতদিনের মধ্যে কাজ হবে তা স্পষ্ট করে বললেননি কেউই। তবে এক সপ্তাহ ব্যবহার করলে যে ফল পাওয়া যায় এই ব্যাপারে অনেকেই সায় দিয়েছেন। কানের পাশে রসুন রাখলে অনেক ব্যথাও কমে যায়।
রোজ রসুন খেলেও এই একই উপকার পাওয়া যায়। রসুন কাঁচা খেতে পারলে সবচাইতে ভাল। নইলে রগরগে ঝাল দিয়ে রসুন ভেজে গরম ভাতের সঙ্গে খান। এতে মুখের রুচি ফিরবে তেমনই একাধিক সমস্যাও দূর হয়ে যাবে।