AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Omicron Sub-variant BF.7: ওমিক্রনের নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্টের লক্ষণগুলি কেমন, জেনে নিন এবারের রোগের উপসর্গ

Symptoms: যাঁদের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা দুর্বল, তাঁদের সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা। পাশাপাশি মাস্ক পরার ও ভিড় জায়গা এড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা।

Omicron Sub-variant BF.7: ওমিক্রনের নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্টের লক্ষণগুলি কেমন, জেনে নিন এবারের রোগের উপসর্গ
Image Credit: Getty Images
| Edited By: | Updated on: Dec 24, 2022 | 7:26 AM
Share

প্রায় তিন বছর আগে এমন শীতেই শোনা গিয়েছে করোনা ভাইরাসের খবর। চিনের উহান শহরে প্রথম শোনা গিয়েছিল অজানা জ্বরে মৃত্যুর কথা। রাতারাতি লকডাউন করে দেওয়া হয় সারা শহর। ক্রমে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে গোটা বিশ্বে। সংক্রমণের শীর্ষে পৌঁছে যায় আমেরিকা-সহ ইতালি, ব্রাজিলের মতো দেশ। সেই তালিকায় ছিল ভারত। শুরু থেকেই চিনে জারি করা হয় ‘জিরো কোভিড’ নীতি। এই তিন বছরে করোনার গ্রাফ কখনও ঊর্ধ্বমুখী আবার কখনও নিম্নমুখী হয়েছে। এ বছর আবার চলতি মাসের শুরু থেকে হঠাৎ করে বাড়তে শুরু করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। নতুন করে চোখ রাঙাচ্ছে ওমিক্রন বিএফ.৭।

এ বছরের শেষে অতিমারি পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞেরা জানিয়েছেন, করোনাভাইরাস কখনওই একেবারে নিঃশেষ হবে না। সুতরাং, এই ভাইরাস নিয়ে সঙ্গে নিয়েই বাঁচতে হবে। করোনার শুরু থেকে এখনও পর্যন্ত অনেকগুলো ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে খোঁজ পাওয়া গেছে ওমিক্রন বিএফ.৭। এটি ওমিক্রনের বিএ.৫-এর একটি সাব-ভ্যারিয়েন্ট।

চিনে ইতিমধ্যেই খোঁজ মিলেছে এই বিএফ.৭-এর। চিন প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার চিনে নতুন করে ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষ এই ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়েছেন। সবথেকে বেশি আক্রান্তের খোঁজ মিলছে গুয়াংজ়াউ প্রদেশ ও চংকিং প্রদেশ থেকে। বেজিংয়ে দৈনিক ৪ হাজারেরও বেশি আক্রান্তের খোঁজ মিলছে। ভারতেও চারজন রোগীর খোঁজ মিলেছে। দেশের ৯০ শতাংশেরও বেশি মানুষ টিকার দুটো ডোজ় নিয়েছেন। কিন্তু মাত্র ২৭ শতাংশ মানুষ তৃতীয় ডোজ় নিয়েছেন। করোনা সংক্রমণ এড়ানোর জন্য তৃতীয় ডোজ়ের উপর জোর দিচ্ছে কেন্দ্র।

বিএফ.৭-এ সংক্রমিত একজন রোগী একসঙ্গে ১৮-২০ জনের মধ্যে সংক্রমণ ছড়াতে পারে। ভারতে যদি এই ভাইরাসে মানুষ আক্রান্ত হতে শুরু করে তাহলে এটি দ্বিতীয় ও তৃতীয় ঢেউয়ের থেকে বড় আকার ধারণ করবে। যদিও, এই উপজাতির মারণ ক্ষমতা কম। ভারতেও চারজন রোগীই এখন সুস্থ। কিন্তু তবু চিন্তা রয়ে যাচ্ছে। তাই মাস্ক পরার ও ভিড় জায়গা এড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা।

যাঁদের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা দুর্বল, তাঁদের সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা। তাই ওমিক্রনে বিএফ.৭-এ আক্রান্ত হলে শরীরে কোন-কোন উপসর্গ প্রকাশ পায়, সেই সম্পর্কেও ওয়াকিবহাল থাকা দরকার। জ্বর, কাশি, গলা ব্যথা, নাক দিয়ে জল পড়া, শারীরিক ক্লান্তি ইত্যাদি দেখা যাচ্ছে বিএফ.৭-এ আক্রান্তদের মধ্যে। এছাড়াও গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল উপসর্গ যেমন বমি এবং ডায়ারিয়াও দেখা যাচ্ছে রোগীদের মধ্যে। তাই এই উপসর্গগুলো দেখা দিলেই সতর্ক হোন।