Weight Loss Tips: ডায়েটেশিয়ানের সাজেস্ট করা এই ধাপগুলি মেনে চলুন আর সহজেই ওজন কমান
ওজন কমানো সহজ কাজ নয়। আপনার ওজন কমানোর লক্ষ্যে পৌঁছনোর জন্য নির্দিষ্ট জীবনযাত্রার পরিবর্তনের সাথে প্রচুর পরিমাণে শৃঙ্খলা এবং সংকল্পের প্রয়োজন। যদি আপনি দ্রুত ওজন কমানোর চেষ্টা করেন তাহলে সেটা আরও ভয়ঙ্কর হতে পারে। যে কোন গঠনমূলক শারীরিক পরিবর্তনে একটা সময় প্রয়োজন। আপনি যদি নিজেকে প্রয়োজনীয় সেই সময় দিতে পারেন, তাহলে কয়েকটা টিপস খেয়ালে রাখতে […]
ওজন কমানো সহজ কাজ নয়। আপনার ওজন কমানোর লক্ষ্যে পৌঁছনোর জন্য নির্দিষ্ট জীবনযাত্রার পরিবর্তনের সাথে প্রচুর পরিমাণে শৃঙ্খলা এবং সংকল্পের প্রয়োজন। যদি আপনি দ্রুত ওজন কমানোর চেষ্টা করেন তাহলে সেটা আরও ভয়ঙ্কর হতে পারে। যে কোন গঠনমূলক শারীরিক পরিবর্তনে একটা সময় প্রয়োজন। আপনি যদি নিজেকে প্রয়োজনীয় সেই সময় দিতে পারেন, তাহলে কয়েকটা টিপস খেয়ালে রাখতে হবে আপনাকে। সেসব মেনে চললে খুব সহজেই আপনি অজন কমাতে পারবেন।
ডায়েটিশিয়ান রুচিতা বাত্রা সম্প্রতি তাঁর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন। যাঁরা দ্রুত ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন তাঁদের জন্য তিনি কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস শেয়ার করেছেন।
View this post on Instagram
ঘুম:
“ঘুম আমাদের মনের রিবুট বোতাম,” বাত্রা বলেছেন। ঘুমের অভাব আপনার বিপাককে ধীর করে দেয় এবং আপনার হরমোনগুলিকে নিজেদের স্বতন্ত্র কাজ করা থেকে বঞ্চিত করে। অধিকন্তু, পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া আপনাকে মানসিক এবং শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। ঘুম ঠিক না হলে, আপনার দেহে ক্লান্তি আসে। কাজের মাঝে ক্লান্তির জায়গা আপনি দিতে পারবেন না। সেক্ষেত্রে কিছুটা নিরুপায় হয়েই আপনাকে কাজ করেই যেতে হবে। তখন আপনি শরীরের ওপর যে মারাত্মক রকমের চাপ তৈরি করছেন তা আপাতদৃষ্টিতে হয়তো বুঝতে পারবেন না। তবে, লং টার্মে এর প্রভাব খুব খারাপ হতে পারে।
হাইড্রেশন:
আপনার ওজন কমানোর যাত্রায় প্রতিদিন কমপক্ষে তিন থেকে চার লিটার জল পান করা অত্যন্ত জরুরি। কারণ জল আপনাকে প্রাকৃতিকভাবে ডিটক্স করে। যদি আপনি কম জল খান তাহলে অ্যাসিডিটি থেকে শুরু করে নানান প্রকারের অস্বস্তিতে জর্জরিত হতে পারেন আপনি। জল কম খেলে পাচনেও সমস্যা হবে। খাবার ভালোভাবে হজম হবে না। সেক্ষেত্রে অম্বলের সম্ভাবনা থাকে। এছাড়াও, জল আপনার শরীরকে সঠিক মাত্রায় হাইড্রেটেড রাখতে পারে। ফলে, আপনার শরীর অতিরিক্ত গরম হয়ে যাবে না।
দুটি মিলের মধ্যেকার গ্যাপ:
অনেক সময় আমাদের খাবারের প্রয়োজন হয় না, অথচ খিদে পায়। এই ফলস অ্যালার্ম থেকে নিজেকে দূরে রাখুন। মনে রাখবেন, ভারী মিল খাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই যদি আপনার পুনরায় খিদে পায়, সেক্ষেত্রে সেটাকে পাত্তা না দেওয়াই ভাল। চোরা অম্বল এসব ক্ষেত্রে এই খিদের জন্য দায়ী থাকে। আপনি যদি এই খিদেতে সাড়া দেন এবং কিছু খেয়ে নেন, তখন আপনার শরীরে অস্বস্তি শুরু হতে পারে। আপনার ডায়েট মেনে নিয়ে প্রতি দুটি মিলের মাঝে উপজুক্ত সময়ের গ্যাপ রাখুন। প্রতিটা মিল হজম হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
চিনি এবং ভাজা খাবার:
আপনার ওজন কমানোর পথে আপনাকে আপনার প্রিয় খাবার ছেড়ে দিতে হবে না। কিন্তু, আপনার নির্দিষ্ট লক্ষ্যে না পৌছনো পর্যন্ত চিনি এবং ভাজা খাবার থেকে দূরে থাকাই ভাল। চিনি বা ভাজা খাবার আপনার পদ্ধতির সময়সূচী বাড়িয়ে দেবে। যদি আপনি ঠিক করেন যে ৩ মাসের মধ্যে অজন কমাবেন, সেটা কখনই সম্ভব হবে না এই ধরনের খাবার খেতে থাকলে। সেক্ষেত্রে, আপনার লক্ষ্যে পৌঁছনো পর্যন্ত এই ধরনের খাবার থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখতে পারলে তা পক্ষান্তরে আপনার জন্যই শ্রেয়।
ব্যায়াম:
দ্রুত ওজন কমানোর ফলাফল দেখতে পাওার জন্য ব্যায়ামের পরিমান বাড়াতে হবে। তবে, খেয়াল রাখবেন জেন অত্যধিক মাত্রায় ব্যায়াম না করা হয়। অত্যধিক বেশি ব্যায়াম করলে আপনার পেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তবে, ব্যায়াম করে যেন আপনি ফিল করতে পারেন আপনার খাটনিটা। এমনকি যখন আপনি কোন কাজ করছেন না, তখনও খেয়াল রাখুন যাতে আপনি শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকেন।
আরও পড়ুন: দ্রুত ওজন কমাতে নিয়মিত এই তিন ওয়ার্কআউট করা জরুরি! ফল পাবেন হাতেনাতে