Dholahat Blast: কেন জেলা গোয়েন্দা বিভাগ জানতে পারল না বাজি কারখানা নিয়ে? SP-র ভূমিকায় ক্ষুব্ধ DG রাজীব কুমার: সূত্র
Dholahat Blast: সূত্রের খবর, রাজীব কুমার জানতে চেয়েছেন, কেন জেলা গোয়েন্দা বিভাগের কাছে খবর ছিল না বাজি কারখানা নিয়ে। শুধু তাই নয়, কেন তাঁরা জানতে পারেননি এইভাবে বাজি মজুতের?

ঢোলাহাট: ঢোলাহাট-কাণ্ডে জেলা পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাওয়ের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। সূত্রের খবর, ঢোলাহাটের বিস্ফোরণের ঘটনায় জেলা গোয়েন্দা বিভাগের ব্যর্থতাকেই দায়ী করেছেন তিনি। এ নিয়ে সুন্দরবন পুলিশ জেলার পুলিশ সুপারের সঙ্গে মঙ্গলবার ভার্চুয়ালি কথা বলেন ডিজিপি বলে খবর। কারণ, পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও নিজেই জেলা গোয়েন্দা বিভাগের মাথায় রয়েছেন। ফলে তাঁর কাছে কেন এই বাজি কারখানার খবর ছিল না তা জানতে চাওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
সূত্রের খবর, রাজীব কুমার জানতে চেয়েছেন, কেন জেলা গোয়েন্দা বিভাগের কাছে খবর ছিল না বাজি কারখানা নিয়ে। শুধু তাই নয়, কেন তাঁরা জানতে পারেননি এইভাবে বাজি মজুতের? সূত্রের খবর, পুলিশ সুপারকে ক্ষুব্ধ ডিজি এও প্রশ্ন করেছেন, কোথায় কোথায় এমন বাজি কারখানা ও বাজি মজুত রয়েছে? সবটা অবিলম্বে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ারও পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে খবর। একই সঙ্গে জেলা প্রশাসনের কাছে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ।
এ দিন আবার এই বিস্ফোরণের ঘটনায় সচেতনতার অভাবকেই দায়ী করেছেন এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতীম সরকার। ভবানীভবন থেকে করা সাংবাদিক বৈঠকে পুলিশ কর্তা দাবি করেছেন, বাড়িতে দাহ্য পদার্থ মজুত রেখে, সেখানেই আবার রান্নাবান্নার কাজ করলে,গ্যাস জ্বালালে এই ধরনের ঘটনা ঘটবেই। নিতান্তই সচেতনতার অভাবেই এই ধরনের ঘটনা। উল্লেখ্য, সোমবার রাতে পাথরপ্রতিমার ঢোলাহাটে বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে পাথরপ্রতিমার ঢোলাহাটের একটি বাড়ি। এই ঘটনায় একই পরিবারের আট জনের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে চার দুধের শিশু। ৬ মাস, ৪মাস ও ৮ মাস। মৃত্যু হয়েছে ১১ বছরের এক কিশোরেরও। ঘটনায় বাড়ি মালিক ও তাঁর ভাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।





