শ্বাসকষ্ট হলে সোজা নয়, উপুড় হয়ে শুয়ে থাকুন! উপকার মিলবে কয়েক সেকেন্ডেই
কীভাবে শুলে কেমন ঘুম হবে তা অনেকেই জানেন, কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে কীভাবে শুলে উপকার মিলবে তা অনেকেই জানেন না। আমরা বলছি না, জানাচ্ছেন চিকিত্সকরাই।
করোনা পরিস্থিতি আরও ভয়ংকর ধারণ করতেই ঘুম ছুটেছে চিকিত্সক-বিশেষজ্ঞদের। কোভিড ভ্যাকসিন নেওয়ার পরও করোনাক্রান্ত হচ্ছেন অনেকেই। তাতেই আরও বিপদসংকেত পাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। এই সংকটের মাঝেই বিজ্ঞানীরা একটি সুরাহা বের করেছেন। কষ্টকর তবুও শ্বাসকষ্ট হলে পেটের নিচে বালিশ নিয়ে ঘুমানোর অভ্যেস করতে পারেন। প্রসঙ্গত, করোনা আক্রান্তদের গুরুতর অবস্থায় আইসিইউ বা ভেন্টিলেশন রাখার সময় বহুক্ষেত্রেই রোগীদের উপুড় হযে শোওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। শিশু ও বয়স্কদের উপুড় হয়ে শোয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন ডাক্তাররা।
পেটের নিচে বালিশ রেখে ঘুমানো সত্যিই কষ্টকর। তবে অল্প সময়ের জন্য উপুড় হয়ে শুয়ে জোড়ে জোড়ে শ্বাস নিলে অনেকটা উপকার পাওয়া যায়। ফ্রান্সের একটি জার্নালে উল্লেখ করা হয়েছে, অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ডিস্ট্রেস সিনড্রোম বা শ্বাসযন্ত্রের জটিলতায় আক্রান্ত রোগীদের ভেন্টিলেশনে রাখা হলে তাঁদেরকে উপুড় হয়ে শোওয়ার ব্যবস্থা করলে মৃত্যুর সম্ভাবনা কম হয়।
এখন প্রশ্ন উঠতেই পারে, পেটের ওপর ভর দিয়ে শুয়ে জোড়ে জোড়ে শ্বাস-প্রশ্বাস নিলে কী লাভ হ? এ বিষয়ে চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন,সুস্থ ও স্বাস্থ্যকর জীবনের জন্য ভাল ঘুমের প্রয়োজন। বুকের দিকে নয়, ফুসফুসের একটি বড় অংশই রয়েছে পিঠের দিকে।তাই উপুড় হয়ে শোওয়ার সুবিধা হল ফুসফুসের বেশির ভাগ অংশ সহজে প্রচুর অক্সিজেন পায়। আর দ্রুত সুস্থ হতে সেটাই মিরাক্যালের মতো কাজ করে। এমনও দেখা গিয়েছে, আশঙ্কাজনক অবস্থায় থাকা বহু রোগীকে শোওয়ার ভঙ্গি পরিবর্তন করার ফলে তাঁদের রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা ৮৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ৯৮ শতাংশ পর্যন্ত হয়ে গিয়েছে। করোনাভাইরাস অতিমারীর সময় প্রতিদিন অল্প সময়ের জন্য হলেও উপুড় হয়ে শোওয়ার পরামর্শ দেন চিকিত্সকরা। অস্বস্তি লাগলে অল্প সময়ের জন্য পাশ ফিরে শোওয়া উচিত।