AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

বিশেষভাবে সক্ষম বাচ্চাদের যত্নে এই কোভিড-আক্রান্ত দুর্দিনে কী করবেন মা-বাবা, দুই বিশেষজ্ঞের বিশ্লেষণ ও পরামর্শ

জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য সমীক্ষা (২০১৫-১৬) অনুযায়ী, প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজনের মানসিক সমস্যা রয়েছে। তাঁদের মধ্যে এক তৃতীয়াংশ আবার ১৮ বছরের কম বয়সী। অথচ এমন গুরুতর সমস্যার ক্ষেত্রে ৮০ শতাংশ মানুষ সঠিক চিকিৎসাই পান না। পরিসংখ্যান অনুসারে, ১০০ জনের মধ্যে হয়তো ২০ জন সঠিক সময়ে চিকিৎসকের কাছে পৌঁছন।

বিশেষভাবে সক্ষম বাচ্চাদের যত্নে এই কোভিড-আক্রান্ত দুর্দিনে কী করবেন মা-বাবা, দুই বিশেষজ্ঞের বিশ্লেষণ ও পরামর্শ
আপনি ভেঙে পড়লে কিন্তু হবে না। কারণ আপনি ভাল না থাকলে আপনার সন্তান ভাল থাকবে না।
| Updated on: May 05, 2021 | 10:22 AM
Share

দ্বিতীয় দফাতেও প্রবল ভাবে দাপট দেখাচ্ছে করোনাভাইরাস সংক্রমণ এতটাই দ্রুত হারে ছড়াচ্ছে যে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া বারবার জনসাধারণকে বাইরে যেতে বারণ করছেন চিকিৎসকরা ফলে সরকারি ভাবে লকডাউন না হলেওএখন গৃহবন্দি অবস্থায় রয়েছেন অনেকেই

এর ফলে ফের দেখা দিচ্ছে নানা সমস্যা তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি হল মনের অসুখ মন ভাল নেই অনেকেরই সেই তালিকায় রয়েছেন বিশেষভাবে সক্ষম শিশুকিশোররাও প্রায় এক বছরেরও বেশি সময় ধরে কার্যত তাদের জীবন থমকে গিয়েছে সমাজের একটা বড় অংশের ধারনা ওরা হয়তো বর্তমান পরিস্থিতির কিছুই বোঝে না

কিন্তু বিষয়টা একেবারেই উল্টো খুব স্বাভাবিক ভাবেই ওরা সব বোঝে সমস্যা অন্য জায়গায় হয়তো ওরা সেভাবে বোঝাতে পারে নাপ্রকাশ করতে পারে না আর হয়তো তার জেরেই অনেক ক্ষেত্রে জোটে এড়িয়ে যাওয়াঅবহেলা এর জেরে কিন্তু সমস্যা বাড়তে পারে তাই এই গৃহবন্দি অবস্থায় বিশেষভাবে সক্ষম শিশুকিশোরদের মনের ভিতর উঁকি দেওয়া খুব জরুরি

এক্ষেত্রে মাবাবারা ঠিক কী কী করবেন আর কী কী করবেন নাসেই প্রসঙ্গে TV9 বাংলা আলোচনা করেছে পশ্চিমবঙ্গ অটিজম সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা ও ডিরেক্টর ইন্দ্রাণী বসু এবং শ্রুতি ডিসএবিলিটি রাইটস সেন্টারের ডিরেক্টর শম্পা সেনগুপ্তর সঙ্গে মাবাবাদের উদ্দেশে কী বার্তা দিলেন তাঁরা

এই কঠিন পরিস্থিতিতে বাচ্চাদের মন ভাল রাখতে মাবাবারা কী করতে পারেন?

ইন্দ্রাণী– বাচ্চাদের সঙ্গে ওপেন কমিউনিকেশনটা ভীষণ ভাবে প্রয়োজন মাবাবাদের বুঝতে হবে যে সার্বিক পরিস্থিতিটা কিন্তু আর পাঁচজনের মতোই ওরা বুঝতে পারে কিন্তু সমস্যাটা কোথায় হয়ওদের সঙ্গে কেউ ব্যাপারগুলো নিয়ে আলোচনা করেন নাএটা করলে কিন্তু বাচ্চাদের উপর মানসিক চাপ তৈরি হয় তাই মন ভাল রাখার প্রথম পদক্ষেপ হলপরিস্থিতি ঠিক যেমন সেটাই ওদেরকে ফ্র্যাঙ্কলি ওদের মতো করে বুঝিয়ে বলুন এড়িয়ে যাবেন না ইন্টারনেটে ছবি দেখানএকটু গল্প করেবাস্তবিক উদাহরণ দিয়ে শান্ত ভাবে বুঝিয়ে বলুন রাগারাগি করবেন না অধৈর্য হবেন না

আর যদি কাজ বলা হয় তাহলে

 মাস্কস্যানিটাইজারহাইজিনলকডাউনভ্যাকসিন সব নিয়েই খোলাখুলি কথা বলুন বাচ্চার সঙ্গে

 বাচ্চার জন্মদিন থাকলে ভার্চুয়ালি একটা পার্টি করতে পারেন

 গুগল মিট বা জুমে দূরের আত্মীয় কিংবা যাঁদের সঙ্গে ওরা ঘনিষ্ঠ যেমন– দাদুদিদা… এঁদের সঙ্গে কথা বলান

 বাচ্চা কোনও স্পেশ্যাল স্কুলে গেলে সেখানকার বাকি বাচ্চাদের সঙ্গে যদি সম্ভব হয় বা স্কুলের কারও সঙ্গে যদি সম্ভব হয় তাহলে ভার্চুয়ালি একটু যোগাযোগ রাখা

 আর সর্বোপরি বাড়ির ছোটখাটো কাজে যুক্ত করা শুধু আদেশ করবেন না মাবাবার নিজেও ওদের সঙ্গে কাজটায় যুক্ত হন

অন্যদিকে শম্পা সেনগুপ্ত বলছেন, “ওরা যে স্পেশ্যাল স্কুলগুলো বা থেরাপি সেন্টারে যেত, সেগুলো কিন্তু সেই ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকেই বন্ধ। অনলাইনে তো আর সব সম্ভব নয়। ওদের ডেভেলপমেন্টটাই কিন্তু থমকে গিয়েছে, পিছিয়ে গিয়েছে। একজন সাধারণ বাচ্চা অনলাইনে যতটা স্কুলের পরিবেশ এই পরিস্থিতিতেও পেয়েছে, বিশেষভাবে সক্ষম বাচ্চাদের ক্ষেত্রে কিন্তু সেটুকুও সম্ভব হয়নি। ফলে একধাক্কায় ওরা অনেকটা পিছিয়ে গিয়েছে। এর মধ্যে মা-বাবার জীবনশৈলীও বদলে গিয়েছে অনেকটাই। ফলে তাঁরাও হয়তো সেভাবে সন্তানের খেয়াল রাখতে পারছেন না।“

কাছের মানুষ হয়তো কোভিড আক্রান্ততাঁকে দেখতে না পেয়ে বাচ্চা কি ভায়োলেন্ট বা ইমপালসিভ হয়ে যেতে পারে?

ইন্দ্রাণী এর মধ্যে খুব একটা ভায়োলেন্ট বা ইমপালসিভ হয়ে যাওয়ার ঘটনা আমি শুনিনি তবে যেটা হচ্ছেবাচ্চারা খুব অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ছে কেউ খাওয়াদাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে কেউবা একটু খিটখিটে হয়ে গিয়েছে আসলে বাচ্চা কী করছে সেটা এখন গুরুত্বপূর্ণ নয় বরং তার চারপাশের লোকজন কী করছেসেটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ ধরুন একজন বিশেষভাবে সক্ষম বাচ্চার মা করোনা আক্রান্ত হয়ে আইসোলেশনে রয়েছেন তখন বাড়ির বাকিদের উচিত তাকে পরিস্থিতি বুঝিয়ে বলা কিন্তু অনেকেই ভেবে নেনবাচ্চাটি এসব মেনে নিতে পারবে নাওকে এড়িয়ে যান এর ফলে হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি তার বদলে বরং বাচ্চাটিকে বুঝিয়ে বললে ও কিন্তু পুরো বিষয়টাই মেনে নেবে হয়তো সময় লাগবে একটু কিন্তু ওর মনে প্রভাব পড়বে না

শম্পা- যদি বিশেষ ভাবে অটিস্টিক বাচ্চাদের কথা বলি, তাহলে প্রথমেই বলব তাদের জীবন কিন্তু রুটিনে বাঁধা। এই রুটিন এদিক-ওদিক হলে ওরা একটু ইমপালসিভ হয়ে পড়তে পারে। কিন্তু এখন যেহেতু কিছু করার নেই, কারণ প্রতিদিনের জীবনটাই খুব অনিশ্চিত। তাই সেভাবে রুটিন মেনে চলা সম্ভব হচ্ছে না। সেক্ষেত্রে বাচ্চাকে দু-তিনটে অতিরিক্ত অপশন দিন। অর্থাৎ, বাচ্চার যা রুটিন সেটা যে ভাঙতে পারে, বদল হতে পারে, সেটা আগাম জানিয়ে রাখা। বুঝিয়ে বলা যে কেন এরকমটা হতে পারে। মা-বাবাদের কিন্তু মাথা ঠাণ্ডা রাখতেই হবে। এই মুহূর্তে এটা সবচেয়ে বেশি জরুরি।

আর বাড়ির কেউ যদি আক্রান্ত হন যিনি বাচ্চার বেশি কাছের, সেক্ষেত্রে বাচ্চাকে বারবার একই কথা বলে হলেও পুরো পরিস্থিতিটা সহজ ভাবে বোঝাতে হবে। ব্যাপারটা সহজ নয় একেবারেই। তবে পরিবারের বাকি সদস্যরা যদি ওকে বোঝানোর চেষ্টা করেন, তাহলে সুবিধাই হবে। কিন্তু একটা কথা মাথায় রাখতে হবে, পুরো বিষয়টা ওদেরকে ওদের মতো করে সহজ ভাষায় শান্ত ভাবে বোঝাতে হবে।

এই কঠিন পরিস্থিতিতে নিজেদের ভাল রাখতে মাবাবাদের কী বার্তা দেবেন?

ইন্দ্রাণী– মাবাবাদের বলব নিজেদের ভাল রাখুনসুস্থ রাখুন আপনি ঠিক থাকলে তবেই কিন্তু আপনার সন্তান ভাল থাকবে তাই নিজেদের স্ট্রেস কমানোর চেষ্টা করুন পছন্দ হল ভাল সিনেমা দেখুনভাল বই পড়ুন মাঝে মাঝে প্রিয় মানুষদের সঙ্গে একটু আড্ডা দিন সোশ্যাল মিডিয়ায় বা ভার্চুয়াল মাধ্যমে মাবাবারা নিজেদের ভাল না রাখলে কিন্তু বাচ্চাদের সমস্যা বুঝতেই পারবেন না উল্টে আপনার রাগদুশ্চিন্তার প্রভাব পড়বে আপনার সন্তানের উপর যা মোটেই কাম্য নয়

অযথা আতঙ্কিত হবেন না। আর অ্যানজাইটি বা উদ্বেগ কিংবা মানসিক চাপ নিজের মধ্যে চেপে রাখলে কিন্তু অনেক বেড়ে যায়। তাই খোলামেলা কথা বলুন এমন কারও সঙ্গে যাঁর সঙ্গে আমি শেয়ারিংয়ে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। বিশেষ করে সিঙ্গল পেরেন্টদের এই পরামর্শ দেব। আপনাদের মতো আরও যাঁরা রয়েছেন, অবশ্যই আপনার পরিচিত, তাঁদের নিয়ে একটা গ্রুপ করুন। সেখানে গল্প করুন বা সৃজনশীল কোনও কাজে যুক্ত হন। দেখবেন আপনার মন ভাল থাকবে।

একই কথা বলছেন শম্পা সেনগুপ্ত। তাঁর কথায়, “কোভিড আমাদের খুব একা করে দিয়েছে। তাই মা-বাবাদের বলব যেভাবেই হোক নিজেদের ভাল রাখুন। প্রয়োজনে অন্যান্য অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনা করুন। আসলে এই পরিস্থিতিতে পেরেন্ট কাউন্সেলিং খুব জরুরি। কারণ মা-বাবা ভাল থাকলে, তবে তাঁর সন্তান ভাল থাকবে। বা সন্তানকে বাবা-মা ভাল রাখার চেষ্টা করতে পারবেন।“

সিঙ্গল পেরেন্টদের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে সক্ষম সন্তানকে সামলানো বোধহয় অনেক বেশি সমস্যারতাঁদের কী বলবেন?

ইন্দ্রাণী– হ্যাঁ সিঙ্গল পেরেন্টের ক্ষেত্রে নিঃসন্দেহে লড়াইটা অনেক কঠিনঅনেক জটিল তবে ওই একটা কথা মাথায় রাখবেন, ‘আমি ভাল থাকলে তবে আমার সন্তান ভাল থাকবে অতএব শরীরস্বাস্থ্যের পাশাপাশি নিজের মনের দিকেও নজর দিন। সন্তানের সঙ্গে বর্তমানের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করুন নিজের কথা ওকে বলুন সমান মনোযোগ দিয়ে ওর কথাগুলোও শুনুন বাচ্চাকে এড়িয়ে যাবেন না কারণ ওরা কিন্তু সব বুঝতে পারে হয়তো সেভাবে বোঝাতে পারে নাপ্রকাশ করতে পারে না তাই ওদের মনের অন্দরমহলে উঁকি দিয়ে সবটা বুঝে নেওয়ার দায়িত্ব কিন্তু মাবাবারই

শম্পা- সমাজ আমায় একঘরে করে দিচ্ছে, এই ভেবে পিছিয়ে থাকলে চলবে না। সিঙ্গল পেরেন্টদের লড়াই কিন্তু অনেক বেশি কঠিন। তাই একে অপরের পাশে থাকার চেষ্টা করুন। আপনার মতো অন্য যাঁরা সিঙ্গল পেরেন্ট তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখুন। আপনি ভেঙে পড়লে কিন্তু হবে না। কারণ আপনি ভাল না থাকলে আপনার সন্তান ভাল থাকবে না।

বাবাদের ভূমিকা কেমন হওয়া প্রয়োজন?

ইন্দ্রাণী- বাচ্চা মানুষ করার দায়িত্ব যতটা মায়ের, ঠিক ততটাই বাবারও। তাই যে সংসারে স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই কর্মরত এবং তাঁদের সন্তান বিশেষভাবে সক্ষম, সেই পরিবারে ঘরের প্রতিদিনের কাজে স্বামীরা, স্ত্রীদের সাহায্য করুন। পাশাপাশি বাচ্চাকে সামলাতেও সাহায্য করুন। সন্তান তো বাবারও, তাই তাঁকেও সময় দিতে হবে। অনেক পরিবারেই স্ত্রী বলেন হয়তো, আমরা স্বামীকে না বললে কিছুই করে না। তাহলে তাঁকে বলে বলেই কাজ করান। তাহলে সকলের জীবনই একটা স্বাভাবিক ছন্দে ফিরবে।

শম্পা- সন্তানকে দেখভাল করে যত্নে রাখা, ভাল রাখার দায়িত্ব কিন্তু মা কিংবা বাবার একার নয়। তাই দু’জনকেই সমানভাবে সন্তানের খেয়াল রাখতে হবে।

মা-বাবারা একেবারেই যা যা করবেন না…

এই প্রসঙ্গে দুই বিশেষজ্ঞেরই মতামত-

১। অনেকে ধরেই নেন, বাচ্চা বিশেষভাবে সক্ষম বলেই, তার মধ্যে সমস্যা রয়েছে। এই ভাবনা বাদ দিন। আপনার-আমার মতো ওরাও পরিস্থিতির শিকার। হয়তো সেই জন্যই ওদের আচরণে পরিবর্তন এসেছে। এই সূক্ষ্ম ব্যাপারগুলো বোঝার চেষ্টা করুন।

২। বাচ্চাকে এড়িয়ে যাবেন না। সমাজের একটা বড় অংশ তো ওদের একঘরে করেই দিয়েছে। মা-বাবা হয়ে, আপনারা সেটা করবেন না। বরং বর্তমানের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে ওদের সঙ্গে ওদের মতো করেই খোলামেলা আলোচনা করুন। ধৈর্য ধরে, সময় নিয়ে, শান্ত ভাবে ওদের বুঝিয়ে বলুন।

৩। এই মহামারী সময় মা-বাবারা বাচ্চার সামনে চেষ্টা করুন ঝগড়া বা রাগারাগি না করার। গার্হস্থ্য হিংসা ওদের মনে প্রভাব ফেলতে পারে।

৪। কোনওমতেই বাচ্চাকে বকবেন না। অতিরিক্ত চেঁচাবেন না। মারধরের তো প্রশ্নই উঠছে না। ঝগড়া-অশান্তি এড়িয়ে চললেই ভাল।

আরও পড়ুন- করোনার চোখ রাঙানিতে ফের বন্ধ স্কুল, ঘরবন্দি বাচ্চাদের মান-অভিমান কীভাবে সামলাবেন মা-বাবারা?

৫। বাচ্চার উপর দিয়ে নিজের ফ্রাসট্রেশন উগরে দেবেন না। আপনি আতঙ্কিত হতে পারেন, দুশ্চিন্তা থাকতে পারে, উদ্বিগ্নও হতে পারে… কিন্তু বাচ্চার সামনে সেগুলো প্রকাশ না করাই মঙ্গলের।

৬। নেতিবাচক আলোচনা যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলা। আর সহজ করে বাচ্চাদের পুরো পরিস্থিতিটা বোঝানো। এই দুটো বিষয় খুব গুরুত্বপূর্ণ। সেই সঙ্গে বাচ্চাকে স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন করাও প্রয়োজন। এখনকার সামাজিক নিয়মগুলো যে তাকেও মেনে চলতে হবে, সেটা বোঝানো দরকার। পাশাপাশি বাবা-মায়েরাও স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন থাকুন।