বউ প্রেগন্যান্ট! হাজার বায়না করলেও তেঁতুল খেতে দেবেন না, বাচ্চা পেটেই নষ্ট হবে
Abortion: প্রেগন্যাট মহিলাদের প্রিয় খাবার কিন্তু তেঁতুল। তেঁতুলের আঁচার হলে একই দিনে তা খেয়ে শেষ করে দিতে পারেন কোনও প্রেগন্যান্ট মহিলা। কিন্তু এই তেঁতুল মারাত্মক ক্ষতিকারক পদার্থ। সাংঘাতিক প্রাণঘাতী। জানিয়েছেন এক বিশিষ্ট্য স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ। তিনি সাবধান করেছেন সব গর্ভবতী মহিলাদের।
স্নেহা সেনগুপ্ত
অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের টক খেতে খুব ভাল লাগে। বলা ভাল, টক খাওয়ার ক্রেভিং (craving) তৈরি হয় তাঁদের। এবং সেই টকের মধ্যে অন্যতম হল তেঁতুল। বিভিন্ন সিনেমায় এবং গল্পে অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের চিহ্নিত করতে তেঁতুল খাওয়ার প্রেক্ষাপটকে তুলে ধরা হয়েছে। ফলে, অন্তঃসত্ত্বা মহিলা এবং তেঁতুল যেন অঙ্গাঙ্গিক। কোনও নায়িকা অন্তঃসত্ত্বা মানেই তাঁর তেঁতুলের প্রতি আকর্ষণ তৈরি হয়। কিন্তু এই তেঁতুল কি সত্যি মহিলাদের উপকার করে? চিকিৎসকরা বলেন, তেঁতুল নাকি অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের জন্য প্রাণঘাতী। কীভাবে তা TV9 বাংলাকে বলেছেন বিশিষ্ট্য স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ পূরবী মুখোপাধ্যায়।
দীর্ঘদিন স্ত্রীরোগের চিকিৎসা করে চলেছেন পূরবী। বিগত চার দশক ধরে অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের অন্যতম ভরসার জায়গা তিনি। কোনও মহিলার সন্তান ধারণে সমস্যা হচ্ছে, উপায় বাতলে দিয়েছেন পূরবী। তিনিই জানিয়েছেন, তেঁতুল আসলে প্রেগন্যান্ট মহিলাদের জন্য অন্য়ন্ত ক্ষতিকারক।
গর্ভধারণের তিনটি ধাপ রয়েছে। প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ট্রাইমেস্টার। প্রথম ট্রাইমেস্টারে তেঁতুল খেতে এক্কেবারে নিষেধ করেন পূরবী। কেন তিনি বলেছেন? পূরবী জানিয়েছেন, গর্ভধারণের তিন মাস অর্থাৎ, প্রথম ট্রাইমেস্টারে কোনও গর্ভবতী যদি তেঁতুল খেতে শুরু করেন, তা হলে সেটা তাঁর চরম ক্ষতি করতে পারে। তেঁতুলের কারণে গ্যাস এবং অ্যাসিডিটি হতে পারে গর্ভবতীর। পেটে অতিরিক্ত অ্যাসিড তৈরি হলে গর্ভস্থ ভ্রূণের ক্ষতি হতে পারে। ভ্রূণ নষ্ট হতে পারে। গর্ভপাত হতে পারে।
তা হলে মহিলারা কি টক খাবেন না? খেতে পারেন। জানিয়েছেন পূরবী। তিনি বলেছেন, “মহিলারা প্রেগন্যান্ট অবস্থায় তেঁতুল খেতে পারেন। কিন্তু সেটা তৃতীয় ট্রাইমেস্টার কিংবা গর্ভধারণের ৭ থেকে ৯ মাসের মধ্যে। কিন্তু তাও অতিরিক্ত মাত্রায় নয়। সাধারণত তেঁতুলের আঁচার তৈরি করে খাওয়া হয় বলে গর্ভবতীরা তা অনেক পরিমাণে খেয়ে ফেলেন এবং তাতেই ক্ষতিটা হয়। টক কিছু খেতে হলে গর্ভবতীরা খেতে পারেন পাতি লেতু। কিন্তু নুন দিয়ে নয়। নুনে হাই ব্লাড প্রেশার হতে পারে। সেটাও ক্ষতিকারক মা এবং গর্ভস্থ সন্তানের জন্য।”