Healthy Diet During Corona: এই করোনা পরিস্থিতিতে পুষ্টিকর খাবার খাওয়া অত্যন্ত জরুরি কেন?
ছোট বাচ্চাদের দ্রুত বৃদ্ধি এবং বিকাশের জন্য একটি সুষম খাদ্য প্রয়োজন। বয়স্ক ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যকর এবং সক্রিয় জীবনের জন্য পুষ্টিকর খাবারের বিশেষ প্রয়োজন।
নবজাতক শিশু থেকে শুরু করে একজন বৃদ্ধ, সব বয়সের মানুষের জন্য পুষ্টির প্রয়োজন হয়। নবজাতক শিশুদের জন্য, প্রথম ছয় মাস বুকের দুধ অত্যন্ত পুষ্টিকর। তার সঙ্গে দরকার নিরাপদ খাবার। ছোট বাচ্চাদের দ্রুত বৃদ্ধি এবং বিকাশের জন্য একটি সুষম খাদ্য প্রয়োজন। বয়স্ক ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যকর এবং সক্রিয় জীবনের জন্য পুষ্টিকর খাবারের বিশেষ প্রয়োজন। আজকের এই প্যান্ডেমিকের যুগে, আমাদের খাবার সম্বন্ধে অনেক বেশি সচেতন হতে হবে।
স্বাস্থ্যকর ডায়েটের টিপস:
শাকসবজি এবং ফল সমৃদ্ধ একটি ডায়েট মেনে চলুন:
শাকসবজি এবং ফলগুলিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। এদের মধ্যে সর্বোচ্চ মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট সামগ্রী থাকার কারণেই সতেজ শাকসবজি আর ফল খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
হোল-গ্রেইন, হাই-ফাইবার খাবার বেছে নিন:
এর মধ্যে রয়েছে ফল, শাকসবজি এবং বিনসের মতো সবজি। ভালো হোল গ্রেনের তালিকায় রয়েছে গম, ওটস বা ওটমিল, রাই, বার্লি, ব্রাউন রাইস, মিল্টস ইত্যাদি। এগুলি প্রবল মাত্রায় আপনার হজমের উন্নতি করে।
ভাল পরিমাণে প্রোটিন গ্রহণ করুন:
গরুর দুধ, ডাল, হোল গ্রেন, ডিমের সাদা অংশ, হাঁস বা মুরগির মাংস এবং মাছ কম বেশি খাওয়া উচিত। এদের থেকে প্রাপ্ত প্রোটিন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরিতে মারাত্মক উপকারী।
ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ খাবার খান:
মাছ খান বিশেষ করে তৈলাক্ত মাছ (সার্ডিন, ম্যাকেরেল, টুনা, সালমন, হেরিং, ট্রাউট), বাদাম, আখরোট, ফ্লেক্সসিড এগুলি খাওয়া শুরু করে দিন। এগুলি আপনার অতিরিক্ত কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।
স্যাচুরেটেড ফ্যাট গ্রহণ সীমিত করুন:
বেকারি পণ্য যেমন কেক, পেস্ট্রি, প্যাকেটজাত খাবার, ভাজা জিনিস, রেড মিট, ঘি, মাখন, ডালদা এবং মার্জারিন খাওয়া সীমিত করুন। এছাড়াও ডিমের কুসুম কিংবা কোলেস্টেরল বেশি থাকা শেলফিশ খাওয়া সীমিত করুন।
লবণের পরিমাণ কমিয়ে দিন:
আপনার খাবারে লবণের পরিমাণ কমান কারণ এটি রক্তচাপ বাড়িয়ে তুলতে পারে। যা হৃদরোগের ঝুঁকির কারণ। আচার, পাপড়, টিনজাত ও সংরক্ষিত সবজি/ ফল, শুকনো মাছ, রেডিমেড চাটনি, টমেটো কেচাপ এই ধরণের খাবার খাওয়া সীমিত করা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
কার্বনেটেড পানীয় খাওয়া কমিয়ে দিন:
যেসব পানীয় এবং খাবারে অতিরিক্ত শর্করা রয়েছে (কর্ন সিরাপ, সুক্রোজ, গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ, ম্যালট্রোজ, ডেক্সট্রোজ, কেন্দ্রীভূত ফলের রস, মধু) সেই ধরণের খাবার কম খাওয়া উচিত।
পরিমিতভাবে অ্যালকোহল পান করুন:
অ্যালকোহল যত কম খাবেন ততই আপনার শরীর সুস্থ থাকবে।
অভুক্ত থাকবেন না:
উপোষ এড়িয়ে চলুন। একেবারে একসঙ্গে অনেকটা খাবার না খেয়ে, ডায়েটিশিয়ানের সঙ্গে পরামর্শ করুন। প্রতিদিনের ভারী খাবারকে অনেকগুলো ছোট খাবারে ভাগ করে নিন।
নিয়মিত ব্যায়াম করুন:
সপ্তাহে ৫ দিন কমপক্ষে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট নিয়মিত ব্যায়াম করুন। যোগব্যায়াম হোক কিংবা সাইক্লিং কিংবা সাঁতার, যে কোনও ধরণের ব্যায়াম করা খুব জরুরি।
আরও পড়ুন: করোনায় সুস্থ হওয়ার পর কম বয়সি ও শিশুদের মধ্যে কেন দেখা যাচ্ছে হৃদরোগের সমস্যা?