Covid-19: ৬-৮ মাস পরই ‘শেষ’ হবে কোভিড-১৯ অতিমারি! কী বলছেন গবেষকরা?

সম্প্রতি, মিনিয়াপলিসের মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংক্রামক রোগ গবেষণা ও নীতি কেন্দ্রের ডিরেক্টর মাইকেল ওস্টারহলমের সতর্কবার্তা, এখনই সচেতন না হলে আগামী শীত ও শরতে করোনার আরও একটি ঢেউ আসতে পারে।

Covid-19: ৬-৮ মাস পরই 'শেষ' হবে কোভিড-১৯ অতিমারি! কী বলছেন গবেষকরা?
ছবিটি প্রতীকী
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 15, 2021 | 8:48 PM

দ্রুত করোনাভাইরাসের আতঙ্ক থেকে মুক্তি পাওয়ার প্রার্থনা এখন প্রতিটি বিশ্ববাসীর। গত দেড় বছরের বেশ সময় ধরে যে কঠিন ও খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে গোটা পৃথিবীর মানুষ কাটিয়েছেন, তা দ্রুত নিষ্পত্তি চাইছেন প্রত্যেককেই। অতিমারি বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এতদিন ধরে মানুষ যা যা করেছে, তার থেকে একটি শিক্ষা নেওয়া উচিত। সংক্রমণ যাতে নতুন করে ঊর্দ্ধমুখী না হয় তা প্রথমেই সতর্ক হওয়া। করোনার জেরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির ক্লাস সব বাতিল হয়েছে, হাসপাতালে চিকিত্‍সার বোঝা যাতে এইভাবে বেড়ে না যাওয়া- এই সব কিছুই আমাদের এক শিক্ষা থেকে সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। আর তাতেই এই কঠিন অবস্থার দ্রুত নিষ্পত্তি ঘটবে। সম্প্রতি, মিনিয়াপলিসের মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংক্রামক রোগ গবেষণা ও নীতি কেন্দ্রের ডিরেক্টর মাইকেল ওস্টারহলমের সতর্কবার্তা, এখনই সচেতন না হলে আগামী শীত ও শরতে করোনার আরও একটি ঢেউ আসতে পারে।

ব্লুমবার্গ নিউজ এজেন্সিতে ওস্টারহোম জানিয়েছেন, শরত ও শীতে সংক্রমণের আরও একটি ঢেউ আছড়ে পড়ার পর সংক্রমণের মাত্রা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করবে। আর এই প্রভাব সারা বিশ্বজুড়েই ঘটবে। আর তা ঘটবে এই বছরেই। প্রায় সব চিকিত্‍সাবিজ্ঞানীরা একমত যে, কোভিড ১৯-এর সমাপ্তি খুব তাড়াতাড়ি ঘটবে না। পরবর্তী ছয় থেকে আট মাসের জন্য তো নয়ই। অতিমারির শেষ হওয়ার আগে, বিশ্বের প্রতিটি ব্য়ক্তি অন্তত একবার এই ভাইরাসে আক্রান্ত হবেন। আশঙ্কা করা হচ্ছে, করোনা আক্রান্তরাও হয়তো ২বার করে এই রোগের বিরুদ্ধে মোকাবিলা করতে হতে পারে।

তবে দুশ্চিন্তা কাটচ্ছে না বিজ্ঞানীদের। উদ্বেগে কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে নভেল করোনাভাইরাসের নয়া রূপ। সারা বিশ্বজুড়ে টিকাকরণ প্রক্রিয়া চালু থাকলেও সংক্রমণের নিত্যনতুন মিউট্যান্টের আচরণ নিয়ে মাথাব্যাথা শুরু হয়েছে গবেষকমহলে। প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসের যে কোনও মিউট্যান্টের বিরুদ্ধে মোকাবিলা করতে সকলকে টিকা গ্রহণের উপর জোড় দেওয়া হচ্ছে।

অতিমারির প্রথম দিকে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইে প্রধান চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায় কোভিড ভ্যাকসিন তৈরি করা। কিন্তু বিশ্ব সেইসময় অতিমারির বিরুদ্ধে মোকাবিলা করার পাঠ নিচ্ছে। একটি সময়ের জন্য সামাল দিতে বিশ্বব্যাপী জনসংখ্য়াকে টিকা দেওয়া, সুরক্ষিত রাখা, সচেতন করা দরকার হয়ে পড়েছিল। সেই কাজটাই এখন অনেক স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে। প্রসঙ্গত, গোটা পৃথিবী জুড়েই চলছে টিকাকরণ প্রক্রিয়া। প্রতিদিন টিকাদানের হাড় বাড়লেও এখনও কোটি কোটি মানুষের টিকা গ্রহণ করা হয়নি আর তাতেই সংক্রমণ আরও বেশি করে ছড়িয়ে পড়ার প্রবণতা তৈরি হচ্ছে। নবজাতক যাঁরা, তাঁদের এখনও টিকার আওতায় পড়েনি। কিন্তু যাঁরা এখনও টিকা নেওয়ার নির্দিষ্ট বয়সের মধ্যে থেকেও নেননি, তাঁদেরকে নিয়েই বেশি চিন্তিত চিকিত্‍সকবিজ্ঞানীরা।

আরও পড়ুন: Weight Lose: দ্রুত ওজন ঝরাতে ডায়েটে যোগ করুন এই ৫ পুষ্টিকর খাবার!

আরও পড়ুন:  Dry skin on a Baby: শিশুর শুষ্ক ত্বক নিয়ে চিন্তিত? জেনে নিন কীভাবে যত্ন নেবেন আপনার নবজাতকের!