CAA কার্যকরের আগেই ৯ মাসে ১৭৩৯ জনকে নাগরিকত্ব দিয়েছে মোদী সরকার

নাগরিকত্ব আইনে বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আসা হিন্দু, জৈন, খ্রিস্টান, শিখ, বৌদ্ধ এবং পার্সিদের ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রদানের কথা বলা হয়েছে। সোমবার (১১ মার্চ), এই আইন কার্যকর করল মোদী সরকার। তবে, তার আগেই এই আইনে ৯ মাসে ১,৭৩৯ জনকে ভারতের নাগরিকত্ব দিয়েছিল মোদী সরকার।

CAA কার্যকরের আগেই ৯ মাসে ১৭৩৯ জনকে নাগরিকত্ব দিয়েছে মোদী সরকার
সিএএ কার্যকর হওয়ার আগেই এই আইনে নাগরিকত্ব পেয়েছেন ১৭৩৯ জনImage Credit source: Twitter
Follow Us:
| Updated on: Mar 11, 2024 | 9:34 PM

নয়া দিল্লি: সোমবার (১১ মার্চ), নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন কার্যকর করল মোদী সরকার। তবে, এই আইন কার্যকর হওয়ার আগেই, বেশ কয়েকজন বিদেশী নাগরিককে এই আইনের আওতায় ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে। ২০২৩ সালের অক্টোবরে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছিল, ২০২২ সালের ১ এপ্রিল, ওই বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নয়টি রাজ্যের ৩১টি জেলায় সিএএ-র আওতায় বিদেশীদের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছিল, ওই ৯ মাসে ১,৭৩৯ জনকে ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৩৮৬ জনকে এই আইনের ৫ নম্বর ধারায় নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে, বাকি 353 জনকে নাগরিকত্ব আইন-1955-এর 6 ধারায় নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক আরও জানিয়েছিল, ২০২২-এর ৮ ডিসেম্বর, ন্যাশনাল ইনফরমেটিক্স সেন্টার ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনের ৮ (২) ধারায় ভারতীয় নাগরিকত্ব পুনর্নবীকরণের আবেদন করার জন্য, একটি অনলাইন পোর্টাল চালু করেছে। ২০১৯ সালের ১৫ অক্টোবর, নাগরিকত্বের আবেদনগুলি সম্পূর্ণ কাগজবিহীন করা হয়েছিল। অর্থাৎ, পুরো প্রক্রিয়াটি ইলেকট্রনিকভাবে করা শুরু হয়েছে। ২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর এই আইন পাস হয়েছিল। ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে, ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি এবং খ্রিস্টানদের ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়ার কতা বলা হয়েছে। এই তিন দেশ-সহ অন্যান্য দেশ থেকে আসা মুসলিমদের জন্য এই আইনটি প্রযোজ্য নয়।

আগে, অন্তত ১১ বছরের বেশি সময় ধরে ভারতে থাকলে, তবেই বিদেশি নাগরিকরা ভারতের নাগরিকত্ব পেতেন। নয়া আইনে এই সীমা কমিয়ে পাঁচ বছর করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে বারবার বলা হয়েছে, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ভারতীয়দের জন্য প্রযোজ্য নয়। ভারতীয়দের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য এই আইন করা হয়নি। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন, শুধুমাত্র তিন প্রতিবেশী দেশে ধর্মীয় নিপীড়নের সম্মুখীন হওয়া সংখ্যালঘুদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য করা হয়েছে।