Mid-Day Meal: মিড-ডে মিল খেয়ে অসুস্থ ৩৬
Mid-Day Meal: মিড-ডে মিল খেয়ে অসুস্থ ৩৬ পড়ুয়া। এখনও একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে জানা গিয়েছে।
সাংলি: মিড-ডে মিল (Mid-Day Meal) খেয়ে অসুস্থ এক স্কুলের ৩৬ জন পড়ুয়া। তাদের তড়িঘড়ি হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসার পর ৩৫ জন পড়ুয়াকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে একজনকে এখনও পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) সাংলিতে ওয়ানলেসওয়াড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের মিড-ডে মিলের খাবারে বিষক্রিয়ার কারণেই তার অসুস্থ হয়ে পড়েছে বলে জানা গিয়েছে।
একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠী ওয়ানলেসওয়াড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের মিড-ডে মিল রান্নার দায়িত্বে রয়েছে। স্কুলের রান্নাঘরেই ভাত ও ডাল রান্না করা হয়েছিল। স্কুলের পঞ্চম শ্রেণি থেকে সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়ারা সেই ভাত ডাল খেয়েছিল মিড-ডে মিলে। তারপরই শুরু হয় গা গোলানো, পেটে ব্যথা। একাধিক পড়ুয়া জানায় তাদের পেটে ব্যথা করছে। এমনকী কয়েকজন বমিও করে দেয়। মোট ৩৬ জন পড়ুয়া অসুস্থ হয়ে পড়ে এই ডাল ভাত খাওয়ার পরে। তারপর তাদের হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসার পর ৩৫ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে একজন এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার পেটে এখনও ব্যথা রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
এই ঘটনার পর প্রাথমিক বিভাগের শিক্ষা আধিকারিক বলেছেন, “মিড-ডে মিলের খাবার খাওয়ার পর ৩৬ জন জানায়, তাদের গা বমি বমি করছে, পেটে ব্যথা হচ্ছে। কেউ কেউ আবার বমিও করে দেয়। পেটে ব্যথা নিয়ে এখনও এক পড়ুয়া হাসপাতালে ভর্তি। তাকে স্যালাইন দেওয়া হয়েছে। তার অবস্থা স্থিতিশীল।” এদিকে কীভাবে এই বিষক্রিয়ার ঘটনা ঘটল তা জানতে শুরু হয়েছে তদন্ত। স্কুলের সেন্ট্রাল কিচেন থেকে খাবারের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তা ল্যাবে পরীক্ষার জন্য পাঠানোও হয়েছে। আর এই ঘটনার তদন্তের জন্য একটি তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছেন শিক্ষামন্ত্রী। এদিকে পড়ুয়াদের অসুস্থতার খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়েছিলেন সাংলি পৌরনিগমের কমিশনার স্মৃতি পাটিল। সেখানে গিয়ে পড়ুয়াদের অবস্থা খতিয়ে দেখেন তিনি।
প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গের স্কুলগুলি থেকে একাধিকবার মিড-ডে মিল খেয়ে পড়ুয়াদের অসুস্থ হওয়ার খবর উঠে আসে। সম্প্রতি প্রায় দুই সপ্তাহ আগে বাংলার একটি স্কুলের মিড ডে মিলে একটি মৃত টিকটিকি ও ইঁদুর পাওয়া গিয়েছিল। সেই খাবার খেয়ে অন্ততপক্ষে ২৫ জন অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। অহরহই বাংলার মিড-ডে মিলে সাপ, টিকটিকি পাওয়ার খবর পাওয়া যায়।