‘মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে ধর্মান্তকরণ’ ! ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের চক্রান্তে অভিযুক্ত ৮

Uttar Pradesh ATS : ইসলামিক দবা সেন্টারের নামে 'ধর্মান্তকরণের' অভিযোগ ছিল ওই আটজনের বিরুদ্ধে। এই চক্রের নিশানায় ছিল মূলত বিশেষভাবে সক্ষম শিশু, মহিলা, বেকার ও গরিব মানুষরা। ভাল শিক্ষা, বিয়ে, চাকরি ও টাকার 'প্রলোভন দেখিয়ে' তাদের ধর্মান্তকরণ করা হত।

'মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে ধর্মান্তকরণ' ! ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের চক্রান্তে অভিযুক্ত ৮
২১ বাংলাদেশিকে আটক করেছে পুলিশ। (প্রতীকী ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 04, 2021 | 6:52 PM

লখনউ : উত্তরপ্রদেশ পুলিশের জঙ্গি দমন শাখার হাতে ধৃত আট ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের চক্রান্তে যুক্ত থাকার অভিযোগে মামলা রুজু করা হয়েছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের ‘প্রলোভন দেখিয়ে ধর্মান্তকরণের’ অভিযোগ রয়েছে। জঙ্গিদমন শাখার আবেদনের ভিত্তিতে লখনউয়ের আদালতে ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২১-এ ধারায় (অপরাধের ষড়যন্ত্র) এবং ১২৩ ধারায় (গোপনে যুদ্ধ বাঁধানোর চক্রান্ত) মামলা রুজু হয়েছে।

চলতি বছরের ২১ জুন জঙ্গি দমন শাখার হাতে দিল্লির দুই পীরজাদা মহম্মদ উমর গৌতম এবং মুফতি কাজি জাহাগীর আলম কাসমি ধরা পড়ে। তাদের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে ধর্মান্তকরণের’ একটি বিশাল চক্র চালানোর অভিযোগ ছিল। প্রায় কয়েক হাজার মানুষকে জোর করে ধর্মান্তকরণ করানোর অভিযোগ ছিল তাদের বিরুদ্ধে।

পরে জঙ্গি দমন শাখার হাতে আরও আটজন ধরা পড়ে। এক্ষেত্রেও একই অভিযোগ। ইসলামিক দবা সেন্টারের নামে ধর্মান্তকরণ করানোর অভিযোগ ছিল ওই আটজনের বিরুদ্ধে। এই চক্রের নিশানায় ছিল মূলত বিশেষভাবে সক্ষম শিশু, মহিলা, বেকার ও গরিব মানুষরা। ভাল শিক্ষা, বিয়ে, চাকরি ও টাকার প্রলোভন দেখিয়ে তাদের ধর্মান্তকরণ করানো হত।

মোট দশজনের মধ্যে চারজন মহারাষ্ট্রের ও দুই জন দিল্লির বাসিন্দা। বাকিদের বাড়ি হরিয়ানা, গুজরাত, উত্তরপ্রদেশ ও ঝাড়খণ্ডে। ধৃতদের মধ্যে মহম্মদ উমর গৌতম, মুফতি কাজি জাহাগির আলম কাসমি, সালাউদ্দিন জ়াইনুদ্দিন শেখ, ইরফান শেখ ওরফে ইরফান খান, ডাঃ ফারজ়, প্রসাদ রামেশ্বর কাওয়ারে ওরফে অ্যাডাম, ভানুপ্রিয়া বান্দো ওরফে আরসালান এবং কৌশর আলমের বিরুদ্ধে ১২১-এ এবং ১২৩ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।

জঙ্গি দমন শাখার গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, তাঁদের হাতে যথেষ্ট প্রমাণ আছে ধৃতদের বিরুদ্ধে ১২১-এ এবং ১২৩ ধারায় মামলা রুজু করার জন্য। গোয়েন্দারা আদালতে তাঁদের কেস ডায়েরিও জমা দিয়েছেন।

উত্তরপ্রদেশ পুলিশের জঙ্গি দমন শাখাকে এই ধরনের ঘটনা কড়া হাতে নিয়ন্ত্রণ করার নির্দেশ দিয়েছেন সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এই ধরনের কাজে যুক্ত বলে সন্দেহ হলে, ওই সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে জাতীয় নিরাপত্তা আইনের আওতায় আটক করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

উত্তরপ্রদেশ পুলিশ সূত্রে খবর, এই ধরনের ধর্মান্তকরণের ঘটনার পিছনে বিদেশি পুঁজি থাকতে পারে। আইএসআইয়ের মদতের সম্ভাবনাও একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। আরও পড়ুন : একটি মামলায় ৫৪২ দিন! সিবিআই-এর তদন্তের সাফল্যের হার কত? জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট