মৃত্যু শূন্য চারদিন, করোনার বিষ নিশ্বাস থেকে কিছুটা স্বস্তি রাজধানীর

Delhi COVID Cases : করোনার দ্বিতীয় ঢেউ দেশে আছড়ে পড়ার পর সবথেকে খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল রাজধানীতেই। সেখান থেকে এখন অনেকটাই স্বাভাবিক ছন্দে দিল্লি।

মৃত্যু শূন্য চারদিন, করোনার বিষ নিশ্বাস থেকে কিছুটা স্বস্তি রাজধানীর
ছবি- পিটিআই
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 04, 2021 | 6:54 PM

নয়াদিল্লি : টানা চারদিন। মৃত্যু শূন্য রাজধানী। দিল্লির করোনা পরিস্থিতি ক্রমে স্বাভাবিক হচ্ছে। কেজরিওয়ালের স্বাস্থ্য দফতর থেকে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, গত চারদিনে সেখানে কোনও মৃত্যু হয়নি। শেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৫ জন। এই নিয়ে রাজধানীতে মোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ১৪ লাখ ৩৭ হাজার ৯২৯। এই মুহূর্তে দিল্লিতে সংক্রমণের হার ০.০৮ শতাংশ।

ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে দিল্লি। এই মাস থেকে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য স্কুল খুলে দেওয়া হয়েছে রাজধানীতে। প্রায় দেড় বছর বাদে সমস্ত করোনা বিধি মেনে স্কুল খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেজরিওয়ালের সরকার। দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া জানিয়েছেন, স্কুল খোলা ভীষণভাবে দরকার ছিল। আরও বেশি দেরি করলে, একটি গোটা প্রজন্মকে ভুগতে হত অজ্ঞানতার অন্ধকারে।

সিসোদিয়া এও জানিয়েছেন, শিশুদের ও পড়ুয়াদের সুরক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য প্রত্যেককে সজাগ থাকতে বলা হয়েছে। নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির জন্য স্কুল খুলে গেলেও কাউকে স্কুলে আসার জন্য জোর করা হবে না। অনলাইন ক্লাস আগে যেমন চলছিল, তেমনভাবেই চলবে। যাঁরা স্কুলে আসতে চান, তাঁরা স্কুলে এসে ক্লাস করতে পারবেন। আর যাঁরা বাড়িতে থেকে অনলাইনে ক্লাস করতে চান, তাঁরা সেই সুবিধাও পাবেন।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ দেশে আছড়ে পড়ার পর সবথেকে খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল রাজধানীতেই। অক্সিজেনের অভাব আরও প্রকট হয়েছিল। চারিদিকে অক্সিজেনের জন্য হাহাকার তৈরি হয়েছিল। অক্সিজেন চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে কেজরিওয়ালের কাতর আর্জি, কান্নায় ভেঙে পড়া, কোনও হাসপাতালে এক ঘণ্টা, তো আবার কোনও হাসপাতালে দুই ঘণ্টার অক্সিজেন বাকি… সেই ছবি আজও আবছা হয়ে যায়নি। সেই পরিস্থিতি থেকে এখন আরও একবার ঘুরে দাঁড়াচ্ছে রাজধানী।

আর এই ঘুরে দাঁড়ানোর পিছনে টিকাকরণ অনেকটা সাহায্য করেছে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। শনিবার সকাল ৯ টার হিসেব অনুযায়ী, দিল্লিতে করোনা টিকার প্রথম ডোজ় পেয়েছেন ৯৯ লাখ ৩৮ হাজার ১৪৭ জন। দ্বিতীয় ডোজ় পেয়েছেন ৩৯ লাখ ৮৯ হাজার ২৩৩ জন।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা আস্তে আস্তে কাটিয়ে উঠলেও একেবারে চিন্তামুক্ত থাকতে পারছে না কেন্দ্র। সামনেই উৎসবের মরশুম। ঈদ, গনেশ পুজো, দিওয়ালি… একের পর এক উৎসব। নীতি আয়োগের তরফে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যাতে প্রত্যেকেই বাড়িতে উদযাপন করেন এই উৎসবগুলি। অযথা ভিড়া বা জমায়েতেও নিষেধ করা হয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে। বাড়ি থেকে বেরলে অবশ্যই মাস্ক পরার জন্য বলা হয়েছে। আরও পড়ুন : COVID Third Wave: অগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে ‘আর ভ্যালু’ পৌঁছালো ১.১৭-তে! কতটা বিপজ্জনক হতে পারে তৃতীয় ঢেউ?