Hyderabad: আরও এক ট্যাংরা-কসবা, দুই সন্তানকে গলা টিপে মেরে ঝুলে পড়লেন স্বামী-স্ত্রী
Hyderabad: মৃতদেহের পাশ থেকে একটি সুইসাইড নোট পাওয়া গিয়েছে। মনে করা হচ্ছে, সুইসাইড নোটটি লিখেছেন মৃত ব্যক্তি। সেখানে ওই ব্যক্তি আর্থিক সমস্যা ও তাঁর অসুস্থতার কথা উল্লেখ করেছেন।

হায়দরাবাদ: কলকাতার ট্যাংরা, কসবার ছায়া এবার তেলঙ্গানার হায়দরাবাদে। আর্থিক অনটনের জেরে আত্মঘাতী হলেন এক দম্পতি। তাঁদের পুত্র-কন্যারও মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে। যেখানে আর্থিক সমস্যার কথা লেখা রয়েছে।
কয়েকদিন আগে কলকাতার ট্যাংরায় একই পরিবারের দুই গৃহবধূ ও এক নাবালিকার দেহ উদ্ধার হয়। জানা যায়, ট্যাংরার ওই পরিবারের ঋণে জর্জরিত ছিল। এরপর কসবায় এক দম্পতির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তাঁদের আড়াই বছরের পুত্রসন্তানেরও মৃতদেহ উদ্ধার হয়। সুইসাইড নোট থেকে জানা যায়, পুত্রসন্তানের অস্ত্রোপচারের জন্যে দেনা করেছিলেন ওই দম্পতি।
কলকাতায় এই দুই ঘটনার ছায়া যেন এবার হায়দরাবাদে। সোমবার রাতে হাবসিগুড়ায় বাড়ি থেকে ওই দম্পতির দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ জানিয়েছে, বছর চুয়াল্লিশের ওই ব্যক্তি এবং বছর পঁয়ত্রিশের তাঁর স্ত্রীর দেহ দুটি আলাদা রুমে ছিল। এবং তাঁদের নাবালক পুত্র-কন্যার দেহ বিছানায় পাওয়া যায়।
এই খবরটিও পড়ুন
ওসমানিয়া ইউনিভার্সিটি পুলিশ স্টেশনের ইন্সপেক্টর এন রাজেন্দ্র বলেন, “হাবসিগুড়ার রবীন্দ্রনগর কলোনিতে ওই পরিবার বাস করত। সোমবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ প্রতিবেশীদের ফোন পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে, প্রথমে দুই সন্তানকে গলা টিপে খুন করে ওই দম্পতি। তারপর আলাদা রুমে তাঁরা গলায় দড়ি দেন।”
মৃতদেহের পাশ থেকে একটি সুইসাইড নোট পাওয়া গিয়েছে। মনে করা হচ্ছে, সুইসাইড নোটটি লিখেছেন মৃত ব্যক্তি। সেখানে ওই ব্যক্তি আর্থিক সমস্যা ও তাঁর অসুস্থতার কথা উল্লেখ করেছেন। মৃতদেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য গান্ধী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে এন রাজেন্দ্র জানান।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই পরিবারের আদি বাড়ি মহাবুবনগর জেলায়। বছর খানেক আগে হাবসিগুড়ায় আসে। মৃত ব্যক্তি একটি প্রাইভেট কলেজের লেকচারার ছিলেন। কিন্তু, গত ৬ মাস তিনি কর্মহীন ছিলেন। পুলিশ মনে করছে, এতদিন কর্মহীন থাকার ফলে পরিবারে আর্থিক অনটন শুরু হয়। তার জেরেই হয়তো চরম পদক্ষেপ করেন ওই দম্পতি। সুইসাইড নোটে নিজের মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয় বলে লিখেছেন ওই ব্যক্তি।





