Adani-Hindenberg Issue: ‘মধ্যবিত্তদের টাকায় নিজেদের পকেট ভরিয়েছেন…’ হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট নিয়ে বিশদ তদন্তের ডাক হরিশ সালভের
Adani-Hindenberg Issue: আদানি ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টের তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন হরিশ সালভে। তিনি হিন্ডেবার্গের বিষয়েও বিশদ তদন্তের কথা বলেন তিনি।
নয়া দিল্লি: আদানি-হিন্ডেনবার্গ ইস্যুতে (Adani-Hindenberg Issue) সম্প্রতি তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এর পাশাপাশি SEBI-কেও তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেছে শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছেন খোদ গৌতম আদানি। এবার মার্কিন শর্ট সেলার সংস্থা হিন্ডেবার্গ রিসার্চ রিপোর্টে সম্পূর্ণ তদন্তের ডাক দিলেন বর্ষীয়ান আইনজীবী হরিশ সালভে।
আদানি-হিন্ডেনবার্গের এই গোটা ঘটনায় রাজনীতিকে দূরে সরিয়ে সালভে বলেছেন, হিন্ডেনবার্গ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে এবং এর সম্পূর্ণ ভিন্ন দিক রয়েছে। এই সংস্থার উদ্দেশ্য, মধ্যবিত্ত বিনিয়োগকারীদের দুর্ভাগ্যকে কাজে লাগিয়ে টাকা রোজগার করা। শুক্রবার এনডিটিভিকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে সালভে বলেছেন, “এটা মনে করার কোনও কারণ নেই যে হিন্ডেনবার্গ কারও ভুল প্রকাশ্যে আনছে। তারা রিপোর্ট কখনও বাদ দিয়েছে। এটা নিজেদের স্বার্থে করেছে।”
তিনি সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃক গঠিত ৬ সদস্যের উদ্দেশে বলেন, “এটি আমার পরামর্শ – আমি এটি প্রকাশ্যে বলেছি এবং আমি আবারও বলছি – কমিটিকে অবশ্যই তাদের খুঁজে বের করতে হবে যাঁরা মধ্যবিত্ত বিনিয়োগকারীর খরচে শেয়ার শর্ট করে অর্থ উপার্জন করেছেন।” তিনি আরও বলেন, “সেটিকে বাজারের কারসাজি হিসাবে বিবেচনা করুন এবং তাঁদের ট্রেডিং থেকে নিষিদ্ধ করুন। আমাদের অবশ্যই আমাদের বাজারে একটি উদাহরণ স্থাপন করতে হবে – যদি কোনও রিপোর্ট আসে তবে প্রথমে এটি অবশ্যই SEBI-র কাছে যেতে হবে। সেই রিপোর্টটি অবশ্যই কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রকের কাছে পাঠাতে হবে – তারা এই জাতীয় বিষয়গুলি তদন্ত করবে এবং মোকাবিলা করবে।”
ভারতের বাজারের ক্ষেত্রে তিনি বলেন, “এই ক্ষেত্রে ভারত নতুন। আমরা আমাদের ক্যাপিটাল মার্কেট বাড়াচ্ছি। মধ্যবিত্ত বিনিয়োগকারী ভয় পান যে তিনি যখনই কোনও সংস্থায় তালিকাভুক্ত হন আগামিকাল যদি এরকম কোনও হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসে তখন কী হবে। আর সেই রিপোর্ট যতদিনে মিথ্যা প্রমাণিত হয়, ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়। ততক্ষণে আপনার বিনিয়োগ করা শেয়ারগুলিতে পতন হয়ে গিয়েছে। মধ্যবিত্ত শেয়ারহোল্ডারদের এই দুর্ভাগ্য থেকে যাঁরা অর্থ উপার্জন করছে তাঁদের জবাবদিহি করার জন্য আমাদের অবশ্যই কিছু প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা থাকতে হবে।”
এ দিন আদানি কাণ্ডে তদন্তের জন্য কমিটি গঠনকে স্বাগত জানান তিনি। হরিশ সালভে বলেন, “জেপিসি (জয়েন্ট পার্লামেন্টারি কমিটি) এমন সাংসদদের নিয়ে গঠিত যাঁরা খুব জ্ঞানী ব্যক্তি। এটা একটা বিশেষ ক্ষেত্র। এখানে যা ঘটেছে তা হল সংস্থাগুলির কাঠামো নিয়ে অভিযোগ করা হয়েছে, কীভাবে শেয়ার ইস্যু করা হয়েছে, কীভাবে শেয়ারগুলি ওভারভ্যালুয়েড করা হয়েছে, কীভাবে বাজারে খেলা হয়েছে সে সম্পর্কে অভিযোগ রয়েছে।” এর পাশাপাশি তিনি এটাও বলেছেন, একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এই তদন্ত শেষ করা মুশকিল। এদিকে হরিশ সালভে এইসব মন্তব্যে তাঁকে পাল্টা তোপ দেগেছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তিনি বলেছেন, “প্রাক্তন সলিসিটর জেনারেল যেভাবে লন্ডনে বসে ভারতের মধ্যবিত্তদের আদানির শেয়ারে ক্ষতির জন্য হিন্ডেনবার্গকে দোষারোপ করছে দেখে ভাল লাগছে। নাগপুর উকিল সাব যখন পারছেন আদানির থেকে আপনার ফি টা নিয়ে নিন। এবার হাম্পটি ডাম্পটিকে কেউ বাঁচাতে পারবে না স্যার।”