Cyber Crime: আলিয়া- সচিন-ধোনি-মাধুরীর নথি জাল করে ৯০ টাকার প্রতারণা, পুলিশের জালে ৫

Cyber Crime: আলিয়া-সচিন-ধোনি-মাধুরী সহ ৯৫ জন তারকাদের নামে ভুয়ো ক্রেডিট কার্ড বানিয়ে জালিয়াতি। এই ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Cyber Crime: আলিয়া- সচিন-ধোনি-মাধুরীর নথি জাল করে ৯০ টাকার প্রতারণা, পুলিশের জালে ৫
গ্রাফিক্স: টিভি৯ বাংলা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 04, 2023 | 6:48 PM

নয়া দিল্লি: আধার ও প্য়ান কার্ড  জাল করে প্রতারণার ব্যবসা। জাল নথি দিয়ে ক্রেডিট কার্ডের (Credit Card) মাধ্যমে ৯০ লক্ষ টাকার প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে পাঁচজনের বিরুদ্ধে। দেশের প্রায় ৯৫ জন তারকা এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিত্বদের নামে জাল ক্রেডিট কার্ড করে এখন পুলিশের জালে তারা। তালিকায় নাম রয়েছে এমএস ধোনি, সচিন তেন্ডুলকার, ঋত্বিক রোশন, অভিষেক বচ্চন ও মাধুরি দীক্ষিত সহ আরও অন্যান্য তারকার।

উত্তর দিল্লির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার ছায়া শর্মা বলেছেন, “ধৃতরা ৯৫ জন তারকার সরকারি আইডি জাল করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযুক্তদের সকলেরই আইটি সম্বন্ধে ভাল জ্ঞান রয়েছে।” পুলিশ জানিয়েছে এই অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন, পুনিত, মহম্মদ আসিফ, সুনীল কুমার, বিশ্ব ভাস্কর শর্মা ও পঙ্কজ মিশ্র। পুলিশ জানিয়েছে , “ওই সংস্থার কর্মীর অভিযোগের ভিত্তিতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাঁরা অভিযোগ করেছেন, সচিন তেন্ডুলকার, আলিয়া ভাট, অভিষেক বচ্চন, হিমেশ রেশামিয়ার মতো সেলিব্রিটিদের ভুয়ো প্যান কার্ড এবং আধার কার্ড তৈরি করে এবং তাঁদের সংস্থা থেকে ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করে কিছু লোক তাঁদের কোম্পানির সঙ্গে ২১,৩২,৫৭২.৮৫ টাকার প্রতারণা করেছে।” তদন্তের সময় জানা যায়,অভিযুক্তরা গুগল থেকে এই সেলিব্রিটিদের জিএসটির তথ্য পেয়েছিল।

পুলিশ জানিয়েছে, জিএসটিআইএন-এর প্রথম দুই ডিজিট হল রাজ্য কোড এবং পরের ১০ ডিজিট হল প্যান নম্বর। এবং এই একই উপায়ে তারা আধার সম্পর্কিত তথ্য বের করেছে। আর নতুন আধার ও প্যান কার্ড পাওয়ার পর ‘ওয়ান কার্ড’ নামে পুনে ভিত্তিক এক ফিনটেক স্টার্ট আপ থেকে তাঁদের নামে ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদন করে তারা। পরে এই ফিনটেক সংস্থার এক প্রতিনিধি পুলিশের কাছে জালিয়াতির অভিযোগ করেন। তদন্তে জানা যায়, অভিযুক্তরা মোট ৯০ লক্ষ টাকারও বেশি প্রতারণা করেছে এবং বিভিন্ন তারকাদের সিবিল স্কোর নষ্ট করেছে।

আর অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সাইবার পুলিশ স্টেশনের একটি ডেডিকেটেড টিম ‘ওয়ান কার্ড’ থেকে অভিযুক্তদের আইপি অ্য়াডড্রেস, ডিভাইস আইডি, ৯৫ টি মেইল আইডির আইপিডিআর, মোবাইল নম্বরের সিডিআর, প্রতারণার অর্থ নিষ্পত্তির সঙ্গে জড়িত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিবরণ সংগ্রহ করেছে। এইসব তথ্য সংগ্রহের পর বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে, ওই পাঁচ জন দিল্লি ও জয়পুর ভিত্তিক একটি গ্যাংয়ের অংশ। অভিযুক্ত সুনীল কুমারের কাছ থেকে অনেক মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, জাল ভোটার আইডি, ই-শ্রম কার্ড উদ্ধার হয়েছে। পরে পুলিশ জানিয়েছে, সুনীলের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অন্য অভিযুক্তদেরও গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্তরা একসঙ্গে অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কের মতো একাধিক ব্যাঙ্ক এবং ওয়ান কার্ডের মতো একাধিক ক্রেডিট কার্ড সংস্থাগুলির সঙ্গে প্রতারণা করেছিল। অন্যান্য ব্যাঙ্ক এবং ক্রেডিট কার্ড সংস্থাগুলিও তাদের কেওয়াইসি পদ্ধতি নিয়ে তদন্তাধীন রয়েছে।