AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Adhir Chowdhury comments on Mamata Banerjee: ‘আমাদের ৭০০ বিধায়ক আছে, দিদির হাতে ক’টা’, মমতাকে ঠুকে ‘প্রত্যয়ী’ অধীরের কটাক্ষ

গত শুক্রবার নির্বাচনের ফল বেরনোর পর, তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেছিলেন, “বিজেপির বিরুদ্ধে সব রাজনৈতিক দলের একসঙ্গে জোট হয়ে লড়া উচিত। কংগ্রেসের গ্রহণযোগ্যতা কমছে। আর কংগ্রেসের উপর ভরসা করা যায় না।”

Adhir Chowdhury comments on Mamata Banerjee: ‘আমাদের ৭০০ বিধায়ক আছে, দিদির হাতে ক’টা’, মমতাকে ঠুকে ‘প্রত্যয়ী’ অধীরের কটাক্ষ
ফাইল চিত্র
| Edited By: | Updated on: Mar 13, 2022 | 3:57 PM
Share

নয়দিল্লি: সম্প্রতি পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনে অপ্রত্যাশিতভাবে ভরাডুবি হয়েছে কংগ্রেস। দেশে শতাব্দী প্রাচীন জাতীয় দলের আদৌ গ্রহণযোগ্যতা আছে কি না, প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে কংগ্রেসের সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়ে আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলেন তিনি। এ প্রসঙ্গে কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরীর কটাক্ষ, “তৃণমূলেরই বা দেশে গ্রহণযোগ্যতা কোথায়? কংগ্রেসের তো ৭০০ বিধায়ক রয়েছে, দিদি হাতে ক’টা আছে?”

পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনে উত্তর প্রদেশে শোচনীয় ফল করে প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরার নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস। মিলেছে মাত্র ২ টি আসন। ভোট শতাংশ আরও ৩ শতাংশ কমে দুইয়ের কাছাকাছি। পঞ্জাব হাতছাড়া। উত্তরাখণ্ডে সামান্য ভাল ফল করলেও বাকিগুলিতে অথৈ জলে। এমতাবস্থায়, বিরোধীর জায়গায় উঠে আসছে তৃণমূল-আপ-এর মতো আঞ্চলিক দলগুলি। পঞ্জাবে আম আদমি পার্টির ল্যান্ডস্লাইড জয়ের পর, আরও বেশ কয়েকটি রাজ্যে নিজেদের মেলে ধরার চেষ্টা করছে। মরিয়া তৃণমূলও। যদিও, বিরোধী হিসাবে কংগ্রেসই একমাত্র মুখ বলে মনে করেন দলের লোকসভার প্রধান নেতা অধীর চৌধুরী।

গত শুক্রবার নির্বাচনের ফল বেরনোর পর, তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “বিজেপির বিরুদ্ধে সব রাজনৈতিক দলের একসঙ্গে জোট হয়ে লড়া উচিত। কংগ্রেসের গ্রহণযোগ্যতা কমছে। আর কংগ্রেসের উপর ভরসা করা যায় না।” মমতাকে অধীরের পাল্টা কটাক্ষ, “পাগলা মানুষের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। দেশে মোট ভোট শেয়ারে ২০ শতাংশ কংগ্রেসের দখলে। তৃণমূলের ঝুলিতে কি তা আছে?”। উল্লেখ্য, এবারে গোয়া নির্বাচনে সব শক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়ে ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টির সঙ্গে জোট করে লড়ে জোড়াফুল। গোমন্তক পার্টি ২টি আসন পেলেও শিকে ছেঁড়েনি তৃণমূলের। এ নিয়ে রাজ্য বিজেপির কটাক্ষ, মমতা যে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন, কিন্তু কোনও রাজ্যেই তাঁর দলের অস্তিত্ব নেই।

উল্লেখ্য, কংগ্রেসের ভরাডুবির পর রবিবার তড়িঘড়ি বসছে দলের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক। এর আগে বৈঠকে বসে  ‘বিক্ষুব্ধ’ জি-২৩। সূত্রের খবর, এ দিনের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকেই ফয়সলা হতে পারে কংগ্রেস কার নেতৃত্বে চলবে। কপিল সিব্বল, গুলাম নবি আজ়াদ নেতৃত্বাধীন ‘জি-২৩’ ইতিমধ্যে জানিয়ে রেখেছে, দলের সর্বক্ষণের জন্য সভাপতি প্রয়োজন। তা গান্ধী পরিবারের থেকে হোক বাইরে। তাই এখন দেখার, আজ়াদের দাবি কতটা বাস্তবায়ন হয় কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে।

আরও পড়ুন- ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে অনুপস্থিত থাকবেন মনমোহন, থাকছেন না গান্ধী ঘনিষ্ঠ অ্যান্টনি সহ আরও ৪ কংগ্রেস নেতা