CWC Meeting: সনিয়া না রাহুল না মুকুল? কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট দৌড়ে থাকা কে এই মুকুল ওয়াসনিক?

Mukul Wasnik: কংগ্রেসের দীর্ঘদিনের সৈনিক মুকুল বালকৃষ্ণ ওয়াসনিক। কংগ্রেস যখন ক্ষমতায় ছিল তখন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও ছিলেন তিনি। সামাজিক সুরক্ষা ও ক্ষমতায়ন মন্ত্রকের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি।

CWC Meeting: সনিয়া না রাহুল না মুকুল? কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট দৌড়ে থাকা কে এই মুকুল ওয়াসনিক?
কংগ্রেসের পরবর্তী প্রধান হিসেবে জি-২৩ নেতারা চাইছেন মুকুল ওয়াসনিককে
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 13, 2022 | 4:31 PM

নয়া দিল্লি : পাঁচ রাজ্যের ভোটে কার্যত ভরাডুবি হয়েছে কংগ্রেসের (Congress)। তার উপর নিজেদের দখলে থাকা পঞ্জাবও হাতছাড়া হয়েছে। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল কংগ্রেসের থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে পঞ্জাব। বৃহস্পতিবার লজ্জার হারের পর ফের একবার প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে গান্ধী পরিবারের নেতৃত্ব (Dynasty Politics) নিয়ে। এরই মধ্যে রবিবাসরীয় বিকেলে কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক (CWC Meeting)। জোর জল্পনা ছড়িয়েছে, ভোট ময়দানে ভরাডুবির দায় নিজেদের কাঁধে নিয়ে দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াতে পারেন গান্ধী পরিবারের তিন সদস্যই। আর এরই মধ্যে গান্ধীদের বিকল্প হিসেবে উঠে আসছে মুকুল ওয়াসনিকের নাম। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, জি-২৩ গোষ্ঠীর নেতারা কংগ্রেসের পরবর্তী সভাপতি হিসেবে মুকুল ওয়াসনিকের নাম প্রস্তাব করেছেন।

কংগ্রেসের দীর্ঘদিনের সৈনিক মুকুল বালকৃষ্ণ ওয়াসনিক। কংগ্রেস যখন ক্ষমতায় ছিল তখন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও ছিলেন তিনি। সামাজিক সুরক্ষা ও ক্ষমতায়ন মন্ত্রকের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। বর্তমানে কংগ্রেসর সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন মুকুল ওয়াসনিক। কংগ্রেসের অন্দরে দুঁদে রাজনীতিক হিসেবে বেশ খ্যাতি রয়েছে তাঁর। ১৯৮৪ সাল থেকে সংসদীয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। সেই সময় তিনি মহারাষ্ট্রের বুলধানা লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রতিনিধিত্ব করতেন। ১৯৮৪ সালে মাত্র ২৫ বছর বয়সেই সাংসদ হয়েছিলেন তিনি। সেই সময়ের হিসেব অনুযায়ী, তিনিই ছিলেন সংসদের সর্বকনিষ্ঠ সাংসদ।

সংসদীয় রাজনীতিতে দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা থাকলেও, জয় – পরাজয় উভয়েরই মুখোমুখি হতে হয়েছে তাঁকে। ১৯৮৪ সাল থেকে ১৯৮৯ সাল, ১৯৯১ সাল থেকে ১৯৯৬ সাল এবং ১৯৯৮ সাল থেকে ১৯৯৯ সাল মহারাষ্ট্রের বুলধানা আসন থেকে সাংসদ হয়েছিলেন তিনি। ১৯৮৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে জয়ী, তারপর ১৯৮৯ সালে হার। এরপর ১৯৯১ সালে জয়, ফের ১৯৯৬ সালে হার। একইভাবে ১৯৯৮ সালে জয় এবং ১৯৯৯ সালে হারের মুখোমুখি হতে হয় তাঁকে। সেই ট্রেন্ড আসন বদল করার পরেও কোনও পরিবর্তন হয়নি। পরবর্তী সময়ে বুলধানার বদলে রামটেক লোকসভা কেন্দ্র থেকে লড়াই করেন তিনি। সেখানেও ২০০৯ সালে জয়ী হন এবং ২০১৪ সালে পরাজিত হয়।

অতীতে কংগ্রেসের শাখা সংগঠনগুলির শীর্ষ পদের দায়িত্ব সামলে আসার অভিজ্ঞতা রয়েছে মুকুল ওয়াসনিকের। ১৯৮৪ সাল থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত ছাত্র পরিষদের সর্বভারতীয় সভাপতির দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। পরবর্তী সময়ে দলের যুব সংগঠনেরও শীর্ষ পদ বসেছিলেন তিনি। ১৯৮৮ সাল থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত যুব কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি ছিলেন মুকুল ওয়াসনিক।

আরও পড়ুন : Adhir Chowdhury comments on Mamata Banerjee: ‘আমাদের ৭০০ বিধায়ক আছে, দিদির হাতে ক’টা’, মমতাকে ঠুকে ‘প্রত্যয়ী’ অধীরের কটাক্ষ

আরও পড়ুন : PM Narendra Modi: ‘প্রতিরক্ষায় স্বনির্ভর হতেই হবে’, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ আবহে সতর্ক প্রধানমন্ত্রী মোদী