CBI to seek Kejriwal’s custody: নিস্তার নেই কেজরীবালের, ইডি ছাড়লেই হেফাজতে নেবে এই এজেন্সি
CBI to seek Kejriwal's custody: ২৮ মার্চ পর্যন্ত কেজরীবালকে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে এক বিশেষ পিএমএলএ আদালত। এদিকে, দিল্লি হাইকোর্টে তাঁর গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ করেছেন কেজরীবাল। এদিনই, সেই মামলার শুনানি শুরু হয়েছে। কেজরীবালের আবেদনের জবাব দেওয়ার জন্য আরও সময় চেয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
নয়া দিল্লি: বিপদ বাড়তে পারে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালের। সূত্রের খবর, আবদারি নীতির মামলায়, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের রিমান্ড শেষ হওয়ার পর তাঁকে হেফাজতে নিতে পারে সিবিআই। কাজেই খুব তাড়াতাড়ি ইডি-সিবিআই-এর চক্কর থেকে বের হওয়ার সম্ভাবনা নেই আপ প্রধানের। ২১ মার্চ আবগারি নীতির সঙ্গে যুক্ত তহবিল তছরুপের এক মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট। ২৮ মার্চ পর্যন্ত কেজরীবালকে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে এক বিশেষ পিএমএলএ আদালত। এদিকে, দিল্লি হাইকোর্টে তাঁর গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ করেছেন কেজরীবাল। এদিনই, সেই মামলার শুনানি শুরু হয়েছে। কেজরীবালের আবেদনের জবাব দেওয়ার জন্য আরও সময় চেয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
এদিন হাইকোর্টে ইডির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল, এসভি রাজু। তিনি কেজরীবালের আবেদনের জবাব দেওয়ার জন্য তিন সপ্তাহ সময় চান। এই প্রেক্ষিতে ইডির বিরুদ্ধে ‘অনাবশ্যক বিলম্বের কৌশল’ গ্রহণের অভিযোগ করেন অরবিন্দ কেজরীবালের পক্ষে আদালতে উপস্থিত, বিশিষ্ট আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি। তিনি জানান, একদিনের কারাবাসও মৌলিক অধিকার লঙ্ঘনের বিষয়। সেখানে ইডি তিন সপ্তাহের সময় চাইছে। এটা অত্যন্ত খারাপ বিষয়। আগামীকাল পর্যন্ত ইডির হেফাজতে কেজরীবালকে রাখার জন্য, পিএমএলএ আদালত যে আদেশ দিয়েছিল, তাকেও চ্যালেঞ্জ করেন তিনি। এই বিষয়ে আজই শুনানির দাবি করেন। এই দাবির প্রেক্ষিতে আদালত জানিয়েছে, এদিন বিকেল ৪টেতেই কেজরীবালের গ্রেফতারি নিয়ে রায় জানাবে আদালত।
কেজরীবাল তাঁর আবেদনে বলেন, তাঁর গ্রেফতারি তাঁর মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। ইডি অপরাধ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। জিজ্ঞাসাবাদ ছাড়াই গ্রেফতার রা হয়েছে। এতেই প্রমাণিত হয়েছে, যে এই পদক্ষেপ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। কাজেই, তিনি অবিলম্বে জেল থেকে মুক্তি এবং ইডির হেফাজতে তাঁকে রাখার বিষয়ে পিএমএলএ আদালতের নির্দেশ বাতিলের দাবি জানান। অভিষেক মনু সিংভিও আদালতে দাবি করেন, কোনও বিবৃতি এবং তদন্ত ছাড়াই সমন জারি করেছে ইডি এবং একজন মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে। আসলে এই গ্রেফতারের উদ্দেশ্য, আসনোন লোকসভা নির্বাচনের আগে আপকে দুর্বল করে দেওয়া। “গণতন্ত্রের হৃদয়ে আঘাত করা হচ্ছে’ বলে, দাবি করেন তিনি।