Medinipur Medical College: আন্দোলনের চাপ? জুনিয়র ডাক্তারদের সাসপেনশন প্রত্যাহারের জন্য চিঠি দিচ্ছেন অধ্যক্ষ, একই মত IMA-র
Medinipur Medical College: অপরদিকে, মেদিনীপুর কাণ্ডে শাস্তিপ্রাপ্ত চিকিৎসকদের সাসপেনশন প্রত্যাহারের আর্জি জানিয়ে বিবৃতি জারি আইএমএ রাজ্য শাখার অন্তর্গত আইএমএ অ্যাকশন কমিটির। সাসপেনশনের আগে অভিযুক্ত চিকিৎসকদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়নি দাবি আইএমএ-র।
সৌরভ দত্ত ও দেবব্রত দাসের রিপোর্ট
মেদিনীপুর: প্রথমে ঠিক করেছিলেন পূর্ণ কর্মবিরতি। পরে আংশিক কর্মবিরতির পথে মেদিনীপুর মেডিক্য়াল কলেজের জুনিয়র চিকিৎসকরা। শনিবার থেকে শুরু হয়েছে তাঁদের আংশিক কর্মবিরতি। এই আবহে এবার সাসপেন্ড হওয়া সাত জুনিয়র ডাক্তারের সাসপেনশন প্রত্যাহার করার আবেদন জানিয়ে এডিজি সিআইডি ও স্বাস্থ্য ভবনে চিঠি দিচ্ছেন মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল মৌসুমী নন্দি। তেমনটাই জানালেন সিএমওএইচ। অপরদিক, ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএম এ)-এর বেঙ্গল স্টেট অ্যাকশন কমিটিরও একই মত, জুনিয়র চিকিৎসকদের সাসপেনশন প্রত্যাহার করে নেওয়া উচিত।
বস্তুত, জুনিয়র ডাক্তারদের সাসপেনশন উইথড্রো করতে হবে এই দাবিকে সামনে রেখে দীর্ঘক্ষণ প্রিন্সিপালের অফিস ঘেরাও করে রাখে জুনিয়র ডাক্তাররা। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, এতেই চাপে বাড়ে কর্তৃপক্ষের। এরপর জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সহ স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। বৈঠক শেষে পেছনের দরজা দিয়ে বেরিয়ে যান CMOH। গোটা বিষয় নিয়ে তিনি জানিয়েছে, জুনিয়ার ডাক্তারদের শাস্তি প্রত্যাহারের বিষয়ে স্বাস্থ্য ভবন ও এডিজি সিআইডিকে চিঠি দিচ্ছেন মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল মৌসুমি নন্দী।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, স্যালাইনকাণ্ডে তোলপাড় রাজ্য। অভিযোগ, বিষ স্যালাইনে অসুস্থ হয়ে পড়েন পাঁচ প্রসূতি। তাঁদের মধ্যে মৃত্যু হয় একজনের। এই পরিস্থিতিতে চিকিৎসকদের গাফিলতির তত্ত্ব খাড়া করেছেন স্বাস্থ্য়মন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। স্যালাইনকাণ্ডে ১৩ জন চিকিৎসককে সাসপেন্ড করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের মধ্যে ৬ জন সিনিয়র,৭ জন জুনিয়র চিকিৎসক।
আন্দোলনকারী এক জুনিয়র চিকিৎসক বলেন, “সিনিয়র চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে সব কাজ করা সত্ত্বেও কেন জুনিয়র চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে সাসপেনশন অর্ডার এল? কোনও তদন্ত না করেই কেন এই অর্ডার এল?”
অপরদিকে, মেদিনীপুর কাণ্ডে শাস্তিপ্রাপ্ত চিকিৎসকদের সাসপেনশন প্রত্যাহারের আর্জি জানিয়ে বিবৃতি জারি আইএমএ রাজ্য শাখার অন্তর্গত আইএমএ অ্যাকশন কমিটির। সাসপেনশনের আগে অভিযুক্ত চিকিৎসকদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়নি দাবি আইএমএ-র। সংশ্লিষ্ট বিবৃতিতে ছত্রে ছত্রে সরকারি সিদ্ধান্তের সমালোচনা করা হয়েছে। বিতর্কিত স্যালাইন নিয়েও পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করতে হবের দাবি জানানো হয়েছে। সেপসিস কী ভাবে হল তার যথাযথ তদন্ত প্রয়োজন বলে জানানো হয়েছে। যদিও, আইএমএ অ্যাকশন কমিটির বয়ানে আইএমএ রাজ্য শাখার সভাপতির সই থাকলেও সই নেই রাজ্য সম্পাদক শান্তনু সেনের। এই বিবৃতি প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া দিতে নারাজ শান্তুনু।