Amit Shah on Narendra Modi: স্বাধীনতার পর সমস্ত প্রধানমন্ত্রীর থেকে মোদী কেন আলাদা, লোকসভায় বোঝালেন শাহ
মোদী সরকারের কৃতিত্ব এবং স্বাধীনতার পর বিভিন্ন সরকারের তুলনায় এই সরকারের স্থায়িত্ব কেন বেশি তা ব্যাখ্যা করেন। তা করতে গিয়ে বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
নয়াদিল্লি: বুধবার লোকসভায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেই বক্তব্যে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার জন্য সমালোচনা করেন বিরোধীদের। মোদী সরকারের উপর জনগণের বিন্দুমাত্র অনাস্থা নেই বলে দাবি করেছেন শাহ। বিভ্রান্তি ছড়াতেই বিরোধীরা এই অনাস্থা এনেছে বলে দাবি শাহের। এর পরই মোদী সরকারের কৃতিত্ব এবং স্বাধীনতার পর বিভিন্ন সরকারের তুলনায় এই সরকারের স্থায়িত্ব কেন বেশি তা ব্যাখ্যা করেন। তা করতে গিয়ে বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
এ বিষয়ে শাহ বলেছেন, “মোদী সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে নির্বাচিত হয়েছে। পর পর ২ বার দুই তৃতীয়াংশ আসন পেয়ে নির্বাচিত হয়েছে এনডিএ। ৩০ বছর পর দেশের জনগণ কোনও সরকারকে সংখ্যাগরিষ্ঠ হিসাবে নির্বাচিত করেছে।” সেই সঙ্গে শাহের দাবি, স্বাধীনতার পর দেশের সবথেকে জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পৃথিবীর বিভিন্ন সমীক্ষায় এই তথ্য উঠে এসেছে বলে দাবি করেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী হিসাবে মোদীর নিরলস কাজ করার বিষয়ে অমিত শাহ বলেছেন, “স্বাধীনতার পর থেকে এক দিনও ছুটি না দিয়ে, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৭ ঘণ্টা কাজ করা যদি কোনও প্রধানমন্ত্রী থাকেন, তিনি হলেন মোদী।”
প্রধানমন্ত্রী হিসাবে মোদী এমন কিছু নজির গড়েছেন যা অতীতের কোনও প্রধানমন্ত্রী করতে পারেননি। এ রকম বেশ কয়েকটি তথ্য এ দিন লোকসভায় তুলে ধরেছেন শাহ। এ বিষয়ে বলেছেন, “স্বাধীনতার পর, দেশের সমস্ত রাজ্যে বেশি রাস্তা ঘোরা এবং রাজ্যগুলিতে বেশি দিন থাকা প্রধানমন্ত্রী হলেন মোদী।”
কোনও দলের সরকার বেশ কয়েক বছর ক্ষমতায় থাকে, কিন্তু ক্ষমতায় থেকেও অনেকেই বলিষ্ঠ সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না বলে মত অমিতের। কিন্তু মাত্র ৯ বছরেই মোদী তা পেরেছেন বলে দাবি অমিতের। এ বিষয়ে তিনি বলেছেন, “কোনও সরকার অনেক বছর ক্ষমতায় থাকে। সে সময় তাদের এমন কিছু সিদ্ধান্ত থাকে, যা পরবর্তী কালেও স্মরণ করা হয়। নরেন্দ্র মোদীর সরকার গত ৯ বছরে ৫০-এর বেশি পদক্ষেপ করেছে, যা যুগান্তকারী হিসাবে ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণ অক্ষরে লেখা থাকবে।” এরপর শাহ দাবি করেন, মোদী ভারতের রাজনীতিতে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছেন। দুর্নীতি, পরিবারতন্ত্র, তোষণের রাজনীতিকে বিদায় জানিয়েছেন।