Chintels Paradiso: শেষ নয়, নয়ডার টুইন টাওয়ার ধ্বংসের শুরু: এবার গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে গুরুগ্রামের বহুতল

Chintels Paradiso tower demolition: খারাপ জিনিস দিয়ে তৈরি বলে হরিয়ানার গুরুগ্রামে বিলাসবহুল চিনটেল প্যারাডাইসো আবাসনে একটি টাওয়ার গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে। একইসঙ্গে বাসিন্দাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।

Chintels Paradiso: শেষ নয়, নয়ডার টুইন টাওয়ার ধ্বংসের শুরু: এবার গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে গুরুগ্রামের বহুতল
চিনটেল প্যারাডাইসো
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 16, 2022 | 7:08 PM

অনিন্দ্য বন্দ্যোপাধ্যায়

মনে আছে প্রদীপ কুন্দলিয়ার কথা? সালটা ১৯৮৯ সাল, মাসটা জুন মাস। কলকাতার ভবানীপুরে তাঁর বানানো একটা বাড়ি ভেঙে পড়ে যায়। মারা যান ১১ জন। কিন্তু সময় বদলেছে। এসেছে কড়া আইন। কোর্টও এখন অনেক কড়া। তাই প্রদীপ কুন্দলিয়া হয়ে ওঠার আগেই সংস্থাগুলিকে শিক্ষা পেতে হচ্ছে। নয়ডায় ‘সুপারটেক’ সংস্থার বেআইনিভাবে তৈরি করা টুইন টাওয়ার গুঁড়িয়ে দিতে দেখেছে গোটা দেশ। আর তা শুরু করেছে এক ‘নো নন্সেনস ‘ সংস্কৃতির।

এবার রাজধানী দিল্লির সাথে লাগোয়া গুরুগ্রামের ঘটনা। তবে মামলা বেআইনি ভবন নয়, বরং খারাপ জিনিস দিয়ে তৈরি ভবনের। এতটাই খারাপ যে কয়েক মাস আগে বিলাসবহুল চিনটেল প্যারাডাইসো (chintels paradiso) নামের সোসাইটির একটি টাওয়ারের ষষ্ঠ তল ভেঙে পড়ে, মৃত্যু হয় দুই মহিলার। আইআইটি দিল্লিকে বলা হয় খতিয়ে দেখতে। তারা রিপোর্টে জানায়, অত্যন্ত খারাপ মানের জিনিস দিয়ে তৈরি। এতটাই খারাপ যে তার মেরামতও সম্ভব নয়। অতঃপর গুরুগ্রামের ডেপুটি কমিশনার নিশান্ত কুমার যাদব অর্ডার দেন, নয়ডার টুইন টাওয়ারের মতোই, ‘চিনটেল প্যারাডাইসো’র ডি টাওয়ারও ভেঙে গুঁড়িয়ে দিতে হবে।

আর তাতে বসবাসকারী মানুষদের কী হবে? না, ১৯৮৯-এর মত হাল হবে না। ৬০ দিনে সংস্থাকে তাদের ফ্ল্যাটের বর্তমান বাজার মূল্য দিয়ে দিতে হবে। শুধু তাই নয়, ফ্ল্যাটের ভিতরে কাজের জন্য যে টাকা তারা লাগিয়েছিলেন, সেই টাকাও নির্মাতা সংস্থাকেই ফিরত দিতে হবে। মোট ৫০টি ফ্ল্যাট আছে ওই টাওয়ারে। ২ মাসের মধ্যে টাকা ফেরত দিতে হবে, আর টাওয়ারটিও ভাঙ্গা হবে। তাই এখন মাথায় হাত নির্মাতাদের।

শুধু মুখের কথা নয়, ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে কাজও। জেলার টাউন প্ল্যানার অমিত মধোলিয়া সমন্বয় সাধনের কাজ করবেন। শুরু হয়ে গেছে দিন গোনা। আবারও আরেকটি বহুতল। নয়ডার মতোই মুহূর্তের মধ্যে গুড়িয়ে দেওয়া হবে ১৮ তল বিশিষ্ট ভবনটি। তব শুধু ডি টাওয়ারটিই নয়, আশপাশের ও এবং এফ ব্লকেরও ভবনের অডিটও চলছে। প্রয়োজন হলে ওই দুই টাওয়ারের দশাও ডি টাওয়ারের মতোই হতে পারে।

২০০২ সালে বিধানসভায় দাড়িয়ে, পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য বলেছিলেন, দোষী সাব্যস্ত হলে তিনি প্রদীপ কুন্দলিয়াকে জেলে পাঠাবেন। সময় বদলেছে। ক্রেতা সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে কীভাবে লোভী সংস্থাগুলিকে শিক্ষা দেওয়া যায়, উত্তর প্রদেশের পর সেই দিশা দেখাচ্ছে এবার হরিয়ানা।